ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্র
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০২ এএম
গাজায় অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটের পর মঙ্গলবার বিশ্ব মঞ্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন দেখাচ্ছিল। জরুরী ভোট ঘোষণার সাথে সাথে নিউইয়র্কে সাধারণ পরিষদের চেম্বারের চারপাশে উল্লাস ও হাততালির প্রতিধ্বনি হয়। মোট ১৯৩টি সদস্যের মধ্যে ১৫৩টি সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং অস্ট্রিয়া সহ মাত্র ১০টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে এবং যুক্তরাজ্য, জার্মানি ২৩টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল।
ফিলিস্তিনিরা গাজায় ইসরাইলের বোমাবর্ষণ বন্ধ করার জন্য দ্ব্যর্থহীন বৈশ্বিক আকাঙ্খার প্রদর্শন হিসাবে একটি জোরালো ফলাফলের আশা করেছিল - এবং তারা তা পেয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের পূর্ববর্তী প্রস্তাবটির পক্ষে ১২০টি দেশ ভোট দিয়েছিল, বিপক্ষে দিয়েছিল ১৪টি দেশ এবং ৪৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। সে হিসাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান বিশ্বজুড়ে জোরালো হচ্ছে। ভোটটি গাজায় ইসরাইলের নৃশংস ও নিরলস আক্রমণ বন্ধের প্রয়োজনীয়তার জন্য বিশ্বজুড়ে কঠোর ঐক্যমতকে তুলে ধরেছে যাতে ১৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, নিহতদের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত নারী ও শিশু।
মঙ্গলবারের গৃহীত প্রস্তাবে ‘গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের দুর্ভোগের উপর গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে এবং অবিলম্বে সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেছে। শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবিত একটি প্রায় অভিন্ন শব্দযুক্ত রেজোলিউশন যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিয়েছিল, যা বাইডেন প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান বিচ্ছিন্নতাকে নির্দেশ করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরাইলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন বাড়িয়েছেন। দুটি পূর্বে প্রস্তাবিত সংশোধনী, একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘হামাস দ্বারা জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা জানানো এবং আরেকটি অস্ট্রিয়া থেকে উল্লেখ করে যে, জিম্মিরা ‘হামাস এবং অন্যান্য গোষ্ঠীর দ্বারা আটক ছিল’, উভয়ই প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়।
ভোট ডাকার আগে লক্ষণ ছিল যে, বাইডেন সম্ভবত ইসরাইলের প্রতি আরও সমালোচনামূলক ভঙ্গির দিকে যাচ্ছেন। ওয়াশিংটনে একটি ২০২৪ সালের পুনঃনির্বাচনের প্রচারণার তহবিল সংগ্রহে তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করেছিলেন যে, তিনি হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাচ্ছেন এটি একটি বিপদ যা এখন বাইডেনের জন্যও সমানভাবে প্রযোজ্য।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর সাধারণ পরিষদের ভোটকে জনগণের আবেগের অভিব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উপেক্ষা করতে পারে না। মিশর, যারা ২২-সদস্যের আরব গোষ্ঠীর পক্ষে রেজোলিউশনের সহ-স্পন্সর করেছিল, গাজায় সামরিক পদক্ষেপ অব্যাহত রাখার পরিণতি সম্পর্কে কঠোর সতর্কতা দিয়েছে। জাতিসংঘে মিশরীয় রাষ্ট্রদূত, ওসামা মাহমুদ আবদেলখালেক বলেছেন যে, যুদ্ধ চলতে থাকলে হলে ‘পূর্ণ বিপর্যয়’ হতে পারে এবং এর অর্থ হবে ‘গণহত্যাকে যুদ্ধের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হবে’।
পাকিস্তানের জন্য জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মুনির আকরাম যুদ্ধকে ‘একতরফা হত্যা’ বলে নিন্দা করেছেন এবং বলেছেন যে হামাসের চেয়ে ইসরাইল এই দাবানলের জন্য বেশি দায়ী। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন মানুষকে স্বাধীনতা ও মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন, যখন আপনি তাদের অপমান করেন এবং একটি উন্মুক্ত কারাগারে আটকে রাখেন, যেখানে আপনি তাদের পশুর মতো হত্যা করেন, তখন তারা খুব রেগে যায় এবং তাদের সাথে যা করা হয়েছিল তা অন্যদের সাথে করে।’
ইসরাইলের জাতিসংঘের প্রতিনিধি গিলাদ এরদান হামাসকে উল্লেখ করতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য এই প্রস্তাবের নিন্দা করেছেন। তিনি ৭ অক্টোবর বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলাকারী দলটিকে ‘হামাস নাৎসি’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছিলেন যে, যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের পক্ষে একটি ভোট হল ‘সন্ত্রাসের টিকে থাকা এবং গাজার জনগণের অব্যাহত দুর্ভোগের’ জন্য একটি ভোট।
