খরায় বিপর্যস্ত পানামা খাল সঙ্কটে বিশ্ববাণিজ্য
২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৯:২৯ পিএম | আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩১ পিএম
পানামা খাল এশিয়া থেকে আমেরিকা পর্যন্ত পণ্য আমদানি-রফতানির অন্যতম প্রধান সমুদ্রপথ। যুগ যুগ ধরে এই জলপথে দুই মহাদেশের মধ্যে পণ্য বিনিময় হয়ে চলেছে। কিন্তু সেই পানামা খালই এখন সমস্যার মুখে। ক্লাইমেট পরিবর্তন এবং বিভিন্ন দেশের নীতিগত পরিবর্তনের জন্য বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম প্রতীক হিসেবে পরিচিত পানামা খালের দু’ধারে এখন শুধু অপেক্ষমান জাহাজের ভিড়। মনে করা হচ্ছে, পানামা খালের এই দূরাবস্থা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পানামা খালের উভয় পাশে এক এক সময়ে ২০০টিরও বেশি জাহাজ অপেক্ষমান। পানামা খাল পেরোতে গড়ে প্রায় চার দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে জাহাজগুলিকে। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেক সময় এমনও হয়েছে, যেখানে কয়েকটি জাহাজকে ২০ দিনেরও বেশি অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পানামা খালের দু’পাশে জাহাজের ‘মেলা’ বসার অন্যতম কারণ খালের পানির স্তর কমে যাওয়া। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দীর্ঘ খরার কারণেই পানামা খাল সংলগ্ন পানির স্তর ধীরে ধীরে কমছে। খাল সংলগ্ন গাতুন হ্রদ পানামার পানি সরবরাহের অন্যতম উৎস। সেই হ্রদের পানির স্তর গত সাত বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পেয়েছে। ফলে কমে গিয়েছে পানামার পানির স্তরও। পানামা সংরক্ষণের লক্ষ্যে, পানামা খাল কর্তৃপক্ষ (এসিপি) বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ এনেছে। কিন্তু তাতেও খুব লাভ হচ্ছে না বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। এসিপির নতুন নিয়ম অনুযায়ী, পানামা খাল দিয়ে দৈনিক ৩২টির বেশি জাহাজ যাতায়াতের অনুমতি নেই। মধ্য আমেরিকার দেশ পানামার আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১৪০০টি দ্বীপ। যার বেশির ভাগ দ্বীপেই মানুষ বসবাস করে। কিন্তু বিগত ৭০ বছরের মধ্যে এত বিপজ্জনক খরার মুখে পড়তে হয়নি দ্বীপগুলিকে। অনুমান করা হচ্ছে, এই খরার কারণে প্রায় ২০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে পানির স্তর কমে যাওয়ার কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলি কম পরিমাণে পণ্য পরিবহণ করছে। সংবাদমাধ্যম ‘ইয়াহু নিউজ’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, পণ্য আমদানি-রফতানির জন্য পানামা ব্যস্ততম দেশ। প্রতি বছর গড়ে আমেরিকার প্রায় ৪০ শতাংশ পণ্যবাহী জাহাজ পানামা খাল দিয়ে যাতায়াত করে। পানামা খালে যে ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যার প্রভাব সরাসরি বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির উপরেও পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি পানামা খালের পানির স্তর কমতে থাকে, তা হলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে। আমদানি করা বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে সে দেশে। টিওআই।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে জিয়া মঞ্চে ৩১ দফা নিয়ে লিফলেট বিতরণ
পলাতক ওসিকে গ্রেপ্তারে রেড অ্যালার্ট জারি, অভিযানে সেনাবাহিনী-পুলিশ-র্যাব
কানাডার লিবারেল পার্টি ৯ মার্চ নতুন নেতা নির্বাচন করবে
স্বৈরাচারের সহযোগীদের রাজনৈতিক দলে ঢোকালে প্রতিরোধ করা হবে : ড. রিপন
দশ বছর পর ফের পুরষ্কৃত মালালা, ফিরছেন পাকিস্তান
ভারতে এক মাসে এক গ্রাহক পেলেন ২১০ কোটির বিদ্যুৎ বিলের কপি
সাতক্ষীরায় ইজিবাইকের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরী নিহত
সীমান্তে অতন্দ্র প্রহরী জনগণ, রাজনৈতিক দলের কোনো ভূমিকা নেই
চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, মৃদু শৈত্য প্রবাহের কবলে গোট জেলা
খলনায়ক এআই, একধাক্কায় বেকার হতে চলেছেন ২ লাখ কর্মী
মক্কায় বন্যার পানিতে ভেসে গেল গাড়ি, ৪ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে অস্ত্রের মুখে ১৭ সরকারি কর্মীকে অপহরণ
যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল নেভানোর কাজে এবার নামানো হলো কারাবন্দিদের
পোল্যান্ড সীমান্তে বেলারুশের সেনা উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশে ১৩ কিলোমিটার যানজট
আগুনে পুড়ে ছাই হলিউড তারকাদের বাড়ি-ঘর
লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলে কমপক্ষে ১০ জন নিহত, সতর্কবার্তা জারি
লাকসামে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা, মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
মালালা ইউসুফজাই পাকিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার সম্মেলনে বক্তব্য দেবেন
হলুদ রঙে সেজেছে ক্ষেত