ঢাকা   রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

স্তন্যপায়ী-ডাইনোসর যুদ্ধ!

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২০ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৪ পিএম | আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৩, ১১:৪৯ পিএম

একটি সাহসী স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং ডাইনোসরের প্রাণঘাতী যুদ্ধে আবদ্ধ হওয়ার মুহূর্তটি ক্যামেরায় ধারণের মাধ্যমে একটি অসাধারণ জীবাশ্ম আবিষ্কার করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, চীনের লিয়াওনিং প্রদেশে পাওয়া জীবাশ্মটি প্রথম প্রমাণ যে, কিছু প্রাথমিক স্তন্যপায়ী প্রাণী ডাইনোসরকে খাওয়ার চেষ্টা করেছিল। ডাইনো শিকার হল উদ্ভিদ-ভোজনকারী একটি ঠোঁটওয়ালা ডাইনোসর যার মাপ প্রায় ১২০ সেমি। বৈজ্ঞানিক জার্নালে ন্যাচারে প্রকাশিত গবেষণাটি, ১৪ দশমিক ৫০ থেকে ৬ দশমিক ৬০ কোটি বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগে ডাইনোসররা পৃথিবীতে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় বিচরণ করেছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

আক্রমণকারীকে রেপেনোমামাস রোবস্টাস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, এটি একটি ব্যাজারের মতো প্রাণী যার মাপ প্রায় ৪৭ সেমি। এটি ক্রিটেসিয়াসের সময় সবচেয়ে বড় স্তন্যপায়ী প্রাণীদের অন্যতম ছিল, যখন বড় ডাইনোসরের আধিপত্য ছিল।

জীবাশ্মটি দেখায় যে, স্তন্যপায়ী প্রাণীর দাঁত তৃণভোজীর পাঁজরের খাঁচায় অনুবিদ্ধ হয়েছিল। যা থেকে বোঝা যায় যে, ডাইনোসরের আক্রমণের সময় উভয় প্রাণী হঠাৎ মারা যায়।
কানাডার অটোয়াতে অবস্থিত কানাডিয়ান মিউজিয়াম অফ ন্যাচারের প্যালিওবায়োলজিস্ট ডা. ম্যালন বলেছেন : ‘এ প্রাণী দুটির সহাবস্থান নতুন নয়, তবে এ আশ্চর্যজনক জীবাশ্মের মাধ্যমে বিজ্ঞানের কাছে যা নতুন তা হল শিকারী আচরণ যা এটি দেখায়’।

দীর্ঘদিন ধরে জানা গেছে যে, দুটি প্রজাতি ক্রিটেসিয়াসের সময় সহাবস্থান করলেও আগে এ ধরনের আক্রমণের কোনো প্রমাণ মেলেনি। ডাইনোসর এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী ২ কোটি ৩০ লাখ বছর ধরে সহাবস্থান করেছিল। যদিও বিজ্ঞানীরা সম্মত হন যে, তারা বিভিন্ন উপায়ে মিথস্ক্রিয়া করেছে, এসব মিথস্ক্রিয়ার সরাসরি জীবাশ্ম প্রমাণ বিরল।
ডক্টর জর্ডান ম্যালন বলেছেন, ‘দুটি প্রাণী মারাত্মক যুদ্ধে আবদ্ধ, অন্তরঙ্গভাবে জড়িত, এবং এটি ডাইনোসরের ওপর একটি স্তন্যপায়ী প্রাণীর দ্বারা প্রকৃত শিকারী আচরণ দেখানোর প্রথম প্রমাণগুলোর একটি। ২০০৫ সালে বিজ্ঞানীরা পাঁজরের খাঁচার ভিতরে একটি কিশোর সিটাকোসরাস এর ছোট হাড়সহ একটি আর রোবস্টাস জীবাশ্ম খুঁজে পান। সূত্র : দি ন্যাশনাল নিউজ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

গোল উৎসবে নেশন্স কাপে উড়ন্ত সূচনা জার্মানির

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

জয়ে ইংল্যান্ডের সাউথগেট-পরবর্তী অধ্যায় শুরু

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

পোপের ১৫৪ রানের পরেও ইংল্যান্ডের ৩২৫,কামিন্দু-সিলভায় লংকানদের লড়াই

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

স্কটল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করলো অস্ট্রেলিয়া

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

মানিকগঞ্জে ইছামতী নদীতে থেকে মরদেহ উদ্ধার

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

‌'শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কঠাগড়ায় দাঁড় করাতে হবে'

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

শেষ ম্যাচও জিততে চায় বাংলাদেশ

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় জামায়াতকে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করতে হবে

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

আইওসির কোচিং কোর্সে বাংলাদেশের মাহফিজুল

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

নাটোরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

পটিয়ায় জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদ্ন্নুবী অনুষ্ঠিত

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

মীরসরাইয়ে কমছে পানি তীব্র হচ্ছে নদীভাঙন

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী চাঁদাবাজের ঠাঁই হবে না

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়াই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

নেমে গেছে বানের পানি স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সভাপতি শওকত সম্পাদক মানিক

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

সংযোগ সড়ক ভেঙে দুর্ভোগে ৬ গ্রামবাসী

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

বাড়িভিটা হারিয়ে দিশেহারা তিস্তা পাড়ের মানুষ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

ভয়াবহ বন্যায় কৃষি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সর্বনাশ

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা

মাদরাসা শিক্ষার সংস্কার : একটি পর্যালোচনা