এখন থেকে টাকা দিলেই পাওয়া যাবে রূপকথার চাঁদের টিকিট। চাঁদে বেড়াতে যাওয়ার লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে চন্দ্রাভিযানের বাণিজ্যিক বাজার। সম্প্রতি জাপানি প্রতিষ্ঠান আইস্পেস বানিজ্যিকভাবে চাঁদে বেড়াতে যাবার জন্য একটি অভিযান পরিচালনা করেছ। সংস্থাটি ২৫ এপ্রিল চাঁদের উত্তর প্রান্ত মারে ফ্রিগোরিসে তার ‘হাকুতো-আর মিশন ১’ মহাকাশযান অবতরণ করার চেষ্টা করে। যদিও প্রাথমিক পর্যায়ে তা ব্যর্থ হয়েছে, তবে, প্রতিষ্ঠানটি পরের বছর উৎক্ষেপণের জন্য একটি দ্বিতীয় হাকুতো-আর মহাকাশযানের উপর কাজ করছে, এবং এটি ২০২৫ সালের অভিযানের জন্য একটি ভিন্ন ডিজাইনের একটি চন্দ্রযান তৈরি করছে। এপর্যন্ত যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান চাঁদে অবতরণের জন্য অভিযান চালিয়েছে, তাদের সাথে আইস্পেসের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হল এটি একটি বেসরকারি সংস্থা। প‚র্ববর্তী সমস্ত চন্দ্রাভিযান বিভিন্ন দেশের সরকারী মহাকাশ সংস্থাগুলি দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে কোনো সুযোগ না থাকায় এতোদিন বেসরকারি সংস্থাগুলি চেষ্টা করেনি। তবে এখন ধীরে ধীরে বেসরকারীভাবে চন্দ্রাভিযানের বাজার তৈরি হচ্ছে।

বর্তমানে মাার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসাও একক ও যৌথ উদ্যোগের একটি পরিসর থেকে ‘ডেলিভারি-টু-দ্য-মুন’ নামক পরিষেবা কিনছে। পিট্সবার্গের অ্যাস্ট্রোবোটিক এবং হিউস্টনের ইনটুইটিভ মেশিন দ্বারা নির্মিত এই ধরনের প্রথম দুটি বানিজ্যিক চন্দ্রযান এই গ্রীষ্মে চালু হতে চলেছে, যার গ্রাহক যুক্তরাষ্ট্র সহ আরও অনেক দেশ, যারা চাঁদ নিয়ে গবেষণা করতে চায় কিন্তু নিজস্ব কোনো মহাকাশযান এবং গবেষণা সুবিধা নেই। হাকুতোর পরবর্তী অভিযানের পাশাপাশি মেক্সিকোর স্পেস এজেন্সি দ্বারা তৈরি প্রথম অ্যাস্ট্রোবোটিক মিশন পেরিগ্রিন ১ পাঁচটি মাইক্রো-রোভারের একটি সেট বহন করবে। ফলে অচিরেই চাঁদে নতুন নতুন বেসামরিক অভিযাত্রীদের পদচারণা ঘটবে। এবং তারা পৃথিবীতে ফিরে আসার একটি আরও বৈচিত্র্যময় পাঠ শিখবে। বর্তমানে দুটি মার্কিন সংস্থা, জাপানি মহাকাশ সংস্থা, ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা (এর দ্বিতীয় প্রচেষ্টা) এবং রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা সহ পাঁচটি সংস্থা চাঁদে মহাকাশযান অবতরণ করার চেষ্টা করছে। সূত্র: দ্য ইকোনোমিস্ট।