তাপপ্রবাহ আরো বাড়ার পূর্বাভাস জাতিসংঘের
১৯ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৪ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
এশিয়া থেকে ইউরোপ বা আমেরিকা, বিশ্বের বেশির ভাগ অঞ্চল চরম তাপপ্রবাহে ফুটছে। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও পারদ অতিক্রম করছে আগের সব রেকর্ড। এমন পরিস্থিতিতে তাপপ্রবাহ আরো বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। তাপমাত্রা কমার কোন লক্ষণ নেই বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বা ডব্লিউএমও। সংস্থার তাপ বিষয়ক বিষযক উপদেষ্টা জন নায়ারন জেনেভায় বলেছেন, তাপমাত্রা আরো বাড়বে। বিশ্বকে আরো দাবদাহের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সংস্থাটি জানায়, তাপপ্রবাহের তীব্রতার কারণে উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা ও ভূমধ্যসাগরে তাপমাত্রা আরো কয়েকদিন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকবে। এদিকে এশিয়া, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায় জারি করা হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জারি হয়েছে স্বাস্থ্য সতর্কতা। হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর ভিড়। এ পরিস্থিতিতে বেশি করে পানি পান ও সূর্যের আলো থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এদিকে, ইতালির রাজধানীর রোমে তাপমাত্রা বৃদ্ধির আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ হয়েছে। একই সময়ে দেশজুড়ে হাসপাতালে বেড়েই চলেছে তাপজনিত অসুস্থতায় আসা রোগীর সংখ্যা। কিছু হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে পানিশূন্যতা বা অতিরিক্ত গরমে সৃষ্ট অন্যান্য অসুস্থতায় রোগী ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বেড়েছে। মঙ্গলবার রোমে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে তাপমাত্রা, যা ২০২২ সালের জুনের ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড ভেঙেছে। সিসিলিতে প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠে আসে পারদ, আর সার্ডিনিয়ায় ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নেপলসের একটি হাসপাতাল জানায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় জরুরি বিভাগে ২৩১ জন রোগী এসেছে, গড়ে প্রতি ছয় মিনিটে একজন। ২০২০ সালের কভিড-১৯ এর পর দৈনিক হিসেবে এটি সর্বোচ্চ। কর্তৃপক্ষ জানায়, বেশিরভাগ রোগীই বয়স্ক। তবে পর্যটকসহ বড় বয়সী মানুষ রয়েছেন। হাসপাতালের মহাপরিচালক আন্তোনিও ডি’আমোর জানান, গত ১৭ জুলাই ভর্তি রোগীদের ২ শতাংশের অবস্থা গুরুতর ছিল আর ৩৮ শতাংশ ছিল মাঝারিভাবে গুরুতর। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে রোম, ফ্লোরেন্স, বোলোগনা, বারি, কাটানিয়া, ক্যাগলিয়ারি, পালের্মো ও তুরিনসহ ২৩টি শহরে ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এর মানে হলো তাপমাত্রা জনসাধারণের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। শুধু শিশু বা বয়স্ক নন সবাই ঝুঁকিতে রয়েছেন। রেড অ্যালার্টের পাশাপাশি কিছু পরামর্শও দেয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে গত গ্রীষ্মে ইউরোপ জুড়ে ৬১ হাজার ৬৭২ জন মানুষ তাপজনিত কারণে মারা গিয়েছেন। ওই সময় বিস্তৃত এলাকাজুড়ে রেকর্ড উষ্ণতা বিরাজ করছিল। মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ছিল ইতালি, গ্রিস, স্পেন ও পর্তুগালে। রয়টার্স, গার্ডিয়ান।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার