‘আত্মহত্যা’ নিয়ে মোদির রসিকতার সমালোচনা
২৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৮:৩৮ পিএম | আপডেট: ০১ মে ২০২৩, ১২:১৯ এএম
আত্মহত্যা কি রসিকতার বিষয়? ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বক্তব্য নিয়ে দেশটির অধিকাংশ বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজের বড় অংশ এই প্রশ্নই তুলছে। রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী থেকে শুরু করে তৃণমূল-আপ-শিবসেনা-এসপি-আরজেডি— সকলেরই দাবি, প্রধানমন্ত্রী হয়ে আত্মহত্যার মতো ভয়াবহ বিষয়কে নিয়ে হাসিঠাট্টা করা খুবই অসংবেদনশীলতার পরিচয়। গত বুধবার এক অনুষ্ঠানের একটি অংশে মোদি একটি কৌতুক বলেন। কৌতুকের মূল বিষয় ছিল- এক অধ্যাপকের মেয়ে সুইসাইড নোট লিখে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সেই নোট যখন অধ্যাপক বাবার চোখে পড়ল, তিনি বানান ভুল ধরতে ব্যস্ত রইলেন। এ নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে একাধিক বিরোধী দল। তাদের বক্তব্য, আত্মহত্যা তথা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দেশবাসীর সামনে তামাশা করলে অত্যন্ত ভুল বার্তা যায় বলেই তাদের অভিযোগ। বিশেষত ভারতের মতো দেশে, যেখানে আত্মহত্যার পরিসংখ্যান রীতিমতো শিউরে ওঠার মতো। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লিখেছেন, অবসাদ-আত্মহত্যা, বিশেষ করে যুবসমাজের মধ্যে, কোনো ভাবেই হাসির ব্যাপার নয়। প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনে যারা হো হো করে হাসলেন, তারা বরং নিজেদের একটু শিক্ষিত করুন। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অসংবেদনশীল, অসুস্থ মশকরা না করে সচেতনতা বাড়ান। রাহুল গান্ধী হিন্দিতে লিখেছেন, হাজার হাজার পরিবার আত্মহত্যার জেরে তাদের সন্তান হারিয়েছে। তাদের নিয়ে মজা করা ঠিক নয়। তৃণমূল কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে টুইট করা হয়েছে, উনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী! মিস্টার নরেন্দ্র মোদি মানসিক স্বাস্থ্য আর আত্মহত্যাকে হেয় করে মজা করছেন! প্রধানমন্ত্রী, ২০১৭ সালে ভারতে আত্মহত্যার সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ২৯ হাজার ৮৮৭। সেটা বেড়ে ২০১২-এ হয়েছে এক লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৩ জন। এটা কঠোর বাস্তব, হাসির কথা নয়। সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও। তাদের অনেকেরই মতে, কেন এমন কৌতুকের প্রয়োজন হলো, তা স্পষ্ট নয়। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যারা কাজ করেন, সেই জগতের লোকজনও যথেষ্ট ক্ষুব্ধ গোটা ঘটনায়। নীলাঞ্জনা সান্যাল নামে একজন মনোবিদ বলেন, আত্মহত্যা নিয়ে রসিকতা করলে নিজের কাছে নিজেরই লজ্জা হওয়া উচিত। এমন রসিকতা কুরুচিকর, ছিটেফোঁটা সংবেদনশীলতারও অভাব রয়েছে এখানে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্বের অধ্যাপক উপল চক্রবর্তীর কথায়, প্রধানমন্ত্রীর মতো এক জন ক্ষমতাবান ব্যক্তি সমাজের একটা বিপন্ন অংশকে নিয়ে রসিকতা করছেন, সেটা খুবই নিষ্ঠুর। কী নিয়ে ঠাট্টা করা যায় আর যায় না, প্রধানমন্ত্রীর মতো লোকের তা ভাবা উচিত। আনন্দবাজার।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে ভারত
নারীকে যৌন নিপীড়ন: খোদ মহারাষ্ট্রে ইসকন সন্ন্যাসী জুতাপেটা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
আফগানিস্তানকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠলেন উইলিয়ামস
অস্ট্রিয়ার তিরোলে তুষারধসে বাবা-ছেলের মৃত্যু
বিয়ে-বাচ্চা সব মানুষ হওয়ায় দিছে: জেফার
নতুন শাসকদের সাথে সংঘর্ষে সিরিয়ায় আসাদ অনুসারীদের হাতে ১৪ জন নিহত
কালকিনিতে ইউপি সদস্য নিহত, আহত ১০
রাজধানীতে শীতের ছোঁয়ায় শীতল সবজির বাজার
উত্তরা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হলেন ফয়সাল তাহের
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি একই সঙ্গে চলবে: প্রধান উপদেষ্টা
ইংরেজি নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা ফোটানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ
ইন্টারপোলের তালিকায় হাসিনার নাম যুক্ত হওয়া নিয়ে যা জানা গেল, খোঁজা হচ্ছে আরও যেসব বাংলাদেশিকে
দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন ভোট, মুদ্রার মান পতন
কটিয়াদীতে তুচ্ছ ঘটনায় শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
জাহাজে ছেলে হত্যা: শোকে মারা গেলেন বাবা
ভারত থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে ১৬ বাংলাদেশি আটক
সৈয়দপুরে রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কার্পেটিংয়ের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলো ছাত্ররা
শার্শায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