যেভাবে পণ্য উৎপাদনে পরাশক্তি হতে পারে লাতিন আমেরিকা
২১ আগস্ট ২০২৩, ০৮:০৬ পিএম | আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০৩ এএম
লাতিন আমেরিকা ও এর দুইশ হেক্টর ভূমি খাদ্য, জ্বালানি ও ধাতুর ক্ষেত্রে গত পাঁচ শতাব্দী ধরে বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রথমে অঞ্চলটি সোনা, তামা, কটন, চিনির জন্য উপনিবেশদের দ্বারা লুটের শিকার হয়। পরে এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে রাবার ও তেল সরবরাহ শুরু করে। সব কিছু ছাপিয়ে ২১ শতাব্দীতে পণ্য উৎপাদনে পরাশক্তি হওয়ার সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে লাতিন আমেরিকাকে। অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তাদের এই সুযোগ কাজে লাগানো উচিত। বিশ্ব এখন ক্লিন এনার্জির দিকে ঝুঁকছে। ফলে বিভিন্ন ধরনের সোলার, উইন্ড পার্ক, পাওয়ার লাইন ও ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে বেশ কিছু ধাতুর চাহিদা তুঙ্গে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ধাতুর এক-পঞ্চমাংশ লাতিন আমেরিকায় রয়েছে। তামার খনি ও সবুজ প্রযুক্তিতে আধিপত্য রয়েছে অঞ্চলটির। তাছাড়া বিশ্ব লিথিয়ামের ৬০ শতাংশই লাতিন আমেরিকায় রয়েছে, যা ব্যাটারি তৈরির অন্যতম উপাদান। এটি রূপা, টিন ও নিকেলের ক্ষেত্রেও সমৃদ্ধ। অঞ্চলটির বিভিন্ন জায়গায় তেলের সন্ধানও আশাবাদী করে তুলছে। যেহেতু বিশ্ব সবুজায়নের দিকে নজর দিচ্ছে, তাই অঞ্চলটি আরও বেশি জনপ্রিয় হবে। বিশ্ব খাদ্য রপ্তানিতে লাতিন আমেরিকার ভূমিকা অপরিসীম। এটি এরইমধ্যে বিশ্বের ভুট্টা, গরুর মাংস, মুরগির মাংস ও চিনির ৩০ শতাংশ ও ৬০ শতাংশ সয়াবিন সরবরাহ করে। বিশ্বের আরবিকা কফির দশ কাপের মধ্যে আটটি এই অঞ্চল থেকে তৈরি হয়। ২০৩২ সালের মধ্যে অঞ্চলটি ১০০ বিলিয়ন ডলারের খাদ্য রপ্তানি করতে পারে, যা হবে বিশ্বের যে কোনো অঞ্চলের চেয়ে বেশি। পরাশক্তিগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেও অঞ্চলটি আরও বাণিজ্যিক অংশীদার পাবে। পশ্চিমাদেশগুলো চীন থেকে রেব হয়ে আসছে। এক্ষেত্রে লাতিন আমেরিকার সঙ্গে আরও চুক্তিতে আগ্রহী তারা। কারণ এটি একটি নিরপেক্ষ ও শান্তিপ্রিয় অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। তবে পণ্য উৎপাদনের এই সুবিধাকে খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা। এর অন্যতম কারণ হলো সামরিক অভ্যুত্থান, বৈষম্য ও জনতুষ্টিবাদ। এইখাত থেকে ভালো কিছু করতে হলে এসব সমস্যার সমাধান করে লাতিন আমেরিকা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে উৎপাদন ব্যবস্থাকে অব্যাহত রাখতে হবে। তাছাড়া খনির কাছাকাছি বসবাসকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুযোগ-সুবিধা ভাগ করে নেওয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা দীর্ঘকাল ধরেই উপেক্ষিত। সরকারগুলোকে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। যখন অর্থনীতি ভালো অবস্থানে থাকে, তখন দুর্দিনের জন্য কিছু মজুত করে রাখতে পারে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অবকাঠামো ও গবেষণায়ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। দ্য ইকোনমিস্ট।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গর্ভে থাকা সন্তান মারা গেলে মা-বাবা প্রতিদান প্রসঙ্গে?
হাজীগঞ্জে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষে কিশোরসহ ৪ জনের অবস্থা গুরুত্বর : আহত ৫০
উত্তরপ্রদেশে নেকড়ের পর এবার রাজস্থানে চিতাবাঘের হামলা, দুদিনে নিহত ৩
কলকাতায় ৪১ দিনের মাথায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার জুনিয়র ডাক্তারদের
দুই রাজ্যে সংঘাত, ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকল পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা
ডায়নার সঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল দেহ, এবার ধর্ষণে অভিযুক্ত সেই ডোডির বাবা
ভারতে 'এক দেশ এক ভোট’ আয়োজন কতটা সম্ভব হবে?
বৈরুতে ইসরাইলি বিমান হামলায় নিহত ৯
কুমিল্লায় অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় প্রবাসীর ওপর হামলা
এবার হলিউডের সিনেমায় জ্যাকুলিন
৯ বছর পর ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে পাকিস্তানি সিনেমা!
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন
স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে
‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের
শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি
মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
‘হাসিনা ও তার দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে’: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এ্যানি
ঢাকাস্থ গণচীনের দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত