পুনঃপ্রক্রিয়ায় ঘাটতি, ই-বর্জ্যে হারিয়ে যাচ্ছে বছরে ৯৫০ কোটি ডলার
১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ না হওয়ায় প্রতি বছর ৯০০ কিলোগ্রাম ইলেকট্রনিক পদার্থ বর্জ্যে পরিণত হচ্ছে। অথচ ভোক্তাদের ফেলে দেয়া এসব পণ্যের পেছনে যে কাঁচামাল ব্যবহার হয়, তাদের বাজার মূল্য ৯৫০ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে গ্রাহক পর্যায়ে সচেতনতা ও উৎপাদনকারী পর্যায়ে কার্যকর উদ্যোগের অভাবকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। প্রক্রিয়াকরণ করা গেলে এসব বর্জ্য আগামী দিনগুলোয় পরিবেশ অনুকূল জ্বালানি সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এমনটিই উঠে এসেছে ইউনাইটেড নেশনস ইনস্টিটিউট ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড রিসার্চের (ইউএনআইটিএআর) সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে। খেলনা, কেবল, ইলেকট্রনিক সিগারেট, টুলস, ইলেকট্রনিক টুথব্রাশ, হেডফোন ও শেভারের মতো ঘরোয়া পণ্য ব্যবহার শেষ হলে মানুষ ফেলে দেয়। পরিণত হয় বর্জ্যে। অথচ পণ্যগুলোয় থাকে লিথিয়াম, স্বর্ণ, রুপা ও তামার মতো মূল্যবান ধাতু। এসব পদার্থ আবার বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) তৈরির অন্যতম প্রধান কাঁচামাল। বিশেষ করে গাড়ির ব্যাটারি তৈরির ক্ষেত্রে লিথিয়ামের চাহিদা ব্যাপক। ফলে ইভির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আগামী দিনগুলোয় স্বাভাবিকভাবেই এসব ধাতুর চাহিদাও বেড়ে যাবে। শুধু ইউরোপেই ২০৩০ সালের মধ্যে তামার চাহিদা ছয় গুণ হয়ে উঠবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে থাকবে নবায়নযোগ্য শক্তি, যোগাযোগ, মহাকাশ ও প্রতিরক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের সম্প্রসারণ। অথচ বর্জ্য হিসেবে এসব পদার্থ প্রায়ই পুনরায় ব্যবহার করা হয় না। হয় বাড়িতে ধুলো জমে পড়ে থাকে কিংবা ফেলে দেয়া হয় আবর্জনার স্তূপে। এসব উপেক্ষায় পড়ে থাকা ই-বর্জ্য প্রতি বছর ৯০০ কোটি কিলোগ্রাম উৎপাদন হয় বিশ্বজুড়ে। আর এসব উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের মূল্য ৯৫০ কোটি ডলার। আন্তর্জাতিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্ট ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইকুইপমেন্ট ফোরামের গবেষক ম্যাগডালিনা চেরিটানোউইজ বলেন, ‘আপাত অদৃশ্য এসব ই-বর্জ্য প্রায়ই পুনঃপ্রক্রিয়া করার সময় গুনতিতে ধরা পড়ে না। সেগুলোকে ই-বর্জ্য আকারে দেখাও হয় না। পরিস্থিতির পরিবর্তন দরকার। এ বিষয়ে আমাদের দিক থেকে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো দরকার।’ উপেক্ষায় ফেলে রাখা এসব ই-বর্জ্যের এক-তৃতীয়াংশই আসে খেলনা থেকে। তাদের মধ্যে রয়েছে রেসিং কার, পুতুল, রোবট ও ড্রোন। সব মিলিয়ে যাদের বার্ষিক মূল্য ৭৩০ কোটি ডলার। প্রতি বছর প্রায় ৮৪ কোটি ৪০ লাখ ইলেকট্রনিক সিগারেট বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়া হয়। এ পরিমাণ অন্তত ছয়টা আইফেল টাওয়ারের সমান। অন্যদিকে, গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৫ কোটি কিলোগ্রাম তামার কেবল পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের উপযোগী। যেগুলো দিয়ে ১০৭ বার পৃথিবীকে ঘিরে রাখা যাবে। ইউরোপ ৫৫ শতাংশ ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক বর্জ্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ করে। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে প্রক্রিয়াকরণের পরিমাণ মাত্র ১৭ শতাংশ। দক্ষিণ আমেরিকা, এশিয়া ও আফ্রিকায় পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের হার তুলনামূলক অনেক কম। এসব ই-বর্জ্যের পেছনে উৎপাদনকারীদের দায়ী করেন বিশ্লেষকরা। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিভিন্ন সময়ে যেসব বিতর্কিত অভিযান চালিয়েছে মোসাদ
শেরপুর বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে চা দোকানীর মৃত্যু
শরীয়তপুর পৌরসভার বেশীর ভাগ সড়কেরই বেহাল দশা, ভোগান্তি চরমে
এবার বম্বে হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মোদি সরকারের, বাতিল ফ্যাক্ট চেক ইউনিট
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম
কাশ্মীরে ভোটের ডিউটিতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে নিহত ৪ সীমান্তরক্ষী নিহত
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণে ভারত যোগ, ঘটনার পরেই উধাও ভারতীয় যুবক
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশকে বিশাল লক্ষ্য ছুড়ে দিল ভারত
বিষ প্রয়োগ ও শিল্প দূষণ বন্ধ করে পশুর নদী ও সুন্দরবন বাঁচাতে হবে
রাশিয়ায় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
ইসলামের বিধি-বিধান নিয়ে কটুক্তিকারী ড. সৈয়দ জামিল আহমেদকে অপসারণ করতে হবে
সাইবারট্রাক ‘অচল’ করে দেয়ার জন্য মাস্ককে দুষলেন কাদিরভ
ফিরেই পান্তের সেঞ্চুরি, তিন অঙ্কে গিলও
মুখে সুন্নী বললে সুন্নী হওয়া যায়না, আমলের মাধ্যমে সুন্নী হতে হয় -ছারছীনার পীর ছাহেব
রাঙামাটি পৌঁছেছে তিন উপদেষ্টাসহ সরকারের প্রতিনিধি দল
'কাজ না করলে বেতন বন্ধ’, ধর্মঘটকারী ভারতীয় কর্মীদের হুঁশিয়ারি দিল স্যামসাং
অফ-স্পিনে ৩৯ বার আউট: কোহলিকে যে দাওয়াই দিলেন শাস্ত্রী
মাগুরায় ৮ বছর আগে কেড়ে নেয়া মাইক্রো উদ্ধার মালিককে ফেরত দিলেন যুবদল নেতা
পার্বত্য এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করা হয়নি: নাহিদ