ঢাকা   শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১

ডানপন্থিদের দিকে আরো ঝুঁকছে জার্মানি

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৭ এএম

দুটি রাজ্যের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের দল এসপিডি ও তাদের জোটসঙ্গীরা চিন্তিত। অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ে কড়াকড়ি বাড়াতে পারে তারা। রবিবার জার্মানির দুটি রাজ্যÑ হেসে ও বাভারিয়ার নির্বাচনে হারের মুখোমুখি দেশের ক্ষমতাসীন দল এসপিডি বা সোশাল ডেমোক্র্যাট পার্টি ও তার জোটসঙ্গীরা। এটাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে খারাপ নির্বাচনী ফলাফল এই দলের। অন্যদিকে ডানপন্থী দল এএফডি (অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড), যাকে জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা সংবিধানবিরোধী বলে থাকে, সেই দলটি এই দুই রাজ্যে তাদের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা বাড়িয়েছে। বাভারিয়াতে ১৪.৬ শতাংশ ভোট পেয়ে তারা তৃতীয় স্থানে, হেসেতে ১৮.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে। হেসেতে জয়ী হয়েছে সিডিইউ বা ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন, বাভারিয়াতে সিএসইউ বা ক্রিশ্চিয়ান সোশালিস্ট ইউনিয়ন। এই দুটি দলই এই রাজ্যে এর আগে থেকেই ক্ষমতায় রয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞ কার্ল-রুডল্ফ কোর্টে জার্মান সংবাদমাধ্যম জেডডিএফকে বলেন, ‘জার্মান রাজনীতিতে মধ্যপন্থী দলগুলো চিরকালই দাপিয়ে বেড়িয়েছে। কিন্তু এখন ডান দিকে ঝোঁকার চল শুধু মানুষের মননে নয়, ভোটের হিসাবেও ধরা পড়ছে।’ এএফডি তার নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে রাখে অভিবাসন ও রাজনৈতিক আশ্রয় নীতির কথা। যাদের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে, এমন লাখ লাখ মানুষকে জার্মানি থেকে ফেরত পাঠাতে চায় তারা। তারা বছরের পর বছর ধরে ইসলাম ধর্মাবলম্বী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে মত তৈরি করতে কাজ করে আসছে, বিশেষ করে যারা আফ্রিকা বা মধ্যপ্রাচ্য থেকে জার্মানিতে আসছে। দেশে দক্ষ কর্মীর অভাব থাকলেও অভিবাসনের ইস্যুতে এএফডি শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এই অবস্থানেই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বহু ভোটার, জানাচ্ছে নির্বাচনী পরিসংখ্যান সংস্থা ইনফ্রাটেস্ট ডিম্যাপ। তরুণ ভোটাররাও এই শর্তেই তাদের ভোট দিচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন তারা। গত কয়েক মাসে জার্মান রাজনীতিতে নতুন করে চাঙ্গা হচ্ছে অভিবাসনের বিষয়টি। ইতিমধ্যে যাদের আশ্রয়ের আবেদন খারিজ হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে, তাল মিলিয়ে বাড়ছে দেশে আসা মানুষের সংখ্যা। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ আশ্রয় আবেদন করেছেন, যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একাধিক দল থেকে উঠছে আশ্রয় দেওয়ার সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণের কথা। নির্বাচনের পরের দিনই সিডিইউ ও সিএসইউর পক্ষ থেকে শলৎস সরকারকে তৎপর হতে বলা হয়। সংবাদমাধ্যম এআরডিকে এ বিষয়ে সিডিইউ সচিব কারস্টেন লিনেমান বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ব্যাপক চাপ পড়ছে। বেশি সংখ্যায় শরণার্থী ও অভিবাসী থাকার ফলে বেশ কিছু স্কুলেও চাপ পড়ছে শিক্ষকদের ওপর, কারণ তারাও সংখ্যায় অপর্যাপ্ত। এসপিডির পক্ষে সাসকিয়া এসকেন কথা দিয়েছেন, এসব তারা খতিয়ে দেখছেন। সোমবার তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে চ্যান্সেলর শলৎস বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে কথা বলেছেন, তিনি সিডিইউ ও সিএসইউর সঙ্গে মিলে কাজ করতে চান।’ সমাজকর্মীদের মতে, অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ে ভীতি না ছড়িয়ে বদলে ‘তথ্যসমৃদ্ধ ও গঠনমূলক’ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসুক জার্মানিতে। ডিডব্লিউ।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

ফিরেই গোলের দেখা পেলেন রোনালদো,নাসেরের সহজ জয়

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

কোহলি রিভিউ না নেওয়ার যে কারণ জানালেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

মাঠের বাইরে নতুন পরিচয়ে মেসি

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করার আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক হালাল শোকেসের ২০তম আসরে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পরাজিত শক্তি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কাল

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

‘মব জাস্টিস’ বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

গৌরনদীর দই, একবার খাইলেও আর একবার খাই

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

নোয়াখালীতে জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

স্বর্ণের দাম বেড়ে রেকর্ড ২,৬০৯ ডলার ছাড়িয়েছে

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ ও বিচার দাবিতে খুলনায় মানববন্ধন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

গাজায় অব্যাহত ইসরাইলি গণহত্যা ওআইসির নেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছেন

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

চাঁদপুর শহরে সড়ক সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া প্রসঙ্গে

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

নোয়াখালীতে ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

ভারতের দোসর ও হাসিনামিডিয়ার প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

আশাশুনিতে হাজরাখালির নেটপাটায় পানিবন্দি ২শ’ পরিবার

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে নারীদের অধিকার খর্ব হবে না: সেলিম উদ্দিন