কঙ্গো অববাহিকায় বন্যা, প্রাণহানি ৩ শতাধিক
১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
কঙ্গো নদীর পানির স্তর ৬০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠায় অববাহিকা জুড়ে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে গত কয়েক মাসে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) ও কঙ্গো রিপাবলিকে ৩০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ত্রুটিপূর্ণ নগর পরিকল্পনা ও দুর্বল অবকাঠামো আফ্রিকার কিছু দেশ হড়কা বান মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এসব দেশে ঘন ঘন ভারী বৃষ্টি হচ্ছে আর তাতে দেখা দিচ্ছে হড়কা বান বা আকস্মিক বন্যা। ডিআরসির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নদীপথ কর্তৃপক্ষের পানি বিশেষজ্ঞ ফেরি মোয়া জানান, তাদের দপ্তর ডিসেম্বরের শেষ দিকেই কঙ্গো নদীর পানির স্তর বাড়ার বিষয়টি লক্ষ করেছিল; তখন তারা সতর্ক করে বলেছিল, রাজধানী কিনশাসার প্লাবনভূমির প্রায় পুরোটাই বন্যার কবলে পড়তে পারে। কিনশাসা কঙ্গো নদীর তীরবর্তী একটি শহর। বুধবার কিনশাসা পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে সমুদ্র সমতল থেকে ৬ দশমিক ২০ মিটার (২০.৩৪ ফুট) উচ্চতায় ওঠে। এর আগে ১৯৬১ সালে এই পয়েন্টে কঙ্গো নদীর পানি রেকর্ড ৬ দশমিক ২৬ মিটার উচ্চতায় উঠেছিল বলে মোয়া জানান। দেশের ভেতরের দিকে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টির পর নদীটিতে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি। নদীর আশপাশে বসবাসকারী মানুষ বাধ্য হয়েই এলাকা ছেড়ে যাচ্ছে জানান মোয়া। কিনশাসার বেশ কয়েকটি এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে। দেশের ১২টির বেশি প্রদেশ বন্যার কবলে পড়েছে বলে ডিআরসির সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছে কঙ্গো নদীর পানি। বৃষ্টির কারণে নদীর পানি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআরসি) এবং কঙ্গো রিপাবলিকে বন্যা চোখ রাঙাচ্ছে। কর্তৃপক্ষের মতে, গত কয়েক মাসে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার নদীর পানি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬ দশমিক ২০ মিটার (২০ দশমিক ৩৪ ফুট) উপরে পৌঁছেছে। এটি ১৯৬১ সালের পর নদীর পানির স্তরের সর্বোচ্চ রেকর্ড। তখন নদীর পানি ৬ দশমিক ২৬ মিটার উপরে পৌঁছেছিল। পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা ডিআরসি রিভারওয়েস অথরিটি। এর জলবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ফেরি মোওয়া বলেছেন, ডিসেম্বরের শেষের দিকে তার অফিস উচ্চ জলস্তর রেকর্ড করেছিল। তখন নদীর তীরবর্তী রাজধানী কিনশাসারের প্রায় পুরো এলাকায় বন্যার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। সামাজিক সম্পর্ক বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিআরসি-এর ঘনবসতিপূর্ণ কিনশাসার বেশ কয়েকটি এলাকা ইতোমধ্যেই বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি এক ডজনেরও বেশি প্রদেশেও বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। গত সপ্তাহে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাসে অঞ্চলটিতে প্রায় ৩০০ জন মারা গেছে। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এম আবদুল্লাহ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হওয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের অভিনন্দন
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্্যালী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে, মন্তব্য নজরুল ইসলাম খানের
তারেক জিয়ার বার্তা দেশবাসী অনুধাবন করতে পারবে - ডা. মাজহার
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
বিচার বিভাগে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে: আইন উপদেষ্টা
পর্তুগালের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন মাহফুজুল হক
অস্ট্রেলিয়া কোচের পদ ছাড়লেন অর্নল্ড
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের কমিটি গঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্মৃতি ফিরলো শ্রীলংকা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এ রকম ইতিহাস আর হবে না’: জয়নুল আবেদীন ফারুক
হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল
বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ
বেগমগঞ্জে নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা
সিলেটে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে নিহত ২
আ'লীগের চিহ্নিত সুবিধাভোগী সিলেট করিমউল্লাহ মার্কেট মালিকপক্ষের প্রতারণার শিকার এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর আর্তনাদ !