চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিভক্ত ইইউ
২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৫১ এএম

চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইইউ এর। বিশেষ করে, শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের পর। চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, মনে করছে ইইউ। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস ডিডাব্লিুউকে বলেছেন, শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সাথে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। তারপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সাথে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করছেন, চীনের সাথে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো। তবে ইইউ এর সব সদস্য দেশ এ রকম চরম পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে শি ও পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। ইইউ এর দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে। চীনসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশ এখনো রাশিয়ার কাজকে আগ্রাসন বলেনি। জাতিসংঘে চীন রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তারা রাশিয়ার প্রচারমূলক কথার পুনরাবৃত্তি করেছে। প্রেসিডেন্ট শি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সাথে চীনের সম্পর্কে কোনো সীমারেখা থাকবে না। এমনিতেই ইইউ এর সাথে চীনের সম্পর্ক আগের তুলনায় খারাপ। রাশিয়ার কারণে তা আরও খারাপ হয়েছে। রাশিয়াকে চীনের সমর্থন নিয়ে বেশ কয়েকটি ইইউ দেশ মনে করছে, চীন এবার রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে পারে। ইইউ এর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, চীন যে রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করতে চায়, এমন কোনো প্রমাণ তার কাছে নেই। চীন বিশেষজ্ঞ স্টেক জানিয়েছেন, চীন এখন রাশিয়ার সাথে আর্থিক কার্যকলাপ পুরোপুরি বজায় রেখেছে। রাশিয়া য়ে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছে, তাকেও সমর্থন করেছে চীন। তারা রাশিয়াকে যে টায়ার, ট্রাক, পোশাক ও অন্য জিনিস দিচ্ছে, তা রাশিয়ার সেনা ব্যবহার করতে পারে, কিন্তু এখনো তারা কোনো অস্ত্র রাশিয়াকে দেয়নি বলে জানান স্টেক। স্টেকের মতে, তাইওয়ান নিয়ে চীনের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। উইঘুর নিয়ে ইইউ এর সাথে তাদের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। ফলে চীনও চাপে আছে। ইইউ চীনের উপর কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে। তবে ইইউ আরও ব্যবস্থা নিলে তাদের অর্থনীতিতে চার চাপ পড়বে। আমেরিকার ডাকে ইইউ এখনো সাড়া দেয়নি। প্রেসিডেন্ট বাইডেন চাইছেন, চীনকে কোণঠাসা করতে ইইউ এবার আমেরিকার সাথে হাত মেলাক। কিন্তু ইইউ তার থেকে বিরত থেকেছে। ইইউ এর দেশগুলোর মধ্যে চীনের সাথে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করে জার্মানি। তারা ও ইইউ এর অন্য বেশ কয়েকটি দেশ চীনের লাভজনক বাজার থেকে চলে আসতে রাজি নয়। রয়টার্স, বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান কায়কোবাদের

সাগর-রুনির হত্যাকারী দু’জন, টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনে দাবি

ফিলিস্তিনের পূণ্য ভূমির মর্যাদা রক্ষা ধর্মীয় ও মানবিক দায়িত্ব

নেতাকর্মীদের জরুরি যে নির্দেশনা দিলেন মির্জা ফখরুল

পুরানা পল্টনের সাব্বির টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭ ইউনিট

ঝিনাইদহের সাংবাদিক আব্দুল মান্নানের ইন্তেকাল

বাংলাদেশের মুসলিমরা বিশ্ব মুসলিমের সঙ্গে একাত্ম: মুসলিম লীগ

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সম্মাননা পেলেন কুমিল্লার ছয় সাংবাদিক

মারা যাওয়া সন্তানের আকিকা দেওয়া প্রসঙ্গে।

সিলেট বিমানবন্দর হয়ে যাচ্ছেন না বেগম জিয়া !

ছাত্ররা যা করেছে তাদেরকে স্যালুট জানাই- ডা: সালাউদ্দিন বাবু

ছাগলনাইয়ায় মসজিদ মিশন এর উদ্যোগে ইমাম ও ওলামা সমাবেশ

মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত কেন ?

রাজনীতি থেকে অব্যাহতি নিলেন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের নুরুল হক

ফেনীতে চায়না -বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপহাসপাতাল স্হাপনের দাবিতে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ক্রীড়াঙ্গনে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

মির্জাপুরে মাটিমাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায়

সাংবাদিকদের সহযোগিতা আমার কর্মপথকে সহজ করেছে : বুড়িচংয়ের বিদায়ী ইউএনও

চট্টগ্রামের আল্লামা সুলতান যওক নদভী’র দাফন সম্পন্ন

আরচ্যারী বিশ্বকাপে লক্ষ্য কোয়ার্টার ফাইনাল