চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক সঠিক পথেই : বাইডেন
২০ জুন ২০২৩, ০৮:৩৪ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
সম্প্রতি চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ সফর ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক বর্তমানে সঠিক পথেই রয়েছে। সোমবার বাইডেন এ মন্তব্য করেন বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সম্পর্ক বর্তমানে সঠিক পথেই রয়েছে।’ তিনি আরও জানান, কেবল তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সর্বশেষ সফরের কারণেই এ সাফল্য অর্জিত হয়নি। তবে এ সফর বেশ ভূমিকা রেখেছে। ব্লিঙ্কেনের প্রশংসা করে বাইডেন বলেন, ‘তিনি দারুণ কাজ করেছেন।’ এদিকে, ওয়াশিংটন তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ দেশটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ মন্তব্য করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাইওয়ান বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’ তবে তাইওয়ান প্রণালিতে চীনের ‘উসকানিমূলক কর্মকা-ের’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানান তিনি। এর আগে, চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সেন্ট্রাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিশন অফিসের পরিচালক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই জানান, ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের সম্পর্ক এখন একটি সংকটপূর্ণ অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এখানে ওয়াশিংটনকে বাছাই করতে হবে তারা বেইজিংয়ের সঙ্গে সংলাপ নাকি সংঘাত চায়, সহযোগিতা নাকি দ্বন্দ্ব চায়। ওয়াং ই ব্লিঙ্কেনকে বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আপস স্বীকার করার সুযোগ নেই।’ ওয়াং ই বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই সত্যিকার অর্থেই এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন দিতে হবে এবং চীনের আঞ্চলিক অখ-তা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এছাড়া স্পষ্টভাবে তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করতে হবে।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরের পর ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ‘আমরা সঠিক পথে রয়েছি।’ সফরকালে ব্লিঙ্কেন চীনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্থানীয় সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্লাইমেট ও পরিবেশবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অপর এক খবরে বলা হয়, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের হুমকিকে ‘বাস্তব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের নিন্দা করার কয়েকদিন পর তিনি এই মন্তব্য করলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের হুমকি ‘বাস্তব’ বলে জানিয়েছেন বাইডেন। এর আগে বেলারুশে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনকে গত শনিবার ‘একদম দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ায় দাতাদের একটি দলকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যখন আমি প্রায় দুই বছর আগে এখানে বলেছিলাম, কলোরাডো নদী শুকিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন, তখন সবাই আমাকে পাগলের মতো দেখেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল যখন আমি বলেছিলাম- কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে পুতিনের হুমকি সম্পর্কে আমি উদ্বিগ্ন। তবে এটা বাস্তব।’ গত সপ্তাহে বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেন, তার দেশে রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। যার মধ্যে কিছু অস্ত্রকে তিনি ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার চেয়ে তিনগুণ বেশি শক্তিশালী বলে দাবি করেন। আর এর মাধ্যমে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার পর এই প্রথম রাশিয়া তার সীমানার বাইরে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করলো। রাশিয়ার বাইরে মোতায়েন করা এই ধরনের ওয়ারহেডগুলো স্বল্প-পাল্লার এবং কম শক্তিশালী পারমাণবিক অস্ত্র যা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, রাশিয়ার এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়ে ওয়াশিংটনের নিজের অবস্থান পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা নেই এবং রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো লক্ষণও যুক্তরাষ্ট্র পায়নি। এর আগে গত মে মাসে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক দশক ধরে ইউরোপে এই জাতীয় পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে এসেছে। অবশ্য বেলারুশে রুশ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর পাশাপাশি চীনও ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এছাড়া ইউক্রেনের যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধে বারবার সতর্ক করে এসেছে বেইজিং। এনডিটিভি, এএফপি, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক