ভারতে ব্যক্তিগত ঋণ বেড়েছে
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
২০১৩ সালের নভেম্বর ও ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে ভারতের ব্যাংকগুলো থেকে ব্যক্তিগত (পারসোনাল) ঋণ ৬ দশমিক ৬ গুণ বেড়ে ১২ দশমিক ৮৬ ট্রিলিয়ন রুপি হয়েছে। একই সময়ে নন-ব্যাংক ঋণদাতাদের ব্যাংক ঋণ পাঁচ গুণ বেড়ে ১৪ দশমিক ৭৬ ট্রিলিয়ন রুপি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ব্যাংক ঋণ দুই দশমিক নয় গুণ বেড়ে ১৫৪ দশমিক ২৫ ট্রিলিয়ন রুপি হয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চের প্রধান অর্থনীতিবিদ সুনীল সিনহা বলেছেন, ‘নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংক থেকে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণ নিয়েছে। যদি তারা চাপে থাকে, তবে এটি ব্যাংকগুলোয় প্রভাব ফেলবে।’ কিংফিশার এয়ারলাইনস, জেট এয়ারওয়েজ, ভূষণ স্টিল ও এসসার স্টিলের মতো বৃহৎ করপোরেট ঋণগ্রহীতারা খেলাপি হয়েছে। এরপর ভারতীয় ভোক্তাদের মধ্যে অনিরাপদ ঋণ গ্রহণের হার বেড়েছে। মোট বকেয়া ভোক্তা ঋণ (গৃহ ও গাড়ি ঋণসহ) নভেম্বর ২০১৩ থেকে অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত পাঁচ গুণ বেড়ে ৪৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন রুপি হয়েছে। এর বিপরীতে শিল্প ও সেবা খাতে ঋণ যথাক্রমে ১ দশমিক ৫ গুণ ও ৩ দশমিক ৩ গুণ বেড়ে ৩৫ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন এবং ৪২ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন রুপি হয়েছে। আরবিআই নভেম্বরে এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যাংক ও নন-ব্যাংক ঋণদাতাদের তৈরি অনিরাপদ ঋণের ঝুঁকি ২৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ১২৫ দশমিক করা হয়েছে। এ পরিবর্তনের অর্থ ব্যাংক ও অন্য ঋণদাতাদের ঋণের বিপরীতে আরো বেশি মূলধন রাখতে হবে। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সতর্ক করার এক মাস পর এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘ব্যক্তিগত ঋণের কিছু উপাদান খুব উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে।’ ৫০ হাজার টাকার কম ঋণে ভারতের নিট আর্থিক সঞ্চয় ২০২০ সালের মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে জিডিপির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে ৫ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা জানান, ভারতের নিম্নবিত্ত ৫০ শতাংশ পরিবার”কভিড-১৯-এর পর আয়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঋণ নেয়া বাড়িয়েছিল। ব্যাংকগুলো বাধ্য হয়েছিল সহজ শর্তে ঋণ দিতে। এ ভোক্তা ঋণগুলোর বেশির ভাগই ছিল ছোট ও অনিরাপদ। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে চায়। ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি ট্রান্সইউনিয়ন সিআইবিআইএলের মতে, ২০২৩ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকেক্ষুদ্র ঋণ বেড়ে ৮ দশমিক ১ শতাংশ হয়েছে, যা ২০১৯ সালের একই সময়ে ৩ দশমিক ১ শতাংশ ছিল। চলতি বছর ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেলাপি হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ট্রান্সইউনিয়ন সিআইবিআইএল জানিয়েছে, এ ধরনের ঋণগ্ধনিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। বিশেষ করে গ্রাহকরা অর্থপ্রদানের আগে প্রতিবেশি ঋনগ্রহীতাদের দিকে মনোযোগ দিতে পারে, যা আর্থিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঝুঁকির মাপকাঠি পরিবর্তন গ্রাহকদের বেপরোয়া ঋণ নেয়া থেকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। ব্যাংকগুলোও অসুরক্ষিত ঋণদান নীতি কঠোর করতে পারে। গবেষণা সংস্থা জেফরিস একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনিরাপদক্ষুদ্র ঋণের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার জন্য আরবিআইয়ের নির্দেশনা ঋণদাতাদের ধীরগতির প্রবৃদ্ধির দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা ১০০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সামগ্রিক ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলতে পারে। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু
রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে
বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত
যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে
বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা
লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই
রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে
দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা
জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ
উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন
সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার
রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড
সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড
শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে