১১ দেশের ট্রান্স-প্যাসিফিক বাণিজ্যচুক্তিতে যোগদানের জন্য শুক্রবার একটি চুক্তি করার কথা জানিয়েছে ব্রিটেন। এর মধ্যে জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়ার পর ব্রিটেন এই অঞ্চলে সম্পর্ক আরো গভীর করতে এবং এর বৈশ্বিক বাণিজ্য সংযোগ তৈরি করতে চাইছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, ব্রিটেন ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপের (সিপিটিপিপি) জন্য ব্যাপক এবং প্রগতিশীল চুক্তিতে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে। তার কার্যালয় এই চুক্তিকে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সবচেয়ে বড় বাণিজ্যচুক্তি বলেছে। সুনাক বলেন, ‘সিপিটিপিপি বাণিজ্য ব্লকে যোগদান যুক্তরাজ্যকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনীতির একটি গতিশীল এবং ক্রমবর্ধমান গোষ্ঠীর কেন্দ্রে থাকার সুযোগ দেবে।’ চুক্তিটি ‘আমাদের ব্রেক্সিট-পরবর্তী স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো প্রদর্শন করবে।’ ২০২০ সালে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্রিটেন বৈশ্বিক বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইছে। তারা ভৌগোলিকভাবে দূরবর্তী কিন্তু দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ব্রিটেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের সম্পর্ককে আরো গভীর করছে, কারণ দেশটির পররাষ্ট্রনীতি কাঠামো চীনকে একটি ‘যুগ-সংজ্ঞায়িত চ্যালেঞ্জ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিপিটিপিপির অন্য সদস্যরা হলো- ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনাম। ব্রিটেন এই গ্রুপে যোগ দেওয়া প্রথম নতুন সদস্য। ব্রিটেনের নতুন এই সদস্যপদ অধিকাংশ সদস্য দেশের সঙ্গে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় মুক্ত বাণিজ্যচুক্তির পরিপূরক হবে এবং ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত বিকল্প প্রদান করবে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে সিপিটিপিপির দেশগুলোতে রপ্তানি ছিল ৬০.৫ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের। ব্রিটেন বলছে, এই চুক্তি গাড়ি, স্পিরিট এবং দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর শুল্ক কমিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিবছর ১.৮ বিলিয়ন পাউন্ড করে অর্থনীতি বৃদ্ধি করবে। এ ছাড়া চুক্তিতে আরো দেশের যোগদান এই পরিসংখ্যান বাড়াতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। রয়টার্স।