সব অস্ত্র ফেরত দিয়েছে ওয়াগনার
১৩ জুলাই ২০২৩, ১১:২৩ পিএম | আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৩, ১১:৫৩ পিএম
কিয়েভে উন্নত অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ ন্যাটোর অগ্রাধিকার : স্টলটেনবার্গ
রাশিয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে পারমাণবিক হুমকি হিসেবে দেখছে : ল্যাভরভ
বিরোধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত : এরদোগান
ইনকিলাব ডেস্ক
ওয়াগনার ভাড়াটে যোদ্ধা গ্রæপ রাশিয়ার নিয়মিত সশস্ত্র বাহিনীর কাছে অস্ত্র হস্তান্তর সম্পন্ন করছে, বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। গ্রæপটি একটি সংক্ষিপ্ত সশস্ত্র বিদ্রোহ করার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে এ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে। ট্যাঙ্ক, রকেট এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্র হস্তান্তরের ভিডিওসহ দেয়া একটি বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে যে, ওয়াগনার ২ হাজারেও বেশি সরঞ্জাম এবং ২,৫০০ টন গোলাবারুদ স্থানান্তর করেছে। হস্তান্তরটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট চিহ্ন যে, ওয়াগনার - যার যোদ্ধারা ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলি চালিয়েছে - সেখানে যুদ্ধ অভিযান থেকে বেরিয়ে আসছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সম্পন্ন একটি চুক্তির পরে ওয়াগনার এবং এর নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন, যিনি তাদের যুদ্ধ পরিচালনার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রধানদের নিষ্ঠুরভাবে সমালোচনা করেছিলেন, গত মাসে তাদের স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহ প্রত্যাহার করেছিলেন। ২৩-২৪ জুন বিদ্রোহের সময়, ভাড়াটে সৈন্যরা দক্ষিণ রাশিয়ার শহর রোস্তভ-অন-ডন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল এবং মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে একটি অনির্দিষ্ট সংখ্যক সামরিক হেলিকপ্টার গুলি করে তাদের পাইলটদের হত্যা করে। পুতিন এটিকে ‘পিঠে ছুরিকাঘাত’ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের একটি কাজ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন যা দেশকে গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত করার ঝুঁকিতে ফেলেছিল। কিন্তু চুক্তির অধীনে এটি শেষ হয়। ক্রেমলিন বলেছিল যে, রক্তপাত এড়াতে প্রিগোজিন বেলারুশ চলে যাবে এবং তার বিরুদ্ধে করা ফৌজদারি মামলা বাদ দেয়া হবে। তার যোদ্ধাদের নির্বাসন, রাশিয়ার নিয়মিত বাহিনীতে যোগদান বা দেশে ফিরে যাওয়ার বিকল্প দেয়া হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, অস্ত্র হস্তান্তর ‘পরিকল্পনা অনুসারে’ হচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনকে এই ধরনের ক্লাস্টার বোমা দিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জার্মানি আপত্তি জানিয়েছে। ২০০৮ সালে এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার যাতে না হয়, তার জন্য একটি চুক্তি হয়েছিল। জার্মানি সেই চুক্তির অন্যতম দেশ। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এ ধরনের বোমা বেসামরিক মানুষের ক্ষতির কারণ হতে পারে। কারণ, এ বোমা নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করে না। চারিদিকে ছড়িয়ে যায়। ফলে এ বোমা ব্যবহার করলে বহু মানুষ আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন এবং সেখানে বেসামরিক মানুষেরাও আক্রান্ত হতে পারেন।
রাশিয়া ইউক্রেনেযুদ্ধ শুরু করার পর অভিযোগ উঠেছিল, বেশ কিছু জায়গায় রাশিয়ার সেনা ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এবার সেই ক্লাস্টার বোমা ইউক্রেনের হাতে তুলে দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। ক্লাস্টার বোমা বিরোধী চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র নেই। ফলে ইউক্রেনকে এ ধরনের বোমা দিতে তাদের কোনো আইনি সমস্যা নেই। কিন্তু আমেরিকা ন্যাটোর অংশ। ন্যাটো ইউক্রেনকে কোনো অস্ত্র দিলে সেখানে ন্যাটোর সমস্ত দেশের সবুজসংকেত প্রয়োজন। ফলে জার্মানি সমস্যায় পড়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস অবশ্য বিষয়টি থেকে দূরত্ব তৈরির কৌশল নিয়েছেন। বুধবার বার্লিনে অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া ক্লাস্টার বোমার পক্ষে মত দিয়েছে। জার্মানি যে অবস্থান নিতে চলেছে তা হলো, যুক্তরাষ্ট্র একটি সার্বভৌম দেশ। ইউক্রেনকে ব্যক্তিগতভাবে তারা এই বোমা দিচ্ছে। জার্মানি এই বোমা সমর্থন করে না ঠিকই, কিন্তু তারা নিষেধ করার জায়গাতেও নেই। যুদ্ধশুরু হওয়ার পর ইউক্রেনকে কী ধরনের অস্ত্র দেয়া হবে, তা নিয়েও রীতিমতো সমস্যায় পড়েছিল জার্মানি। প্রাথমিকভাবে জার্মানির অভিমত ছিল কেবলমাত্র রক্ষণাত্মক অস্ত্রই দেয়া হোক ইউক্রেনকে। পরে অবশ্য তারা আক্রমণাত্মক অস্ত্রও দিয়েছে। এবার ক্লাস্টার বোমা নিয়ে সেই একই সমস্যায় পড়েছে জার্মানি।
ইউক্রেন জানিয়েছে, তাদের অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ দ্রæত শেষ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজন মতো অস্ত্রের জোগান দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। জার্মানি এবং যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র তৈরির সবচেয়ে বড় দেশ। তারাও ইউক্রেনকে অস্ত্র জোগান দিয়ে উঠতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে আমেরিকা ক্লাস্টার বোমা দিতে চাইছে ইউক্রেনকে। কারণ এই বোমা একসঙ্গে অনেককে ঘায়েল করা যায়। ইউক্রেনও এই বোমা পেতে উৎসাহী। সাম্প্রতিক ন্যাটোর সম্মেলনে জার্মানি ইউক্রেনের জন্য ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্রের প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। কিন্তু সেই অস্ত্র কতদিনে দেয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন জানিয়েছ, রাশিয়াকে পরাস্ত করার জন্য যত দ্রæত সম্ভব তাদের আরো অস্ত্র প্রয়োজন।
কিয়েভে উন্নত অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ ন্যাটোর অগ্রাধিকার : ন্যাটো অগ্রাধিকার হচ্ছে কিয়েভকে উন্নত অস্ত্র ব্যবস্থা এবং তাদের জন্য বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ এবং খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ করা, ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বুধবার বলেছেন। ‘আমরা অনেক মাস আগে উপলব্ধি করেছি যে, এটি একটি ক্ষয়ক্ষতির যুদ্ধ, মানে লজিস্টিকসের যুদ্ধ। বিভিন্ন উন্নত অস্ত্র সিস্টেম ইউক্রেনে সরবরাহ করা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নতুন সিস্টেম সরবরাহ করার মতোই গুরুত্বপূর্ণ হল যে, সেখানে যেসব অস্ত্র ইতিমধ্যেই আছে সেগুলো মেরামত করা ও উপযোগী রাখা। সেখানে বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ, খুচরা যন্ত্রাংশ রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামতের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে,’ তিনি ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেছেন যে, আলোচনার টেবিলে ইউক্রেনের ভবিষ্যত অবস্থান তার পাল্টা আক্রমণের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। ‘আমি মনে করি যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ভবিষ্যতে এটি ঠিক কীভাবে করা হবে তা অনুমান করা ভুল। এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যুদ্ধ যাতে ন্যায়সঙ্গত এবং দীর্ঘস্থায়ী উপায়ে শেষ হয় তা নিশ্চিত করা। এই কারণেই সবচেয়ে জরুরি, সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখা,’ তিনি বলেছিলেন। ন্যাটো কর্মকর্তা এর আগে বলেছিলেন যে, বøকটি ইউক্রেনকে সদস্যপদ কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তা থেকে ছাড় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সমস্ত শর্ত পূরণ হলে দেশটিকে জোটে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিশ্রæতি দিয়েছে।
রাশিয়া এফ-১৬ যুদ্ধবিমানকে পারমাণবিক হুমকি হিসেবে দেখছে : পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ইউক্রেনের এফ-১৬ ফাইটার জেট ব্যবহার করার বিষয়টিকে রাশিয়া পরমাণু যুদ্ধের পশ্চিমা হুমকি হিসেবে দেখবে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বুধবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাতকারে বলেছেন। ল্যাভরভ বলেছেন, ‘ঘটনার একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক মোড়ের একটি উদাহরণ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিয়েভ সরকারকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করার পরিকল্পনা করছে। আমরা পারমাণবিক শক্তি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সকে জানিয়েছি যে, রাশিয়া এ বিমানগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র বহনের ক্ষমতাকে উপেক্ষা করতে পারে না। এখানে কোনও আশ্বাস সাহায্য করবে না।’
