ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা ‘মুক্তমনা’ বাইডেনের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০২ এএম

মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে বহু মানুষ আমেরিকায় প্রবেশ করেন আশ্রয়ের খোঁজে। ক্ষমতায় এসে যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ আটকাতে এই সীমান্তেই প্রাচীর তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার রিপাবলিকান নেতার পথে হেঁটে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণের ঘোষণা করলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে আমেরিকার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী আলেজান্দ্রো মায়োরকাস জানান, ‘দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে প্রাচীর তৈরির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আমেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্র্যান্ডে ভ্যালি এলাকায় প্রাচীর নির্মাণ শুরু হবে। এই কাজে যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেছে হোয়াইট হাউস।’ জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এই পথ দিয়েই প্রায় আড়াই লাখ মানুষ অনুপ্রবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছিলেন। বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গদিতে বসে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন মেক্সিকো সীমান্তে পাঁচিল তোলা হবে। তার লক্ষ্য ছিল মেক্সিকো থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের আটকানো। ২০১৯ সালে সেই লক্ষ্যে তিনি শুরু করেছিলেন শরণার্থী হঠাও অভিযান। পাঁচিল সংক্রান্ত বিলে সই করায় সে সময়ে সীমান্তে আটকে পড়েন বহু মানুষ। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি।

২০২১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ট্রাম্পের নীতি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসের তরফে সেসময় প্রবেশ সংক্রান্ত নিয়মে ছাড় দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। মার্কিন ভূখ-ে আসতে শুরু করেছিলেন শরণার্থীরা। এবার সেই প্রতিশ্রুতিই ভঙ্গ করলেন বাইডেন। অন্যদিকে, তার এই সিদ্ধান্ত যে আগামী বছর আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের অস্বস্তিতে ফেলবে তা মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত