ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব এরদোগান
০১ এপ্রিল ২০২৩, ০৭:৫৯ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ০৯:৫১ পিএম
১৯৯৯ সালে যখন ইজমিটে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প আঘাত হানে, সেই সময় ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। সেই ভূমিকম্পে ১৭ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছিলেন এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি সরকারের বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া এরদোগানের জন্য একজন যোগ্য ও সহানুভূতিশীল নেতা হিসেবে প্রমাণ রাখার সুযোগ তৈরি করেছিল, যেটি ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার নির্বাচনের মঞ্চ তৈরি করেছিল। পরবর্তীতে এরদোগান তার শাসনামলে দেশের অর্থনৈতিক মন্দা, শরণার্থী সংকট, দুর্নীতি কেলেঙ্কারি, তার সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও আন্দোলন ছাড়াও একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টাকেও শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। গত দুই দশক ধরে এরদোগান তুরস্কে নিজেকে অনেকটা একক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী ১৪ মে প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তে দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো এরদোগানের ক্ষমতা হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অবশ্য এই মতের শক্ত বিরোধিতাও রয়েছে। এরদোগানের পুনর্র্নিবাচনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলোÑ গত ফেব্রুয়ারিতে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে তার বিভ্রান্তিকর প্রতিক্রিয়া, যা ১০ প্রদেশের প্রায় ২০ লাখ মানুষকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং ৪৫ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। এই ভূমিকম্পকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে এরদোগান সরকারের অক্ষমতার কথা প্রচারিত হয়েছে। যেখানে উদ্ধার কার্যক্রমে বিলম্ব, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা প্রদানে অনিয়ম এবং বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা বিতরণে অনিয়মের দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া অনেক তুর্কি নাগরিকের মধ্যেও এরদোগানের ক্ষমতা প্রয়োগ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। এরদোগানের জন্য দ্বিতীয় এবং সম্ভবত আরও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হচ্ছে— দেশটির প্রধান বিরোধী দল পিপলস রিপাবলিকান পার্টির (সিএইচপি) নেতা কামাল কিলিকদারোগ্লু। তিনি তুরস্কের অনেক ভগ্নবিরোধী দলগুলোকে একত্রিত করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি আরও অন্যান্য দলের গোছানোর কাজ করছেন, যাতে আগামী নির্বাচনে তিনি বড় ধরনের চমক দেখাতে পারেন। তবে কামাল কিলিকদারোগ্লু যতই চমক দেখান না কেন, এরদোগান ইউরো-এশিয়ার একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ। তাই তিনি যে কোনো পরিস্থিতি মুহূর্তেই মোকাবিলার ক্ষমতা রাখেন। বিগত দিনে তিনি সেই প্রমাণ দিয়েছেন বহুবার। সবশেষে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এই ২০ বছরের শাসনকালে এরদোগানের রাজনৈতিক শক্তি কখনই নড়বড়ে অবস্থায় ছিল না। তিনি দৃঢ়তা নিয়েই সঙ্কট মোকাবিলা করেছেন। টাইম অবলম্বনে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেও সুস্থ নন খালেদা জিয়া : মির্জা ফখরুল
আত্মহত্যা না কি খুন? ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত শুরু
বিচার বিভাগে পৃথক সচিবালয় ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয় : প্রধান বিচারপতি
বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ
শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু
শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
কাশ্মীরে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে নিহত ৪ সীমান্তরক্ষী নিহত
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ভারত যোগ, ঘটনার পরেই উধাও ভারতীয় যুবক
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল ভারত
বিষ প্রয়োগ ও শিল্প দূষণ বন্ধ করে পশুর নদী ও সুন্দরবন বাঁচাতে হবে
রাশিয়ায় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটুক্তিকারী ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে অপসারণ করতে হবে
সাইবারট্রাক ‘অচল’ করে দেয়ার জন্য মাস্ককে দুষলেন কাদিরভ
ফিরেই পান্তের সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কে গিলও
মুখে সুন্নী বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব
রাঙামাটি পৌঁছেছে তিন উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রতিনিধি দল
'কাজ না করলে বেতন বন্ধ’, ধর্মঘটকারী ভারতীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিল স্যামসাং