বিপদের অশনি সংকেত কী কী এল নিনোয়
১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৯:১৬ পিএম | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
বিপদের নাম এল নিনো। দুনিয়া জুড়ে ইতিমধ্যেই যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এল নিনোর প্রভাব থাকবে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি, এটি খরা, খিদে আর মশাবাহিত রোগ নিয়ে আসবে বলেও জানিয়েছেন তারা। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ব উষ্ণায়ন ও এল নিনো নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা বিজ্ঞানী ওয়াল্টার বেথগেন। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য দিয়েছেন তিনি। বেথগেনের কথায়, ‘এল নিনোর বছর মানেই আপনাকে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের জেরে এল নিনোর চরিত্রেও বদল আসছে। চলতি বছরের জুন-জুলাইতে পুড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। বেশ কিছু জায়গায় উষ্ণতা রেকর্ড ছুঁয়েছে। যা প্রভাব ফেলেছে এল নিনোর উপর।’ গবেষকদের অনুমান, চলতি বছরের শেষে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। অন্যদিকে মহাসাগরগুলির তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৯-০.৭ ডিগ্রি। সাগরগুলি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় মরু এলাকার বরফ গলতে শুরু করেছে। এতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সতর্ক করেছেন সমুদ্র বিজ্ঞানীদের একাংশ। কেন এল নিনোকে খরা আর খিদের বছর বলে উল্লেখ করলেন বেথগেন? ‘এল নিনোর জেরে এবার এমনিতেই বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে ফসল উৎপাদনের উপর। ভারত বা ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে আগামী দিনে আধপেটা বা অনাহারে থাকবে হবে অনেক মানুষকে।’ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক ও গবেষক। এছাড়া এল নিনোর বছরগুলিতে দেখা যায় তাপপ্রবাহ। যা মানব স্বাস্থ্য উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া পরিবর্তনের অধ্যাপক গ্রেগরি ওয়েলেনিয়াস জানিয়েছেন, গরম বেশি পড়লে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। চলতি বছরে ৬০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে হয়েছে। এদের অধিকাংশই পশ্চিম এশিয়ায় বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে এল নিনোর বছরগুলিতে মশা বাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এই সময় মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় জমা পানিতে সহজেই মশার বংশবৃদ্ধি হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে স্পেন ও কেনিয়ার কথা বলেছেন গবেষকরা। ১৯৯৭ থেকে ৯৯ পর্যন্ত কেনিয়ায় ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। কেনিয়া থেকে এই মশাবাহিত রোগ ছড়িয়েছিল আফ্রিকার অন্য দেশগুলিতেও। ২০১৫-য় একই অবস্থা দেখা গিয়েছিল স্পেনে। ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
কাশ্মীরে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে নিহত ৪ সীমান্তরক্ষী নিহত
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ভারত যোগ, ঘটনার পরেই উধাও ভারতীয় যুবক
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল ভারত
বিষ প্রয়োগ ও শিল্প দূষণ বন্ধ করে পশুর নদী ও সুন্দরবন বাঁচাতে হবে
রাশিয়ায় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটুক্তিকারী ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে অপসারণ করতে হবে
সাইবারট্রাক ‘অচল’ করে দেয়ার জন্য মাস্ককে দুষলেন কাদিরভ
ফিরেই পান্তের সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কে গিলও
মুখে সুন্নী বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব
রাঙামাটি পৌঁছেছে তিন উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রতিনিধি দল
'কাজ না করলে বেতন বন্ধ’, ধর্মঘটকারী ভারতীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিল স্যামসাং
অফ-স্পিনে ৩৯ বার আউট: কোহলিকে যে দাওয়াই দিলেন শাস্ত্রী
মাগুরায় ৮ বছর আগে কেড়ে নেয়া মাইক্রো উদ্ধার মালিককে ফেরত দিলেন যুবদল নেতা
পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়নি: নাহিদ
যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জে ২২ লাখ টাকার ইলিশ জব্দ