আল-আকসা মসজিদ যেভাবে সংঘর্ষের কেন্দ্র হয়ে উঠল

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হামাস’ ইসরাইলের উপর তাদের আকস্মিক হামলাকে অপারেশন ‘আল আকসা স্টর্ম’ হিসাবে অভিহিত করেছিল। জেরুসালেমের এই আল আকসা মসজিদটি ঐতিহাসিকভাবে ইহুদি ও মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা ঘনীভূত হওয়ার একটি কেন্দ্রবিন্দুকে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে মসজিদটি একটি শান্তি চুক্তির আওতায় জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং দেশটির একটি ওয়াকফ ট্রাস্ট এটি পরিচালনা করে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বর্তমান পরিস্থিতির পেছনে অন্যান্য কারণের মধ্যে, আল আকসার মতো ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোয় ইসরাইলি আগ্রাসনকে একটি বড় কারণ বলে মনে করেন। যদিও এই দাবি অস্বীকার করে আসছে ইসরাইলি সরকার। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস মূলত পশ্চিম তীর শাসন করেন এবং গাজার উপর তার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। চলতি বছর আরব এবং ইসরাইলিদের মধ্যে এই চলমান উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় যখন ইসরাইলি পুলিশ সহিংসভাবে এই মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং মুসুল্লিদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে।

ইসরাইলের দাবি, ‘সহিংস’ হিসাবে চিহ্নিত মুসলমানদের গ্রেফতার করার জন্যই পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেছিল। ওই সংঘর্ষের অনেক ছবি ছড়িয়ে পড়লে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে এবং ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব ‘জিউইশ পাসওভার’ ছুটির প্রাক্কালে। এখানে আল আকসা মসজিদের ইতিহাস ব্যাখ্যা করা দরকার। ইসরাইলে হামাসের আক্রমণ এবং গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের পাল্টা আক্রমণের পর থেকে এই বিষয়টি বেশ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।

ইসলাম ধর্ম মতে, ৬২০ খ্রিস্টাব্দে একই রাতে ইসলামের নবী হযরত মোহাম্মদকে মক্কা থেকে আল আকসা এবং সেখান থেকে বেহেস্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এছাড়া ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে জানা যায়, মুসলমানরা যাদের নবী বলে মনে করতেন, তারাও সেখানে প্রার্থনার জন্য গেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইব্রাহিম (আব্রাহাম), দাউদ (ডেভিড), সুলায়মান (সলোমন), ইলিয়াস (হিলিয়াহু) এবং ঈসা (আঃ) (জিসাস বা যীশু)। পূর্ব জেরুসালেমের পুরাতন শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এই আল আকসা মসজিদ যা মুসলমানদের কাছে আল হারাম আল শরীফ বা মুসলমানদের পবিত্র স্থান (নোবেল স্যাঙ্কচুয়ারি) নামে পরিচিত। পুরো প্রাঙ্গণে মুসলমানদের দুটি পবিত্র স্থান রয়েছে। সেগুলো হল: সোনালী গম্বুজবিশিষ্ট ডোম অফ দ্য রক এবং আল আকসা মসজিদ, যা কিবলি মসজিদ নামেও পরিচিত। যা ৮ম শতাব্দীতে নির্মিত হয়েছিল।

প্রায় ১৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই স্থানটি ইহুদিদের কাছে হার হা বায়িত বা টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। এই একই স্থান বা টেম্পল মাউন্ট ইহুদিদের কাছেও সবচেয়ে পবিত্র স্থান। তারা বিশ্বাস করে যে, রাজা সলোমন তিন হাজার বছর আগে এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল। যেটি ধ্বংস করে দিয়েছিল ব্যাবিলনীয়রা। ওই জায়গায় নির্মিত দ্বিতীয় উপাসনালয়টিও ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল যা একই সাথে ধ্বংস হয়। সেই উপাসনালয়ের শুধুমাত্র পশ্চিম দিকের দেয়ালটিই এখনো টিকে আছে এবং এটিই ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান।

ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৬৭ সালে তাদের আরব প্রতিবেশীদের যুদ্ধ বাধে। ওই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণটি দখল করে নেয়। সেই সাথে পূর্ব জেরুজালেমের বাকি অংশ এবং পশ্চিম তীরের নিকটবর্তী অঞ্চলগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব এলাকা তখন মিশর এবং জর্ডানের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং ইসরাইলের এই পদক্ষেপ কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইলের দখলে থাকলেও আল-আকসা বা টেম্পল মাউন্ট এলাকাটি নিয়ন্ত্রণ করে জর্ডান।

আল আকসার দুটি মুসলিম উপাসনালয়ের আনুষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক হলেন জর্ডানের বাদশাহ। স্থানটি তদারকি করছে জর্ডানের একটি ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে, যেখানে ইসরাইলি সরকারের কেউ নেই। অমুসলিমরাও আল আকসা পরিদর্শন করতে পারে, তবে শুধুমাত্র মুসুল্লিদেরই মসজিদ প্রাঙ্গণের ভিতরে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয়া হয়। ইসরাইলের প্রধান র‌্যাবাই বা ইহুদিদের প্রধান ধর্মগুরু ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন। কারণ তারা মনে করেন এই স্থানটি এতোটাই পবিত্র যে এখানে পা ফেলা যায় না।

