ফিলিস্তিনিদের ৩ গণকবর বিচ রিসোর্টের নিচে
২৫ মে ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম | আপডেট: ২৫ মে ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম
ফিলিস্তিনি গ্রামে গণহত্যা নিয়ে বিস্তৃত গবেষণায় একটি সৈকত রিসোর্টের নিচে তিনটি সম্ভাব্য গণকবর চিহ্নিত হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে তৎকালীন জেলে গ্রামটি ধ্বংস হয়। ওই এলাকার বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি ও ইতিহাসবিদরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন, হাইফার কাছে তানতুরায় প্রায় দেড় হাজার মানুষের বসবাস ছিল। সেখানকার পুরুষরা দখলদার আলেকজান্দ্রোনি ব্রিগেডের কাছে আত্মসমর্পণ করলে মৃত্যুদÐ দেয়া হয়। তাদের মৃতদেহ গণকবরে ফেলে দেয়া। দাবিকৃত ওই এলাকা এখন ডোর বিচের জন্য নির্ধারিত গাড়ি পার্ক। সেখানে অনুমানিক ৪০-২০০ জনের কবর রয়েছে। সা¤প্রতিক বছরে তানতুরা গণহত্যার প্রমাণের নিয়ে ইসরাইলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিতর্ক তৈরি করেছে। ইহুদি বাহিনীর নৃশংসতার কারণে এই ঘটনা ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে বিবেচিত। গত বছর এই নিয়ে ইসরাইলে তৈরি একটি ডকুমেন্টারি ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়। গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচার বিস্তৃত পরিসরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছে। আগে থেকেই একটি গণকবরের অবস্থানের কথা জানা ছিল। এবার গবেষকরা সাবেক জেলে গ্রামে দ্বিতীয় গণকবরের স্থানটি খুঁজে পেয়েছে। এছাড়া দুটি সম্ভাব্য স্থান চিহ্নিত করেছে। গোল্ডস্মিথস, লন্ডন ইউনিভার্সিটি ভিত্তিক ফরেনসিক আর্কিটেকচার বিভিন্ন সময়ের উপাত্ত, নথি, নতুন সংগৃহীত সাক্ষ্য ও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রেকর্ড তুলনামূলক বিশ্লেষণ করেছে। এতে মৃত্যুদÐের সম্ভাব্য স্থান ও গণকবরের পাশাপাশি আগে বিদ্যমান কবরস্থান এবং কোনো কবর উত্তোলন বা অপসারণ করা হয়েছে কি না তাও যাচাই করা হয়েছে। এদিকে ফিলিস্তিনি পরিচালিত মানবাধিকার গোষ্ঠী আদালাহ বুধবার এ বিষয়ে প্রথমবারের মতো একটি পিটিশন দাখিল করেছে। সংস্থাটি বলছে, যুক্তি দেয়া কঠিন যে তানতুরায় কোনো গণকবর নেই। ইসরাইলি ও আন্তর্জাতিক উভয় আইনে ভুক্তভোগী পরিবারের এই সাইটগুলো দেখার অধিকার রয়েছে। এ ঘটনা মর্যাদাপূর্ণ দাফনের অধিকারের স্পষ্টতই লংঘন। আগে চিহ্নিত গণকবরটি একটি খোলা মাঠে কাঁটাযুক্ত নাশপাতি ঝোপ ও তিনটি গাছের কাছে অবস্থিত বলে বর্ণনা করা হয়। এখন এটি পার্কিং লটের নিচে। তবে সাইটটি খনন করা হয়নি। দ্বিতীয় গণকবরটি একটি বাগানের কাছাকাছি গ্রামের উন্মুক্ত স্থানে অবস্থিত। যার ওপর রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের কংক্রিটের আস্তরণ। এছাড়া সম্ভাব্য মৃত্যুদÐ কার্যকরের স্থানটি ছিল একটি বাড়ির পেছনের উঠান। বহু বছর আগে মানুষের হাড় পাওয়া যাওয়ায় ধারণা করা হয়, এখানেও একটি গণকবর থাকতে পারে।ভুক্তভোগী পরিবার ও আদালাহ আশা করে ফরেনসিক আর্কিটেকচারের তদন্ত ১৯৪৮ সালের নাকবা বা বিপর্যয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবে। তখন প্রায় সাত লাখ মানুষ অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা ইসরাইলি রাষ্ট্র সৃষ্টির কারণে বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত বা পালিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় প্রায় ৫০০ গ্রাম ধ্বংস হয়। ফরেনসিক আর্কিটেকচার জানায়, তানতুরা প্রকল্পটি ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিষয়ে তাদের সিরিজ ভিজ্যুয়াল তদন্তের প্রথম অংশ। গার্ডিয়ান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক