কাশ্মীরের পরিস্থিতি দুশ্চিন্তার কারণ
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৩ এএম
অধিকৃত কাশ্মীর স্বাধীনতাকামীদের দমন করা হয়েছে বলে ভারতের মোদী সরকার দাবি করলেও বাস্তবে যে তা হয়নি তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল পুঞ্চে সেনাবাহিনীর উপর হামলার ঘটনা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে পরিস্থিতি যে রীতিমতো চিন্তার তা স্পষ্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কথায়। রাজৌরি-পুঞ্চ সেক্টরে সাম্প্রতিককালে একের পর এক সংঘর্ষ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ কর্নেল এস এস পাঠানিয়া বলেন, ‘খুবই দুশ্চিন্তার সময়। গত দুমাসে এই নিয়ে এখানে দুবার ‘সন্ত্রাস’ চলল। গত দুবছরে এখানে ৩৫ জন সেনা নিহত হয়েছেন। কেন, হচ্ছেটা কী? কীসের গাফিলতিতে ‘জঙ্গী’রা স্বাধীনতাকামীরা এত সাহস পাচ্ছে?’ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন (অবসরপ্রাপ্ত) অনিল গৌরেও সন্ত্রাস ঠেকাতে অমিত শাহ ও রাজনাথ সিংয়ের মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতাকেই ইঙ্গিত করেছেন। পুলওয়ামার ধাঁচে সেনার উপর হামলা চালিয়ে পাকিস্তান উপত্যকায় ফের স্বাধীনতাকামী সংগঠন মজবুত করতে চাইছে বলে দাবি তার। অনিলের কথায়, ‘সন্ত্রাসকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, সেই ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট গাফিলতি আছে। কাশ্মীরের সীমান্তে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তাবাহিনীকে আরও তৎপর হয়ে কাজ করতে হবে। সর্বত্র তাদের ঘাঁটি তৈরি করে সমস্তরকম নাশকতাকে দূর করতে হবে।’ বড়দিনের আগে পুলওয়ামার স্মৃতি ফিরিয়ে গত বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার সুরনকোট মহকুমার দে-রা কি গালির কাছে তিন-চার জন স্বাধীনতাকামী সেনা গাড়িতে হামলা চালায়। স্বাধীনতাকামীরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। সংঘর্ষে নিহত হন পাঁচ সেনা। আহত দুজন। শুক্রবার ভোররাত থেকেই পুঞ্চের জঙ্গল এলাকায় স্বাধীনতাকামীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, হোয়াইট নাইট কর্পস ও রাজ্য পুলিশ। এদিন গ্রাউন্ড জিরোয় পৌঁছে যান ওই কর্পসের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল সন্দীপ জৈন-সহ এনআই কর্তা। সেনার এক শীর্ষ কর্মকর্তা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় দফায় দফায় হেলকপ্টারে করে আকাশপথ থেকে নজর রাখা হচ্ছে। তল্লাশি অভিযানে নামানো হয়েছে স্নিফার ডগও। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা। পাকিস্তানি মদতপুষ্ট স্বাধীনতাকামী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের হামলায় প্রাণ হারান ৪০ জন সেনা। অন্যদিকে শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের প্রশ্ন, ‘২০১৯-এর পুলওয়ামা হামলার পর মোদী সরকার তার পরের বছর লোকসভা ভোটের আগে নিহতদের সামনে রেখে দেশবাসীর সহানুভূতি পেয়ে জিতেছিল। এবার পুলওয়ামার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে ২০২৪-এ লোকসভার ভোট চাইবে বিজেপি সরকার?’ তার মতে, কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মীরের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল না রেখে ঘুমাচ্ছিল। তারা চাইছিল সংঘর্ষ হোক। নিহত সেনাদের সামনে রেখে আবার রাজনীতি করে ভোটে জিততে চাইবে বিজেপি। এনডিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ইসলামি দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞানীয় বিজ্ঞানে শীর্ষ দুয়ে ইরান
জাইসের লেন্সের জয়জয়কার, স্মার্টফোনেও দুর্দান্ত
সাগর-রুনি হত্যার বিচারের প্রাথমিক স্তর পরিষ্কার করা দরকার : শামসুজ্জামান দুদু
আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতাকর্মীদের পিছনে রাখার সুযোগ নেই : আমিনুল হক
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা
বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা