গামোছা ও গামছা নিয়ে আসামে তুলকালাম
০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম | আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৩৯ এএম

আসামে নবগঠিত একটি সাহিত্য সংগঠন বাংলা সাহিত্য সভা’ ২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো গুয়াহাটিতে রাজ্য সম্মেলন আয়োজন করে। আয়োজকরা তাদের অতিথি এবং প্রতিনিধিদের একটি বিশেষ ধরনের কাপড়ের টুকরো দিয়ে সংবর্ধনা দেন। এটি তৈরি করা হয়েছে আসামি ফুলাম গামোছা এবং বাঙালি গামছা মাঝামাঝি কেটে একসঙ্গে জোড়া লাগিয়ে। ফুলাম গামোছা হাতে বোনা লাল ও সাদা তোয়াল্লে। এটিকে আসামের সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনুষ্ঠানটির ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর তুলকালাম শুরু হয়েছে। অনেকে এই উদ্যোগকে আসামি সমাজের জন্য অপমান হিসেবে উল্লেখ করছেন। সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আসামের সংস্কৃতিমন্ত্রী কুশপুতুল দাহ করা হয়েছে। রাজপথে বিক্ষোভের পাশাপাশি হাই ভোল্টেজ টেলিভিশন বিতর্ক এবং সোশাল মিডিয়ায় জ্বালাময়ী মন্তব্যের ছড়াছড়ি। রাজ্যজুড়ে বাংলা সাহিত্য সভার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রভাবশালী অল আসাম স্টুডেন্টস’ ইউনিয়নের উপদেষ্টা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, গামোছা আমাদের অহংকার এবং আসামের সাংস্কৃতিক প্রতীক। আসামি জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি কারও অশ্রদ্ধা করা ঠিক না। সমালোচনা ও নিন্দা এত প্রবল ছিল যে ২৮ মার্চ বাংলা সাহিত্য সভা দুঃখপ্রকাশ করে একটি বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়। আসাম ও বাঙালি সম্প্রদায়ের সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিতর্কিত কাপড়টিকে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-এর সমালোচকরা এই ঘটনাটিকে এত হালকা করে দেখতে রাজি না। অনুষ্ঠানটিতে দলটির সিনিয়র নেতা ও রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের উপস্থিতি সমালোচকদের আরও রসদ জুগিয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী রানোজ পেগু, বিজেপির সিনিয়র নেতা শিলাদিত্য দেব। তিনি আবার রাজ্যের সংখ্যালঘু ভাষা উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারপারসন। অ্যাক্টিভিস্ট থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া অখিল গগৈ অভিযোগ করেছেন, ২৫ মার্চের আয়োজন ছিল বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র। তিনি বলেন, বিজেপির রাজনীতি এখন হিন্দু বাঙালিদের ঘিরে, যারা ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছে। হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার অংশ হিসেবে এদেরকে আসামি সমাজের অংশে পরিণত করতে চাইছে বিজেপি। সাম্প্রতিক গামোছা কা- ছিল এই রাজনীতির অংশ। বাঙালি অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার শিলচরের কাছাড় কলেজের শিক্ষক জয়দ্বীপ বিশ্বাসের দাবি, আসামি ও বাঙালিদের বিভেদ ঘুচাতে গামোছা ও গামছাকে এক সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক। আসামি গামোছা আসামিদের পরিচয়, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু বাঙালিদের কাছে গামছার নির্দিষ্ট কোনও গুরুত্ব নেই। তিনি বলেছেন, বাঙালি গামছা হিন্দু ধর্মীয় রীতিতে ব্যবহৃত হয়। বিজেপির কাছে বাঙালি মানে হলো হিন্দু বাঙালি। কিন্তু বাঙালিরা আসামিদের মতো একটি ভাষাগত সম্প্রদায়। বিশ্বাস আরও উল্লেখ করেছেন, বাংলা সাহিত্য সভা সংগঠনটির বিভিন্ন পদে থাকা ব্যক্তিরা হিন্দু বাঙালি। সংগঠনটিতে মুসলিম বাঙালিদের রাখা হয়নি। বিজেপির রাজনীতি হলো ভাষা, জাতির ভিন্নতা থাকা বৃহত্তর হিন্দুদের একত্রিত করা। এটি করেই বিজেপি দেশে একের পর এক নির্বাচনে জয়ী হচ্ছে। স্ক্রল ডট ইন।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

নগরকান্দা উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ইরানের এক ক্ষেপণাস্ত্রে বিধ্বস্ত ইসরায়েলের বিয়ারশেবা

ইসরায়েলে মাইক্রোসফট অফিসের পাশে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

ট্রাম্পের নেতৃত্বে আস্থা রাখার আহ্বান হোয়াইট হাউসের

আবু সাঈদের বিচার চেয়ে সরব থাকা শিক্ষক মাহমুদুল হক কারাগারে উত্তাল বেরোবি

পরমাণু ইস্যুতে রেড লাইন স্পষ্ট করল ইরান,আত্মমর্যাদায় আপস নয়

পিএসজিকে হারিয়ে অচেনা বতাফোগোর বিশাল চমক
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের দাবি তারেক রহমানের

সউদীতে আটকে পড়েছেন ১২৫০০ ইরানি হাজি

রোববার চীন সফর যাচ্ছে বিএনপির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল

৬০টি যুদ্ধবিমান দিয়ে রাতভর ইরানে বর্বরতা চালিয়েছে ইসরাইল

ইরান একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে ইসরায়েলের দিকে: আইডিএফ

তারেক রহমানের ৩১ দফার কোন বিকল্প নেই- মোহাম্মদ আইয়ুব খান

ব্যালেস্টিক মিসাইল ছুড়ে যে ভয়ংকর বার্তা দিলেন কিম জং উন!

এনসিপির কটিয়াদী উপজেলা সমন্বয় কমিটি গঠিত

মানিকগঞ্জে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

মেসি ম্যাজিকে মায়ামির জয়

মুক্তির আগেই দাপুটে অবস্থানে ‘এমথ্রিগান ২.০’

ইন্দুরকানিতে কয়লা বোঝাই ট্রাকের ভারে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