টাইটানিক দেখার যাত্রায় নিখোঁজ যাত্রী ডুবোযান
২০ জুন ২০২৩, ০৮:৩৬ পিএম | আপডেট: ২১ জুন ২০২৩, ১২:০১ এএম
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখাতে মহাসাগরে ডুব দেওয়া পর্যটকবাহী একটি ডুবোযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে মধ্য আটলান্টিকে। যুক্তরাষ্ট্রের কোস্ট গার্ডের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, টাইটান নামের ওই টুরিস্ট সাবমেরিনে পাঁচজন আরোহী রয়েছেন। রোববার ডুব দেওয়ার পৌনে দুই ঘণ্টার মাথায় সাবমারসিবলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ট্যুর অপারেটর ওশানগেট বলেছে, টাইটানে থাকা পাঁচ আরোহীকে উদ্ধারের সম্ভব্য সব পথই তারা খতিয়ে দেখছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, মার্কিন ও কানাডার নৌবাহিনী এবং গভীর সমুদ্রে কাজ করা বাণিজ্যিক কোম্পানিগুলো উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করছে। ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক, প্রাণ গিয়েছিল দেড় হাজার মানুষের। দুটুকরো হয়ে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি রয়েছে আটলান্টিকের ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়ার পর থেকে বহু সংস্থা এ নিয়ে গবেষণা করেছে। পর্যটন সংস্থা ওশানগেট টাইটানিকের ওই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে নিয়ে যায় পর্যটকদের। সেজন্য তারা ব্যবহার করে কার্বন-ফাইবারের তৈরি ট্রাকের আকারের একটি সাবমারসিবল বা ডুবোযান, যার নাম টাইটান। টাইটানিক দেখার এই যাত্রা ছিল আট দিনের। নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে যাত্রা করেন পর্যটকরা। মাথাপিছু টিকেটের দাম আড়াই লাখ ডলার। সাধারণত চার দিন চলার মত অক্সিজেন নিয়ে ডাইভ শুরু করে এই টুরিস্ট সাবমেরিন। যুক্তরাষ্ট্র কোস্ট গার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়, তখনও ৭০ থেকে ৯৬ ঘণ্টার অক্সিজেন টাইটানে ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। তিনি জানান, দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন এবং সোনার বয়া দিয়ে টাইটানের খোঁজে তল্লাশি চলছে। কিন্তু স্থলভাগ থেকে দূরত্বের কারণে সাগরের ওই এলাকায় এ ধরনের তল্লাশি অভিযান খুবই কঠিন। তারপরও নিখোঁজ পর্যটকদের নিরাপদে উদ্ধারের লক্ষ্যে ‘সম্ভব সব কিছু’ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন ৫৯ বছর বয়সী ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। তিনি সোশাল মিডিয়ায় ঘোষণা দেন, অবশেষে তিনি টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাচ্ছেন এবং সেজন্য তিনি গর্বিত। পর্যটন সংস্থা ওশানগেট তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে, টাইটানে চড়ে টাইটানিক দেখতে যাওয়ার এই অভিযাত্রা “দৈনন্দিন জীবনের বাইরে পা রাখার এবং সত্যিই অসাধারণ কিছু আবিষ্কার করার এক দারুণ সুযোগ।” চলমান অভিযাত্রা ছাড়াও ২০২৪ সালের জুনে আরও দুটো অভিযাত্রার পরিকল্পনার কথা তাদের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছিল। ডুবোযান টাইটানে সাধারণত একজন পাইলট, একজন ‘কনটেন্ট এক্সপার্ট’ এবং তিনজন পর্যটক থাকেন। নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস থেকে পর্যটকদের এবং টাইটানকে আটলান্টিকের নির্ধারিত জায়গায় নিয়ে যায় পোলার প্রিন্স নামের একটি জাহাজ। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইত্তিহাদেই সিটিকে রুখে দিল ইন্টার
রোনালদোদের নতুন কোচ পিওলি
দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুড়িয়ে আফগানদের ঐতিহাসিক জয়
যেই গৌরব কেবল শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের
রিট করে ‘খেলাপি ঋণ স্থগিত’ বন্ধ চান ব্যাংক-মালিকরা
বিদেশি ঋণ ফের ১০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
টাকা উদ্ধারের নামে ‘ঘুষ’ চাওয়ার অভিযোগ জিএম শাহজাহান চৌধুরীর’র বিরুদ্ধে
জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে
৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কিনবে সরকার, ব্যয় ২৩৬ কোটি টাকা
আইকনিক লিডার তারেক রহমান ও বাংলাদেশের রাজনীতি
পতিত স্বৈরাচার ও ভারতের চক্রান্ত চলছেই
তারেক রহমানের রাষ্ট্রনায়কোচিত বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা
ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের প্রস্তাব বিবেচনা জাতিসংঘের
উত্তপ্ত মণিপুরে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে নতুন করে গোলাগুলি
২৭ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট
২০০ হাতি নিধনের সিদ্ধান্ত জিম্বাবুয়ের
কলেরাসহ মারাত্মক রোগের ঝুঁকিতে সুদানের ৩৪ লাখ শিশু
১১ হাজার ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে
বেলারুশে হামলা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে : লুকাশেঙ্কো
তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের যুদ্ধবিমান