তার অবস্থানের বিরোধিতায় বহুলাংশে ঐক্যবদ্ধ বিশ্বের মুখোমুখি হয়ে, মার্কিন প্রতিনিধিদল ইসরাইলের সমর্থন এবং ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জন্য উদ্বেগের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছিল। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড বলেছেন, ‘পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মতো ইসরাইলেরও তার জনগণকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা করার অধিকার ও দায়িত্ব রয়েছে।’ তিনি আরও বলেছিলেন: ‘ইসরাইলকে অবশ্যই গাজার দক্ষিণে বেসামরিক লোকদের ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি এড়াতে হবে এবং যারা সহিংসতা থেকে পালিয়ে এসেছে তাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন, গাজা কিভাবে শাসিত হবে তা নিয়ে বাইডেনের সাথে একটি ‘বিরোধ’ তৈরি হয়েছে। যা মিত্রদের মধ্যে একটি বিরল ফাটল তৈরি করেছে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ডের নেতারা ইসরাইলের অন্যান্য মিত্ররা একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, হামাসকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টায় ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের জন্য ‘নিরন্তর দুর্ভোগ’ গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ, জাস্টিন ট্রুডো এবং ক্রিস্টোফার লুক্সন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নিরাপদ স্থান হ্রাসে আমরা শঙ্কিত। হামাসকে পরাজিত করার মূল্য সমস্ত ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষের ক্রমাগত দুর্ভোগের মাধ্যমে হতে পারে না।’
বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাচ্ছে ইসরাইল : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় ‘নির্বিচারে বোমা হামলা’ চালানোর কারণে ইসরাইল বিশ্বজুড়ে সমর্থন হারাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন-এর তরফ থেকে ইসরাইলের নেতৃত্বের সমালোচনা করে এটাই সবচেয়ে কড়া বিবৃতি।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৪ সালে পুনরায় নির্বাচনের প্রচারণায় ডেমোক্রেট দলের ডোনারদের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এসব কথা বলেন। গত সাত অক্টোবর হামাস ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালানোর পর থেকে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন। ‘ইসরাইল তার নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করতে পারে। এছাড়া তাদের পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আছে, পুরো বিশ্ব আছে। কিন্তু নির্বিচারে বোমা হামলার মাধ্যমে তারা সে সমর্থন হারাচ্ছে,’ বলেন বাইডেন। তিনি একথাও বলেন যে হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের সমালোচনা করলেও গাজায় সামরিক অভিযানের জন্য আমেরিকা যে সহায়তা দিচ্ছে সেখান থেকে সরে আসার কোন ইঙ্গিত দেননি। গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইসরাইলের সাথে মতপার্থক্যের বিষয়টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনের সাথে দুই রাষ্ট্র সমাধানে যাবার বিরোধিতা করছেন। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে আমেরিকার শীর্ষ কূটনীতিকরা দুই রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়টিকে সামনে নিয়ে আসছেন।
হামাসকে কখনোই নিশ্চিহ্ন করা যাবে না : হামাসকে কখনোই নিশ্চিহ্ন করা যাবে না। মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এ মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
হামাসকে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হিসেবে বর্ণনা করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র কখনোই হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না। তেহরান-সমর্থিত হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। কিন্তু তারা শুধু সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে। তিনি বলেন, ‘সব মন্ত্রীই একমত যে ইসরাইলের হামলা এবং তারা যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া রাফাহ ক্রসিং উন্মুক্ত থাকতে হবে, গাজার প্রতিটি অংশে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে হবে এবং গাজার জনগণের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বন্ধ করতে হবে।’ অবশ্য হামাসকে ইসরাইল নির্মূল করতে পারা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছে। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্টে দুই মাস ধরে হামলা চালানোর পরও ইসরাইল হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছে নেই বলে জানানো হয়।
গত ৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ৬৬ দিন যুদ্ধের পরও হামাসকে নির্মূলের ধারেকাছেও যেতে পারেনি ইসরাইলি সেনারা। হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডসের ৩০ হাজার যোদ্ধা রয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ৫ হাজার যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। অবশ্য হামাসকে নির্মূল করতে না পারলেও; গাজার সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত গাজায় ১৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হলেন নারী ও শিশু। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা
বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা
মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল, জটিলতার শঙ্কা