ঢাকা   মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
দুঃসহ অবস্থা হিমাচলে আটকেপড়া পর্যটকদের

মণিপুরে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চায় সেনা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৭ জুন ২০২৩, ০৮:২৪ পিএম | আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩, ১১:৪২ পিএম

দাঙ্গা-হাঙ্গামায় বিপর্যস্ত মণিপুরে স্থিতিশীলতা আনতে সাধারণ মানুষের সহযোগিতা চেয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সোমবার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মণিপুরে নারী বিক্ষোভকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তা বন্ধ করে রাখছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অভিযানে বাধা সৃষ্টি করছে। গত ২৬ জুন রাজ্যের ইথাম গ্রামে সেনাবাহিনীকে ঘিরে ধরেন প্রায় ১ হাজার ২০০ নারী। এ নারীরা সেনাদের কাছ থেকে ১২ বিক্ষোভকারীকে ছিনিয়ে নেন। টুইটারে ওই দিনের ঘটনার ভিডিও প্রকাশ করে সেনাবাহিনী বলেছে, সেদিন রক্তপাত এড়াতে সেনাবাহিনী বলপ্রয়োগ করেনি। কিন্তু রাজ্যের নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা। টুইটারে সেনাবাহিনী বলেছে, ‘মণিপুরে নারী বিক্ষোভকারীরা ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তা অবরোধ করছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এ ধরনের অযৌক্তিক কার্যক্রম জীবন বাঁচানো ও সম্পত্তি রক্ষার মতো জরুরি অভিযানের জন্য ক্ষতিকর। ভারতীয় সেনাবাহিনী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনয়নের কার্যক্রমে সবার সমর্থন প্রত্যাশা করছে।’ এর আগে সেনাবাহিনী ইথাম গ্রামের সেই অপরারেশনের দায়িত্বে থাকা সেনা কমান্ডারের ভূমিকা নিয়ে একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠক শেষে জানানো হয়, কমান্ডার ১২ বন্দিকে ছেড়ে দিয়ে ওই সময় ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কারণ বল প্রয়োগ করলে সেখানে প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। অপর এক খবরে বলা হয়, ভূমিধসে রাস্তা বন্ধ, ১৫ কিলোমিটারজুড়ে যানজট, হোটেলগুলোতে পা রাখার জায়গা নেই, কবে ফিরতে পারবেন সেটিও অনিশ্চিত- এমনই দুঃস্বপ্নের মতো সময় কাটাচ্ছেন হিমাচল প্রদেশে আটকে পড়া দুই শতাধিক পর্যটক। রোববার রাজ্যের মান্ডি এবং কুল্লুকের মধ্যে সংযোগকারী জাতীয় মহাসড়কে ভূমিধসের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে আটকা পড়েন তারা। বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, পার্বত্য অঞ্চলটিতে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে রোববার সন্ধ্যা থেকে মহাসড়কটি অবরুদ্ধ রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাস্তায় পড়ে থাকা বড় বড় পাথরগুলো সরাতে বিস্ফোরক ব্যবহার করা হচ্ছে। আরও সাত থেকে আট ঘণ্টা পরে রাস্তাটি যান চলাচলের উপযুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিধসে রাস্তায় আটকে থাকা সোহেল ইউসুফ ও আজাজ হাসান নামে দুই পর্যটকের সঙ্গে কথা বলেছে এনডিটিভি। দিল্লি থেকে ভুন্তার বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে আটকা পড়েন তারা। আজাজ বলেছেন, মান্ডি এবং সুন্দরনগরের মধ্যে একাধিক ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১০টায় পুলিশ আমাদের থামিয়ে দেয় এবং ফিরে যেতে বলে। এখানে যানজট কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। তিনি বলেন, কোনো পর্যটক এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। পরিবার রয়েছে, বাচ্চারা রয়েছে। কেউ কেউ পুরো বাস বুক করেছিল। কেউ ধাবায় অপেক্ষা করছে, কেউই হোটেলে রুম খুঁজে পাচ্ছে না। তারা তাদের সন্তানদের নিয়ে চিন্তিত। আজাজ আরও বলেন, এ এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে, পর্যটন রিসোর্ট রয়েছে। কিন্তু তাদের সংযোগকারী কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। গতকাল বিকেল ৫টা থেকে মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো রাস্তা পরিষ্কার করা হয়নি। বিপদে পড়া আরেক পর্যটক ইউসুফ বলেন, কখন যান চলাচল আবার শুরু হবে তা জানি না। গাড়ি সামনে যাবে নাকি পেছনে, তাও জানি না। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা পুলিশের কাছ থেকে আগাম কোনো তথ্য পাইনি। আজাজ হাসান বলেন, অবরোধস্থলের দিকে যাওয়ার আগে লোকদের জানানোর ব্যবস্থা থাকা উচিত ছিল। আমরা গতকাল দুপুরে রওয়ানা দিয়ে রাত ১০টার দিকে এখানে পৌঁছাই। অর্থাৎ, ভূমিধসের পরে আমরা প্রায় পাঁচ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়েছিলাম। অথচ আমাদের ধারণাও ছিল না যে এই রাস্তা অবরুদ্ধ। আমাদের যখন এখানে থামানো হয়েছিল, ততক্ষণে ছয় কিলোমিটার যানজট লেগে গিয়েছিল। কুল্লু যাওয়ার পথে আটকাপড়া আরেক পর্যটক আদেশ কাত্যায়ন বলেন, আমাদের মান্ডিতে ফিরে যেতে হয়েছিল। রাতটা আমরা সেখানেই কাটিয়েছি। এখন আবার কুল্লুর পথে রয়েছি। তিনি জানান, তাদের পথে অন্তত ৫০০ গাড়ি আটকা পড়েছে এবং অনেক মানুষ রাস্তায় রাত কাটিয়েছে। পিটিআই, এনডিটিভি।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ম্যাট গেটসের বিরুদ্ধে যৌন ও মাদক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ
গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও
পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
আরও

আরও পড়ুন

ম্যাট গেটসের বিরুদ্ধে যৌন ও মাদক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ

ম্যাট গেটসের বিরুদ্ধে যৌন ও মাদক কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন-নাকে খত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে যুবককে বেঁধে নির্যাতন-নাকে খত দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল

গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি

গাজার হাসপাতাল ও ত্রাণ বহরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত আরও ৫৮ ফিলিস্তিনি

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের বিশাল বহর কিনছে পাকিস্তান, ছাড়িয়ে যাবে ভারতকেও

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

১৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন

সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে পটল চাষে বাম্পার ফলন

গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

গফরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু

শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

শাহরাস্তিতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু

পাকিস্তানে অবশেষে সরকার ও বিরোধী দলের আলোচনা শুরু

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ফোন

রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন

রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ  কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী

আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ  কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী

নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি  বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত

লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত

বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ

বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ

বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি

বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন

যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন

আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই  আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই  আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন

মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭

মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি

মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি