নিভছে না জাতিগত দাঙ্গার আগুন, চলছে সেনাভিযান

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৮ মে ২০২৩, ০৮:৪৪ পিএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম

ভারতের মনিপুর রাজ্যে সহিংসতা থামছে না। কিছু দিন পর পর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে সেখানকার বিভিন্ন জাতি ও গোষ্ঠী। কিছুতেই নিভছে না জাতিগত দাঙ্গার আগুন। বিষয়টি আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে যখন বিভিন্ন পাহাড়ি গোষ্ঠী এতে উস্কানি দেওয়া শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার অভিযান শুরু করেছে ভারতের আসাম রাইফেলস ও সেনাবাহিনী।

দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু ও ইম্ফল উপত্যকা ঘিরে রাখা পাহাড়গুলোতে অভিযান শুরু করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। গভীর জঙ্গলে আত্মগোপন করে থাকা কুকি ও নাগা সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধেই এই অভিযান। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র বলছে, জাতি দাঙ্গায় ইন্ধন জোগাচ্ছে ইউনাইটেড পিপলস ফ্রন্ট ও কুকি ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলো। পাহাড়ে মেতেইদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তারা। আজ শনিবার থেকেই সেনাপতি জেলার মতবুং, সদর হিল অটোনোমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সাইকুল, পুখাও ও সাংগলমাং এলাকায় অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

৩ মে থেকে মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেতেই জনজাতির সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘাত চলছে কুকি-ঝোমি ও অন্য আদিবাসীদের। এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন পঞ্চাশ জনেরও বেশি মানুষ। সেখানে জারি করা হয়েছে কারফিউ, বন্ধ আছে ইন্টারনেট। এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আদালতের নির্দেশেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে এখন সব নিয়ন্ত্রণে আছে। উল্লেখ্য, মণিপুরে ট্রাইবাল বা আদিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই নতুন কিছু নয়। কয়েক শ’ বছর ধরে তা চলছে। তবে এবার তা ভিন্ন মাত্রা ধারণ করেছে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, মণিপুরে সংখ্যাগুরু মেতেইরা তফসিলি উপজাতির তকমা দাবি করে বারুদের স্ত‚পে আগুন দিয়েছে। গত এপ্রিল মাসে রাজ্য সরকারকে মেতেইদের দাবি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তাই রাজ্য ও কেন্দ্রকে প্রতিবাদী বার্তা দিতেই ৩ মে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। মেতেই সংখ্যাগুরু ইম্ফল উপত্যকায় বেশকিছু বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আর এর প্রতিক্রিয়াও হয় প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। সংবাদ প্রতিদিন।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণ :স্বামী-স্ত্রীর পর চলে গেল সন্তানও

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণ :স্বামী-স্ত্রীর পর চলে গেল সন্তানও

গুলির নির্দেশদাতা হাসিনা! উদ্ভট স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জয়ের হাস্যকর কাণ্ড!

গুলির নির্দেশদাতা হাসিনা! উদ্ভট স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জয়ের হাস্যকর কাণ্ড!

টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ১২৮, পরিদর্শনে ট্রাম্প

টেক্সাসে বন্যায় নিহত বেড়ে ১২৮, পরিদর্শনে ট্রাম্প

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসী গ্রেফতারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় অভিবাসী গ্রেফতারে আদালতের নিষেধাজ্ঞা

ইসরায়েলে যাওয়া ইমামরা ‘মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়’ : আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়

ইসরায়েলে যাওয়া ইমামরা ‘মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়’ : আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়