‘অখ- ভারত মানচিত্র’ আমরা অন্ধকারে?
০৬ জুন ২০২৩, ১১:৩২ পিএম | আপডেট: ০৭ জুন ২০২৩, ১২:০০ এএম
‘হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ/এই জীবন জ্বইলা পুইড়া শেষ তো হইল না’ (গোলাপী এখন ট্রেনে)। প্রখ্যাত চলচিত্রকার আমজাদ হোসেন পরিচালিত সিনেমায় সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছেন নায়িকা ববিতা, আনোয়ারা এবং রওশন জামিল। টিকেট ছাড়াই ট্রেনে উঠে ‘অন্ধ ভিক্ষুক’ সেজে চেকারের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টায় এই গান করেন। আমরা কি সবাই গোলাপী এখন ট্রেনে সিনেমার অন্ধ ভিক্ষুক! চোখ থাকতেও অন্ধের আচরণ করছি? জীবন জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে তবুও নীরব! ভারতের নবনির্মিত সংসদ ভবনে ‘অখ- ভারত’ মানচিত্রে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, আফগানিস্তানকে দেখানো হয়েছে। খ- ভারতের সংকল্পই নতুন ভবনের মানচিত্রে স্থান পেয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মোদী সরকারের সংসদ বিষয়কমন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। এনিয়ে ভারতেই প্রতিবাদের ঝড় বইছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবাদ, তোলপাড় চলছে। নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা সরকার তীব্র প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করেছে এমন শোনা যায়নি। শুধু তাই নয়, ভারত, পাকিস্তান, নেপালের বুদ্ধিজীবী সমাজ এ ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করছেন। ওই সব দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠেছে। নীরব শুধু বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী মহল ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো। নেপথ্যের রহস্য কি বুদ্ধিজীবীদের নগদ প্রাপ্তি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা?
মোদী সরকারের অখ- ভারতের ভাবনার সঙ্গে সুর মিলিয়েছিল আরএসএস এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো। কিন্তু অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তীব্র প্রতিবাদ করছে। স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রকে নিজ দেশের মানচিত্রে দেখানো ধৃষ্টতা দেখানোয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিতর্ক আর প্রতিবাদের ঝড় বইছে। অথচ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ, রাজনৈতিক দলের নেতারা নীরবতা পালন করছেন। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে যারা পান থেকে চুন খসলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তেড়ে আসেন; ভারতের এই অপকর্মে তারা যেন শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী হয়ে যান। বিবেকই মানুষকে অন্য জীব (গরু-ছাগল ইত্যাদি) থেকে আলাদা করেছে এবং শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সমাজ ও বৈশ্বিক পরিম-লের দিকে তাকালে মনে হয় ক্রমে ক্রমে আমরা আমাদের বিবেককে বিকলাঙ্গ করে ফেলছি। যার জন্য ১০ কোটি ভোটার দেশে এক যুগ থেকে ভোটের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে রক্ত ঝড়লেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ‘নির্বাচন ছাড়া আরো ৫ বছর বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকুক’ এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ভারতের নতুন সংসদ ভবনে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোকে নিয়ে ম্যুরালের মাধ্যমে অখ- ভারতের যে মানচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা নিয়ে অন্যান্য দেশগুলোর বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রতিক্রিয়া হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। বাংলাদেশের সিপিবি, বাসদ, উদীচী শিল্প গোষ্ঠীসহ কিছু সংগঠন প্রতিবাদ করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি, গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলো এবং অরাজনৈতিক সংগঠনে হেফাজত নীরব।
ভারতের আশপাশের দেশগুলোর প্রতিবাদের দিকে তাকালে দেখি, নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই বলেছেন, ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ‘অখ- ভারত’-এর বিতর্কিত ম্যুরাল নেপালসহ প্রতিবেশী দেশ ও অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকারক কূটনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। ভারতের অধিকাংশ নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যে আস্থার ঘাটতি রয়েছে, এই ঘটনা সেটি আরও বাড়িয়ে দেওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। নেপালের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী অলি বলেছেন, এই ধরনের মানচিত্র প্রকাশ করে ঠিক করেনি ভারত সরকার। এ ধরণের মানচিত্র প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবণতি ঘটাবে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মমতাজ জাহরা বালুচ নয়াদিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনে বিতর্কিত ম্যুরাল স্থাপন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ম্যুরালটিকে ‘অখ- ভারত’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ভারতের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ বিজেপির রাজনীতিবিদদের দেওয়া বিবৃতিতে আমরা ব্যাপকভাবে আতঙ্কিত। অখ- ভারতের অযৌক্তিক দাবিটি মূলত সংশোধনবাদী এবং সম্প্রসারণবাদী মানসিকতার একটি প্রকাশ যা শুধুমাত্র ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলো নয় বরং তার নিজস্ব ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পরিচয় ও সংস্কৃতিকে বশীভূত করতে চায়। অখ- ভারতের ধারণাটি ভারতে শাসক ব্যবস্থার অন্তর্গত ব্যক্তিদের দিয়ে ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচার করা হচ্ছে। ভারতীয় রাজনীতিবিদদের শুধুমাত্র তাদের বিভক্তিমূলক এবং সংকীর্ণ রাজনৈতিক এজেন্ডাকে আরো এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্য দেশের বিরুদ্ধে বক্তৃতা না করার পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়ে তুলতে আধিপত্যবাদী এবং সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্খাকে লালন করার পরিবর্তে ভারতের উচিত তার প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ সমাধান করা এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা।
অথচ গত ৫ মে ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারতের যে মানচিত্রের ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে তা নিয়ে বাংলাদেশের বক্তব্য কি? প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের পার্লামেন্টে অখন্ড ভারতের যে মানচিত্রের ম্যুরাল নিয়ে কথা হচ্ছে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করার কোনও কারণ নেই। তারপরেও বাড়তি ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের (মোদী সরকার) আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য। তিনি আরো বলেন, এটি অনেক আগের। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে আমরা যেটা জেনেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে, এটি অশোক সা¤্রাজ্যের মানচিত্র, এটি খ্রিষ্টের জন্মের তিনশ বছর আগের। সেই সময়ের যে অঞ্চলটি ছিল, তার একটি মানচিত্র এবং এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ন করা হয়েছে মানুুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। পাঠক কি বুঝলেন? ‘ভারতে গিয়ে বলে এসেছি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে যা যা করা প্রয়োজন করতে হবে’ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারণেই কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীরব! এ ধরণের মানচিত্র নিয়ে প্রতিবাদ করার মতো সাহস দূরে থাকুক নিন্দা করার ভাষাও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সরকার হারিয়ে ফেলেছে?
