এশিয়ায় জ্বালানি তেলবাহী জাহাজের চাহিদা বাড়ছে
০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম | আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৪৫ এএম
বৈশ্বিক জ্বালানি তেল পরিশোধনের ভরকেন্দ্র পশ্চিম থেকে ক্রমেই স্থানান্তরিত হচ্ছে পূর্ব দিকে। এশিয়ায় বাড়ছে জ্বালানি তেল পরিশোধন কার্যক্রম। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে পণ্যটি পরিবহনের জন্য চাহিদা বাড়ছে ফুয়েল-ট্যাংকারের, যা জাহাজ নির্মাণ শিল্পে নতুন গতি সঞ্চার করছে। খবর ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে। শিপব্রোকার ব্রেমারের তথ্যানুসারে, চলতি বছর ৩৮টি মিড-রেঞ্জ ট্যাংকারের নির্মাণাদেশ দেয়া হয়েছে, যা ২০১৩ সালের পর থেকে জাহাজ নির্মাণ ঘিরে সবচেয়ে ব্যস্ততম কর্মকা-কে চিহ্নিত করে। এদিকে চলতি বছর সরবরাহ ও পরিবহনসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার ২৮টি জাহাজ আন্তর্জাতিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। সিম্পসন স্পেন্স ইয়াংয়ের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে সংখ্যাটি ছিল ৩১টি। মহামারীর জের ধরে পেট্রল, ডিজেল ও উড়োজাহাজ জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক তেল শোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়। বিপরীতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে নতুন শোধনাগার নির্মিত হচ্ছে। চাহিদার প্রত্যাবর্তনের ফলে জ্বালানি তেলের ক্রেতারা তাই স্বাভাবিকভাবেই নতুন উৎপাদকদের ওপর নির্ভর করছেন। মূলত প্রবণতাটি নতুন জাহাজ নির্মাণকে ত্বরান্বিত করেছে ও শিপিংকে আরো লাভজনক করে তুলেছে। ব্রেমারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক আলেকজান্দ্রা আলতারি বলেছেন, ‘জ্বালানি তেল পরিশোধন ঘিরে প্রধান কাঠামোগত পরিবর্তন মূলত পরিশোধিত পণ্য শিপিং চাহিদার পাশাপাশি প্রধান গ্রাহকের ভৌগোলিক স্থানচ্যুতি বাড়াবে।’ এরই মধ্যে ইউরোপ থেকে রফতানির পরিমাণ কমে যাওয়ার ফলে মার্কিন পূর্ব উপকূলের ক্রেতারা মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া থেকে জ্বালানি ক্রয় করছেন। অস্ট্রেলিয়াও অভ্যন্তরীণ কয়েকটি শোধনাগার বন্ধ রেখেছে। ফলে উত্তর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আরো বেশি কার্গো পরিবহন বাড়বে। তাছাড়া লাতিন আমেরিকায় পণ্য রফতানি বাড়িয়েছে ভারতও। আসছে বছরগুলোয় মার্কিন উপসাগরীয় উপকূলের শোধনাগারগুলো পশ্চিম আফ্রিকা ও ইউরোপে সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আরবিএনের জ্বালানি বিশ্লেষক জন অয়ার্স। তাছাড়া রাশিয়া-ইউক্রে সংঘাতের ফলে বিশ্ববাণিজ্য প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় সাম্প্রতিক মাসগুলোয় শিপিংয়ের হার বেড়েছে। আটলান্টিকের ট্যাংকারগুলো প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন ডলার আয় করছে, যা ২০১৩ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে দীর্ঘ দূরত্বের জন্য পণ্য পরিবহনে বেশি সময় লাগছে। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান নির্মাণাদেশের কারণে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি উল্লেখ করেছেন অনেকে। জাহাজপ্রতি নতুন নির্মাণের খরচ পৌঁছেছে প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মার্কিন ডলারে, যা এক বছর আগের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। তাছাড়া ২০০৮ সালের পর থেকে খরচের পরিমাণ সর্বোচ্চ বলে জানাচ্ছে শিপব্রোকারের তথ্য। আলেকজান্দ্রা আলতারি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘২০২৫ সালে প্রায় ৬০টি নতুন জাহাজ যোগ হতে পারে, তবে জাহাজের প্রাপ্যতা দীর্ঘমেয়াদি গড় স্তরের কম থাকবে।’ রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি
বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ
শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু
শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
কাশ্মীরে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে নিহত ৪ সীমান্তরক্ষী নিহত
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ভারত যোগ, ঘটনার পরেই উধাও ভারতীয় যুবক
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল ভারত
বিষ প্রয়োগ ও শিল্প দূষণ বন্ধ করে পশুর নদী ও সুন্দরবন বাঁচাতে হবে
রাশিয়ায় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটুক্তিকারী ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে অপসারণ করতে হবে
সাইবারট্রাক ‘অচল’ করে দেয়ার জন্য মাস্ককে দুষলেন কাদিরভ
ফিরেই পান্তের সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কে গিলও
মুখে সুন্নী বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব
রাঙামাটি পৌঁছেছে তিন উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রতিনিধি দল
'কাজ না করলে বেতন বন্ধ’, ধর্মঘটকারী ভারতীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিল স্যামসাং
অফ-স্পিনে ৩৯ বার আউট: কোহলিকে যে দাওয়াই দিলেন শাস্ত্রী
মাগুরায় ৮ বছর আগে কেড়ে নেয়া মাইক্রো উদ্ধার মালিককে ফেরত দিলেন যুবদল নেতা