ঢাকা   শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলো একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে

ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেয়ার হুমকি ইরানের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

ইয়েমেনের যুদ্ধরত পক্ষগুলো একটি নতুন যুদ্ধবিরতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে জাতিসংঘের নেতৃত্বে শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত হ্যান্স গ্রুন্ডবার্গ বলেছেন, নয় বছরের মারাত্মক যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত অবসান হলো। যে যুদ্ধে কয়েক লাখ লোককে হত্যা করা হয়েছে। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলের প্রধান রাশাদ আল-আলিমি এবং ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের প্রধান আলোচক মোহাম্মদ আবদুল সালামের সাথে সউদী আরব এবং ওমানে গ্রুন্ডবার্গের সাম্প্রতিক বৈঠকগুলো থেকে এ সিদ্ধান্ত এসেছে। গ্রুন্ডবার্গ দেশব্যাপী যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি পদক্ষেপের জন্য দলগুলোর প্রতিশ্রুতিকে স্বাগত জানান। বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত এখন জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি রোড ম্যাপ তৈরি করতে দলগুলোর সাথে আলোচনা চালিয়ে যাবেন যাতে এই প্রতিশ্রুতিগুলো অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং তাদের বাস্তবায়ন সঠিকভাবে হয়। অপর এক খবরে বলা হয়, গাজায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ‘অপরাধ’ সংঘটিত করতে থাকলে ভূমধ্যসাগর বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন কমান্ডার। তবে কী ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। শনিবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, লোহিতসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় হুতিদের সঙ্গে ইরানও জড়িত। ইসরাইলের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধ চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠী উপত্যকায় ইসরাইলি অপরাধযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। দুই মাসের বেশি সময় ধরে চলমান হামাস-ইসরাইল যুদ্ধে গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। গাজায় ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদি বলেছেন, ‘শিগিগরই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালি এবং অন্যান্য জলপথ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা গত মাসে গাজায় ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধে লোহিতসাগর দিয়ে চলাচলকারী ইসরাইলি সব বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার হুমকি দিয়েছে। এমনকি বেশ কিছু জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতিদের ক্রমবর্ধমান হামলার মুখে বিশ্বের প্রধান প্রধান শিপিং কোম্পানিগুলো তাদের জাহাজ পরিচালনার রুট পালটাতে বাধ্য হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সি নাকদির বরাত দিয়ে বলেছে, ‘গতকাল পারস্য উপসাগর এবং হরমুজ প্রণালি তাদের জন্য (ইসরাইল এবং যুক্তরাষ্ট্র) দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল। আজ তারা আটকা পড়েছেন... লোহিত সাগরে।’ এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাণিজ্যিক জাহাজে হামলায় হুতিদের সঙ্গে ইরান জড়িত। শুক্রবার হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে অস্ত্র ও ট্যাকটিক্যাল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সাহায্য করছে ইরান। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জানি ইরান লোহিতসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় গভীরভাবে জড়িত। তিনি বলেন, এটি ইরানের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন এবং এ অঞ্চলে হুতিদের অস্থিতিশীল কর্মকা-ের উৎসাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গাজা থেকে শত শত মাইল দূরে অবস্থিত সুয়েজ খাল। এই খালের মাধ্যমেই লোহিতসাগর দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে জাহাজ চলাচল করে, যা দূরত্ব কমিয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে। কিন্তু ইসরাইল ও হামাসের সংঘাতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে সুয়েজ খালে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিতসাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ইসরাইলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে। আরব নিউজ, ইরনা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

বিদেশে সাবেক ভুমিমন্ত্রীর আট হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

সময় থাকতে হাসিনাকে ফেরত পাঠান : ভারতকে দুদু

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

রুশ সেনা কুরস্কের দুটি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

বিমানবন্দর এলাকা হবে শব্দদূষণ মুক্ত

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

বিচার শুরু হলে হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে : আইন উপদেষ্টা

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

লোহাগড়ায় দিনে-দুপুরে বসতবাড়ি পুড়ে ছাই

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

রাষ্ট্রীয় কল্যাণে অবদান রাখার সুযোগ দিন আলেমদেরকে

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

দুই মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ওপর হামলার ঘটনায় বিএমটিএর নিন্দা

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নুকে অবিলম্বে আটক করতে হবে : আবু হানিফ

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী  প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

উপদেষ্টাদের আয় ও সম্পদ বিবরণী প্রকাশের নীতিমালা অনুমোদন

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক মন্ত্রী শ ম রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতিকে একবছর ,সাধারন সম্পাদককে দুই বছর একাডেমীক কার্যক্রম থেকে বহিস্কারসহ উভয়কে হোস্টেল থেকে আজীবন বহিস্কার।

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

রাজউক চেয়ারম্যানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

‘স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেছে মাস্টারকার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

সিটি ব্যাংক আনল অভূতপূর্ব ভিসা ইনফিনিট ক্রেডিট কার্ড

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

শেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই, জবাব তাকে দিতেই হবে : মির্জা ফখরুল

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে খুনিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে