২০২৭ সাল নাগাদ গেমিং খাতে আয় দ্বিগুণ হবে মধ্যপ্রাচ্য ও উ. আফ্রিকার
৩১ মে ২০২৩, ০৮:১৬ পিএম | আপডেট: ০১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম

বর্তমানে বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা খাতের পাশাপাশি গেমিং থেকেও আয় করছে বিভিন্ন দেশ। এ খাত থেকে ২০২৭ সাল নাগাদ দ্বিগুণ আয় করবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা (এমইএনএ বা মেনা) অঞ্চল। দুবাই মাল্টি কমোডিটিস সেন্টার প্রকাশিত ২০২৩ বাণিজ্য প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস। ‘গেমিং ইন দ্য মিডল ইস্ট অ্যান্ড নর্থ আফ্রিকা (এমইএনএ): গিয়ারড ফর গ্রোথ’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, এ খাত থেকে আয় ৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মূলত তরুণ ও প্রযুক্তিপ্রেমী অধিবাসী, ডিজিটাল সংযোগের উচ্চপর্যায় ও সরকারি সহায়তার কারণে অঞ্চলগুলোয় ভোক্তা বাড়ছে এবং ক্রিয়েটর হাবে পরিণত হচ্ছে।
ভোক্তা বা গ্রাহক পর্যায়ে দ্রুতবর্ধনশীল বিভাগ হচ্ছে গেমিং ও ইস্পোর্টস। প্রযুক্তি খাতের অভাবনীয় উদ্ভাবন ও অগ্রগতির কারণে এর দর্শক অংশগ্রহণও বাড়ছে। অঞ্চল দুটোর নেতৃত্বে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সউদী আরব। বেশি আয়, শক্তিশালী ডিজিটাল এনগেজমেন্ট ও পাবলিক বিনিয়োগ উদ্যোগের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। বৈশ্বিকভাবে এশিয়া প্যাসিফিকই বাজারের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। এর মধ্যে এককভাবে বড় মার্কেট হচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। অঞ্চলগুলোয় গেমিং খাতের বিকাশে স্ট্র্যাটেজিঅ্যান্ডের সহযোগী জাদ এল মির ও ইয়াল্লা ইস্পোর্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ক্লস কাজেতস্কির অবদানের বিষয়ও প্রতিবেদনে উঠে আসে। এছাড়া প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও ব্যবসার দৃষ্টিকোণ থেকে গেমিং ও ইস্পোর্টসের ওপর প্রভাবও পরীক্ষা করা হয়েছে। ২০২৭ সাল নাগাদ গেমিং খাতে আয়ের প্রবৃদ্ধি ২০২১ সালের ২০ হাজার কোটি থেকে বেড়ে ৩৪ হাজার কোটি ডলারে উত্তীর্ণ হবে বলেও জানানো হয়েছে।
ডিএমসিসির এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, ‘গেমিং বর্তমানে বিনোদন মাধ্যমের শীর্ষে চলে এসেছে। বিশেষ করে মেনা অঞ্চলে এর প্রবৃদ্ধি বেশি। কেননা বর্তমানে বিশ্বের মোট গেমারদের ১৫ শতাংশই এ অঞ্চলকেন্দ্রিক। সুলায়েম বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্যযতœসহ অন্যান্য খাতে গেমিংয়ের উত্থান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এর গুরুত্বের বিষয়টি উত্থাপন করেছে। পাশাপাশি গেমিং খাতের ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি যে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করবে, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ডিএমসিসি দুবাইকে বৈশ্বিক বাণিজ্য কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক হাবে পরিণত করতে চাইছে, তাই ধারণা করা হচ্ছে, গেমিং খাতে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে তা সহায়তা করবে।’
সবচেয়ে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা খাতগুলোর মধ্যে ইস্পোর্টস অন্যতম। খাতটি ২০১৯-২৪ সালের মধ্যে মেনা অঞ্চলের রাজস্ব ২৩ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়াতে অবদান রাখবে। অঞ্চল দুটির তরুণ জনগোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্পন্সরদের বিনিয়োগ ও সরকারি সহায়তার কারণে এ খাতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গেমিং খাতের এ অর্থনৈতিক সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ডিএমসিসি গেমিং সেন্টার দুবাইভিত্তিক পেশাদার ইস্পোর্টস প্রতিষ্ঠান ইয়াল্লা স্পোর্টসের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শক্তিশালী ব্যবসায়িক পরিবেশ ও অবকাঠামো, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে। এ কারণে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনেক গেম ডেভেলপার প্রতিষ্ঠান দেশটিতে তাদের আঞ্চলিক অফিস স্থাপন করেছে। অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

পাবনায় চররে জমি দখল নিয়ে সংর্ঘষে গুলবিদ্ধি ৫

আইএমএফের ঋণের কিস্তি নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ

মার্কিন উচ্চশিক্ষার চরম পতন

পরিশুদ্ধ-পরিবর্তিত বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে হবে-সাহাদাত হোসেন সেলিম

গাজায় ইহুদী হামলায় ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ

জাতিসংঘের দুটি আঞ্চলিক সংস্থায় নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ

রাজনৈতিক দল গঠন এখন ছেলেখেলা!

সাভারে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

নর্থ সাউথে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

কোরআনবিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাবনা দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ

পাকিস্তান-ভারতকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখাতে বলল জাতিসংঘ

‘সর্বাত্মক যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের

নারী কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে

তারেক রহমান ‘নিয়তির সন্তান’

অতিদারিদ্র্য বৃদ্ধির শঙ্কা

২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার ১০৭২ আ’লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫ নেতা গ্রেফতার

পারভেজ হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মেহেরাজ রিমান্ডে

আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সন্তোষ কুমার রিমান্ডে

চট্টগ্রামে পেট্রোল বোমায় দগ্ধ মহিলার মৃত্যু

রাজধানীর প্রধান সড়কে ব্যাটারি রিকশা বন্ধের দাবি মোটরসাইকেল চালকদের