এটা ঠিক দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ‘অখন্ড ভারত মানচিত্র’ তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা হচ্ছে। নেটিজেনরা প্রতিবাদ করছেন এবং মানচিত্রটি অপসারণেরও দাবি করেছেন। এইক সঙ্গে সরকারের প্রতি আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিবাদের আহবান জানিয়েছেন। অখন্ড ভারতের মানচিত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন বিবৃতিতে বলেছেন, ভারত সরকার হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক মানচিত্রের এই ম্যুরাল স্থাপন করেছে। সিপিবি নেতারা অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানান। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেছেন, অখ- ভারত মানচিত্রে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোকে অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে, এটি এসব দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। উদীচীর সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে’র এক বিবৃতিতে অবিলম্বে ভারতের নবনির্মিত সংসদ ভবনে স্থাপিত ‘অখ- ভারত’ মানচিত্র অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বরেন, ভারতের রাষ্ট্রীয় চরিত্রের পরিবর্তন ঘটিয়ে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ন্যাক্কারজনক চেষ্টা চলছে। এই হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ‘অখ- ভারত’ শিরোনামের আপত্তিকর এবং বিভ্রান্তিমূলক মানচিত্রের এই ম্যুরাল স্থাপন। এই মানচিত্রের কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ভারতের সম্পর্কেও যেমন অবনতি ঘটবে তেমনি সাম্প্রদায়িক সহিংসতাও আসকারা পেতে পারে, যা এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য খুবই উদ্বেগজনক।
রাজনৈতিক দলগুলো না হয় সুবিধাবাদী ক্ষমতার লোভে অন্ধ হয়ে দিল্লি ভক্তিতে বিভোর। কিন্তু বুদ্ধিজীবী মহল নীরব কেন? প্রবাদে রয়েছে ‘মাছের পচন ধরে মাথায়’। জাতির মাথা হচ্ছেন বুদ্ধিজীবী সমাজ। তাহলে কি বুদ্ধিজীবী সমাজে পচন ধরেছে? বুদ্ধিজীবীরা কি ক্ষমতাসীন দলের বিষ্ঠা আর দিল্লির হালুয়া-রুটি মধ্যেই ডুবে রয়েছি। না হলে ভালমন্দ-ন্যায় অন্যায় বিচার করার মেধা হারিয়ে ফেলে রাজনৈতিক দলদাসের মতো ক্ষমতার বলয়ের কাছাকাছি থাকতেই স্বজ্ঞানে ফাঁকি, ছলচাতুরী, মিথ্যা, জুয়াচুরি, ধাপ্পাবাজি করছি! অন্যায়-অবিচার করে বাহবা কুড়াচ্ছি! উচ্চ শিক্ষিত, যুবা, বৃদ্ধ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, ছাত্র, শ্রমজীবী কেউ পিছিয়ে নেই। বিবেককে বিকলাঙ্গ করে ফেলছি?
বুদ্ধিজীবীদের দিতে তাকালে মনে হয় বুদ্ধিজীবীরা যা বলছেন বা করছেন, সেটি যে ভালো কথা নয় বা ভালো কাজ নয়, তা বোঝার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। কখনো পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে, আবার কখনো যুক্তির আশ্রয়ে ঘুটঘুটে অন্ধকারকেও ঝকঝকে আলো কিংবা নিকষ কালো রাতকেও প্রকাশ্য দিবালোক বানিয়ে ফেলছেন। অযোগ্যতাকে যোগ্যতার মাপকাঠি বানিয়ে সরকারের তোষণনীতি গ্রহণ করেছেন।
একটি দেশকে অন্যদেশ নিজেদের মানচিত্রে দেখানোর ঔদ্ধত্যপূর্ণ দৃষ্টতা দেখিয়েছে। অথচ দেশের বুদ্ধিজীবী মহল নীরব? দু’বছর আগে চিনের মানচিত্রে ভারতের লাদাখের অংশবিশেষ দেখানো হয়েছিল। এতে করে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়। নেপাল, পাকিস্তানের মতো দেশ ‘অখন্ড ভারত মানচিত্র’ প্রতিবাদ করেছে। ভারতের বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এহেন কর্মকা-ের প্রতিবাদ করছে। অথচ বাংলাদেশের প্রথম সারির রাজনৈতিক দলগুলো নীরব। বুদ্ধিজীবীরা নীরব। একটি ফোক গান রয়েছে ‘এসব দেখি কানার হাট বাজার/ বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা/ আর এক কানা মন আমার/ প-িত কানা অহংকারে/ মাতবর কানা চোগলখোরে/ সাধু কানা অন বিচারে/ আন্দাজে এক খুঁটি গেড়ে----’। আমরা কি সবাই কানার হাট-বাজারে বসবাস করছি? ##
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি