আফগান-পাকিস্তান নিয়ে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে চায় চীন
১০ মে ২০২৩, ০৮:৩৩ পিএম | আপডেট: ১১ মে ২০২৩, ১২:০৩ এএম
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েন পিন মঙ্গলবার বেইজিংয়ে এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান সহযোগিতামূলক চ্যানেলের মাধ্যমে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে চায় বেইজিং। তিনি বলেন, সম্প্রতি চীনা রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিন কাং ইসলামাবাদে পঞ্চম চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান ত্রিপক্ষীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপে অংশ নেন। এটি ২০২১ সালে আফগান পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তনের পর, তিন দেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সংলাপ। মুখপাত্র বলেন, সংলাপ চলাকালে তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা পারস্পরিক আস্থা, নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সন্ত্রাসদমন, আন্তঃযোগাযোগ ও আন্তঃসংযোগ, এবং বাণিজ্য ও পুঁজিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আন্তরিকভাবে মতবিনিময় করেন। আলোচনায় একাধিক বিষয়ে মতৈক্যও প্রতিষ্ঠিত হয়। মুখপাত্র আরও জানান, সংলাপশেষে এক যৌথ বিবৃতিও প্রকাশিত হয়েছে। গ্লোবাল টাইমসএ খবর জানায়। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকায় ফের সফলভাবে ফিরেছে তালেবানরা। আফগান তালেবান ও তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) সেখানে এক মুহূর্তও অবকাশ দেওয়ার চিন্তা করছে না। পাকিস্তান মিলিটারি মনিটর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোয়াত উপত্যকা ভয় ও অনিশ্চয়তার মেঘে ঢাকা। সাম্প্রতিক এক বোমা হামলায় পুলিশ অফিসার ও বেসামরিক মানুষ হতাহতের ঘটনার পর সেই ভয় আরও বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। কারণ অত্যাচারীরা এই উপত্যকা দখল করতে পারে। সেখানে ক্যাম্পও স্থাপন করতে পারে। তাদের ভয়, পাকিস্তানের সুইজারল্যান্ডখ্যাত উপত্যকা একটি মরুভূমির মতো, অবসন্ন আর দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। পাকিস্তান মিলিটারি মনিটর জানায়, মোল্লা ফজলুল্লাহ ও তার তালেবান কমান্ডাররা প্রায় ১৫ বছর আগে এই ধরনের নৃশংসতা চালিয়েছিল। আর তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, একজনই এই ধরনের ভাবনা ধারণ করতে পারে। স্থানীয়রা মিঙ্গোরা সিটি ও গ্রিন স্কোয়ারের মধ্যবর্তী এলাকাটকে ‘রক্তাক্ত মোড়’ বলে অভিহিত করে, কারণ তালেবানরা তাদের শত্রুদের হত্যা করে তাদের মাথা ঝুলিয়ে রাখত। নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই একসময় তাদের বর্বরতার শিকার হয়েছিল। সেখানে মেয়েদের স্কুলে বিস্ফোরণ সাধারণ ঘটনা। সোয়াত ও আশেপাশের জেলায় মোট ৬৪০ স্কুল ধ্বংস করা হয়েছে। তালেবানরা মেয়েদের শিক্ষা, সঙ্গীত শিক্ষা ও নাচের মতো বিষয়গুলোতে আদেশ জারি করত। তারা একে নিন্দাজনক মনে করে। গ্লোবাল টাইমস, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