২৩ আইএস জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দিলেন লিবিয়ার আদালত
৩০ মে ২০২৩, ০৮:২৫ পিএম | আপডেট: ৩১ মে ২০২৩, ১২:০১ এএম
লিবিয়ায় গদ্দাফির পতনের পর বিশৃংখলার সময়, ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীর হয়ে লড়াইয়ের জন্য ২৩ জিহাদীকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন লিবিয়ার একটি আদালত। সোমবার এই রায় ঘোষণা করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির প্রসিকিউটর অফিস জানিয়েছে। ৩২০ জন অভিযুক্ত আইএস জিহাদির প্রথম দল এটি, যাদের বিচার ও সাজা দেওয়া হল। হত্যাকা-সহ নানা অপরাধের দায়ে তাদের মৃত্যুদ- দেয়া হয়। আদালত একই অভিযোগে আরো নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং তাদের তিন থেকে ১২ বছরের কারাদ-ের সাজা দিয়েছেন। প্রসিকিউশন বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাঁচজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। প্রসিকিউশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতাতে গত আগস্টে শুরু হওয়া বিচারের পর আরো ১৪ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা ফিলিস্তিনি, সুদানী এবং লিবিয়ান। সকলেই ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে হেফাজতে ছিল এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীতে যোগদানের পাশাপাশি হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। এছাড়াও, আদালত তিন নাবালকের প্রত্যেককে ১০বছরের কারাদ- দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী লোতফি মোহায়েচেম। সন্দেহভাজনরা কারাগারে নীল পোশাক পরিহিত, দাড়িওয়ালা এবং মাথা কামানো অবস্থায় হাজির হন। সিরতে যুদ্ধে নিহতদের স্বজনরাও আদালত কক্ষে ঠাসাঠাসি করে বসা ছিল। মোহাইচেম বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের পরিবারের আইনজীবী হিসেবে আমরা আদালতের রায়কে খুবই সন্তোষজনক এবং খুব ন্যায্য বলে দেখছি। আদালত যাদের অপরাধ প্রমাণিত হয়েছিল তাদের সাজা দিয়েছে এবং যাদের বিরুদ্ধে অপর্যাপ্ত প্রমাণ ছিল তাদের খালাস দিয়েছে।’ রায় পড়ার সময় ‘আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ’ এবং ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যায়নি’ বলে চিৎকার ও করতালিতে রুম ভরে যায়। আইএসের নৃশংসতার শিকার মুস্তাফা সালেম ত্রাবুলসি নামের এক ব্যক্তি আদালতের বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজ। আমার এক আত্মীয়কে সিরতে স্কয়ারে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার সাহায্যে বিতাড়িত হওয়ার আগে আইএস সির্তে এবং পূর্বাঞ্চলীয় শহর দেরনায় ঘাঁটি স্থাপন করে এবং কয়েক ডজন মিলিশিয়া ও জিহাদি গোষ্ঠী বিশৃংখলার মধ্যে সুযোগ নিয়েছিল। তারা ২০১৫ সালে ত্রিপোলির একটি হোটেল হামলা চালিয়ে ৯ জনকে হত্যা করে। এর আগে আইএস জঙ্গিরা বেশ কয়েকজন মিসরীয় খ্রিষ্টানকে হত্যা ও অপহরণ করে। ২০১১ সালের ন্যাটো-সমর্থিত বিদ্রোহের পর লিবিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশৃঙ্খলা ও অনাচারে নিমজ্জিত হয়েছিল। যা ফলে দীর্ঘ সময়ের স্বৈরশাসক গাদ্দাফিকে অপসারণ ও হত্যা করা হয়। এএফপি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভারতের কাছে হারানো ২০০ একর জমি ফেরত পাচ্ছে বাংলাদেশ
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন গ্রেপ্তার
যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৩দিনে ১৫৫ অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭২
ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবীতে বালাগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের মিছিল
সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারীর সাথে সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সৌজন্য সাক্ষাৎ
গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক
যশোরে ৪ দিনের বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা, বিপর্যস্ত জনজীবন
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থেকে গ্রেপ্তার
৪ ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমালো পাকিস্তান
তারাকান্দায় সাবেক এমপি শরীফসহ ৫৯ আ’লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা
শার্শায় বাবার কোদালের আঘাতে ছেলে নিহত
গোলাপগঞ্জে ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কিশোরগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবীর র্যালিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, মসজিদ-মাজার ভাঙচুর, নিহত- ১
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাবিব-বিপ্লব গংদের নির্দেশে পুলিশ নেতা সেজে বিভ্রান্ত করেছিলেন কনস্টেবল জয়
ইসলামের বিধি-বিধান প্রতিষ্ঠা হলে ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য জগতবাসী দেখতে পাবে -মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম
যানজটের সমাধান খুঁজতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
মহানবী (সঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করা হলে কোন রাষ্ট্র প্রধানকে পালাতে হবেনা-মিলাদুন্নবী (সঃ) এর আলোচনা সভায় বক্তারা
মসজিদ-মাদরাসা কমিটি থেকে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের বিতাড়িত করতে হবে: আজিজুল হক ইসলামাবাদী
প্রশাসক হতে চান শিক্ষকরা, ঠেকাতে একাট্টা ৪ সংগঠন
বাংলাদেশের এই দলকে সেরা বললেন হার্শা