‘যুদ্ধ অভিযানের সময়, আমাদের সেনারা এ ধরণের প্রতিটি নির্দিষ্ট বিমান পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহের জন্য সজ্জিত কিনা তা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে না,’ তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা এই সত্যটিকে বিবেচনা করব যে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর কাছে পারমাণবিক যুদ্ধের পশ্চিম থেকে হুমকি হিসাবে এমন সিস্টেম রয়েছে।’ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেছেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্ররা রাশিয়ার সাথে সরাসরি সশস্ত্র সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করছে এবং এটি বিপর্যয়কর পরিণতিতে পরিপূর্ণ।’ ‘রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের শর্তগুলি আমাদের সামরিক মতবাদে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তারা সুপরিচিত, এবং আমি তাদের আর একবার পুনরাবৃত্তি করব না,’ যোগ করেন ল্যাভরভ।
বিরোধে মধ্যস্থতা করতে প্রস্তুত : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান বুধবার রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাতে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন। ভিলনিয়াসে ন্যাটো সম্মেলনের পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। যদিও তিনি বলেছিলেন যে, তাকে এই ভ‚মিকার জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়নি।
মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তিতে মধ্যস্থতা করতে হলে তিনি সাহায্য করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এরদোগান বলেন, ‘যদি উভয় পক্ষ সম্মত হয় বা আমাদের মধ্যস্থতা চায়, আমরা তা করতে পেরে খুশি হব। যেভাবে ইস্তাম্বুল শস্য করিডোরের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে, আমরা সবসময় এ ধরনের পদক্ষেপে মধ্যস্থতাকারী হতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, তুরস্ক এমন একটি দেশ যা রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ের সাথেই আলোচনায় বসতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে তা করার জন্য যোগাযোগ করা হয়নি।’ সূত্র : তাস, ডয়চে ভেলে, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ভবিষ্যতে পুতিনের সাথে সরাসরি কথা বলতে চান শলৎজ
বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ওপর ২২০০ সহিংসতা নিয়ে ভারতের তথ্য বিভ্রান্তিকর : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
ছিনতাইকারীর হাতে খুন হন হাফেজ কামরুল
ধামরাইয়ে ২টি ড্রেজার মেশিন জব্দ
রাবিতে অপরাধে জড়িত ৬ শিক্ষার্থী স্থায়ী বহিষ্কার, শাস্তি পেল মোট ৩৩ জন
রাণীশংকৈলে ফিল্মি স্টাইলে দোকান চুরি, ১৮ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও চোর ধরতে ব্যর্থ পুলিশ
মাগুরার শালিখায় অজ্ঞাত বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার
আমরা আল্লাহর উপরে ভরসা করি আর হাসিনার ভরসা ভারতে -দুলু
বাংলাদেশের গুমের ঘটনায় ভারতের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের
ঢাকায় ‘হযরত ফাতিমা জাহরা (সা.আ.) বিশ্বের নারীদের আদর্শ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
চার ভাগে ফিরবেন ক্রিকেটাররা
চাঁদাবাজদের ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: হাসনাত
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের বরাদ্দ পেল বাফুফে
ইজতেমা মাঠকে যারা খুনের মাঠে পরিণত করেছে তারা সন্ত্রাসী
আসছে ভিভোর এক্স সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ২ ভারতীয় নাগরিককে স্বদেশে ফেরত
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি’র দু পক্ষে সংঘর্ষ,৩ জন গুলিবিদ্ব সহ আহত ১০
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব-তামিমকে পাওয়া যাবে: ফারুক
ইজতেমা মাঠে হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করুন