ইসরাইলের সরকার খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের শুধুমাত্র পর্যটক হিসাবে ওই পবিত্র স্থানটি দেখার অনুমতি দেয়। দিনে চার ঘণ্টা করে সপ্তাহে পাঁচ দিন এই উপাসনালয় পরিদর্শনের সুযোগ দেয়া হয়। ইহুদিরা টেম্পল মাউন্টের নীচে ওয়েস্টার্ন ওয়ালে বা পশ্চিম দেয়ালে প্রার্থনা করে, যাকে সলোমনের নির্মিত উপাসনালয়ের শেষ অবশিষ্টাংশ বলে মনে করা হয়।

দুই হাজার সালে তৎকালীন ইসরাইলের প্রধান বিরোধী দলের নেতা আরিয়েল শ্যারন ডানপন্থী লিকুদ পার্টির আইন প্রণেতাদের একটি দলকে ওই স্থানে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘টেম্পল মাউন্ট আমাদের হাতে রয়েছে এবং আমাদের হাতেই থাকবে। এটি ইহুদি ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান এবং টেম্পল মাউন্টে যাওয়া প্রতিটি ইহুদির অধিকার।’ তার সেই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে ফিলিস্তিনিরা। এরপর বড় ধরনের সংঘর্ষ শুরু হয়, যার ফলে শুরু হয় দ্বিতীয় ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদার। সেই সহিংসতার ঘটনাপ্রবাহ ‘আল আকসা ইন্তিফাদা’ নামেও পরিচিত।

ওই সংঘাতে তিন হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এবং প্রায় এক হাজার ইসরাইলি মারা যায়। এরপর ২০২১ সালের মে মাসে আল আকসা প্রাঙ্গণে, নিজেদের এলাকা থেকে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরাইলি পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িত হয়। যার ফলে অন্তত ১৬৩ জন ফিলিস্তিনি এবং ১৭ জন ইসরাইলি পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ইসলামপন্থী দল হামাস গাজা উপত্যকা থেকে জেরুসালেমের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে। যার ফলে ইসরাইলের সাথে তাদের টানা ১১ দিন ধরে সংঘর্ষ চলে।

তিন দশকের মধ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো, ইহুদিদের ধর্মীয় উৎসব পাসওভারের ছুটির মধ্যে ইসলামের পবিত্র রমজান মাস পড়ে। একদিন ইসরাইলি পুলিশ পাসওভারকে সামনে রেখে ইহুদি দর্শনার্থীদের মসজিদ প্রাঙ্গণ ঘুরিয়ে দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ইহুদি দর্শনার্থীদের কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার আগে ইসরাইলি পুলিশ যখন মসজিদ প্রাঙ্গণটি পরিষ্কার করছিল ঠিক সে সময় সংঘাত বেধে যায়। পুলিশের দাবি বিক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা ওয়েস্টার্ন ওয়াল লক্ষ্য করেও পাথর ছুড়েছে।

এরপর এপ্রিল মাসে, পুলিশ আল আকসা মসজিদে অভিযান চালায়। তাদের দাবি ‘বিক্ষোভকারীরা’ মসজিদের ভিতরে প্রাথর্নাকারীদের সাথে নিয়ে স্থানটি অবরোধ করে রেখেছে। ইহুদি চরমপন্থিরা পাসওভারের সময় টেম্পল মাউন্টে একটি ছাগল কুরবানি দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল এমন খবরকে ঘিরে প্রতিবাদ শুরু হয়। রোমানরা এই উপাসনালয় ধ্বংস করার আগে বাইবেলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ওই স্থানে আগেও ছাগল কুরবানি দেয়া যতো। ইসরাইলি পুলিশ এবং ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, তারা এমন কাজ করতে দেবে না। সূত্র : বিবিসি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই
নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০
ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার
ইস্তানবুলে বিষাক্ত মদ পানে ৩৩ জনের মৃত্যু, আশঙ্কাজনক ৩২ জন
চিকি‍ৎসার নামে ২০০ রোগিনীকে যৌন হেনস্থা
আরও

আরও পড়ুন

যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

যুদ্ধবিরতির প্রতীক্ষায় গাজার ফিলিস্তিনিরা, নিহত ৪৭ হাজার ছুঁই ছুঁই

এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে ৫৪ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

এক সপ্তাহে মসজিদে নববীতে ৫৪ লাখ মুসল্লির নামাজ আদায়

ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী

ধর্ম নিয়ে তাচ্ছিল্যকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদের ডাক দিলেন আজহারী

‘মা’ দেশ স্বাধীন করেছি- মৃত্যু শয্যায় শহীদ সাব্বির

‘মা’ দেশ স্বাধীন করেছি- মৃত্যু শয্যায় শহীদ সাব্বির

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

নাইজেরিয়ায় পেট্রোল ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহত ৭০

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

লাল সন্ত্রাসের ঘোষণা : মেঘমল্লার বসুর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহাবুল হককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

বিএনপিতে কোন সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মধ্যরাতে জাবির ছাত্রী হলের রুম থেকে লালন ভক্ত যুবক আটক

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে : তারেক রহমান

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় চেষ্টা করবো : মির্জা ফখরুল

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর না হলে রাজনৈতিক সংস্কার টেকসই হবে না : বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

টিসিবি’র এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীর মধ্যে ৩৭ লাখই ভুয়া: বাণিজ্য উপদেষ্টা

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিতে কারখানা পরিদর্শন ভোক্তা অধিকারের

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলায় কাউন্টার স্থাপনের পরিকল্পনা

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

রাজধানীর তিন পার্কে ভেন্ডারের চুক্তি : শর্ত ভঙ্গের তদন্তে ডিএনসিসি

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

বাবা-মায়ের পুরোনো বাড়িতে যাই : শফিকুল আলম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসায় ১৫০ কোটি টাকা অনুদান

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

২০২৪ সালে ৩১০ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার

ভারতীয় ৭২ গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে অপতথ্য প্রচার