ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন চলছে টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে। হামাস উৎখাতের দোহাই দিয়ে প্রতি সপ্তাহে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে অন্তত ৬ হাজার বোমা ফেলছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না কেউই, এমনকি নবজাতক শিশুও না। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) এসব তথ্য তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবী আদিলা হাসিম। একইসঙ্গে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিপ্রায় নিয়ে ইসরাইল এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দ্য হেগের বিচারকের সামনে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার এই আইনজীবী আদালতে বলেন, গণহত্যা কখনই আগে থেকে ঘোষণা করা হয় না, তবে এই আদালতের সামনে গত ১৩ সপ্তাহের যে প্রমাণ আছে, তাতে যুক্তিসঙ্গতভাবে ইসরাইলের এই আগ্রাসন গণহত্যার অভিপ্রায় বলেই প্রতীয়মান হয়। তিনি বলেন, গাজায় প্রতি সপ্তাহে ৬ হাজার বোমা ফেলছে ইসরাইল। তাদের সেনাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি কেউ; এমনকি নবজাতক শিশুও নয়। জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা গাজাকে ইতোমধ্যে ‘শিশুদের কবরস্থান’ বলে অভিহিত করেছেন। এই আদালতের আদেশ ছাড়া অন্য কিছুই গাজাবাসীকে এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা করতে পারবে না। প্রসঙ্গত, গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে মামলা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে তারা বলেছিল, ফিলিস্তিনিদের জাতিগতভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে যে কায়দায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল তা গণহত্যার শামিল।শুনানিতে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেক আইনজীবী টেম্বেকা এনকুকাইতোবি বলেন, ইসরাইলের গণহত্যামূলক বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে প্রিটোরিয়া একা নয়; জাতিসংঘের অন্তত ১৫ জন বিশেষ প্রতিবেদক এবং জাতিসংঘ ওয়ার্কিং গ্রুপের ২১ জন সদস্য সতর্ক করেছেন যে, গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যাকেই প্রতিফলিত করে। মিডল ইস্ট আই।