পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার ‘রাজনৈতিক প্রকৌশল’ এর অবসান চেয়েছিলেন। তিনি জনগণকে ভোট দেয়ার স্বাধীনতা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন যে, রাজনীতিতে কিছু প্রতিষ্ঠানের কথিত জড়িত থাকার কারণে দেশের শাসনব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে ভেঙে পড়েছে।

ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) কর্তৃক দায়ের করা তোশাখানা এবং ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের দুর্নীতির মামলার বিষয়ে আদিয়ালা জেলে আদালতে হাজির হওয়ার পরে ইমরান খানের এ মন্তব্য এসেছে। সাবেক মন্ত্রী খাজা সাদ রফিককে জামিন দেয়ার সময় সুপ্রিম কোর্ট আগের এক রায়ে পর্যবেক্ষণ করেছিল যে, এনএবি রাজনৈতিক প্রকৌশল এবং রাজনীতিবিদদের চাপ দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। রফিক এবং তার ভাইকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে, ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

মিডিয়া ব্যক্তিদের সাথে কথা বলার সময়, ইমরান খান ‘প্রতিষ্ঠা নিয়ন্ত্রণের’ মুখে রাজনীতিবিদদের সীমাবদ্ধতার কথা স্বীকার করেছেন তবে বলেছেন যে, তিনি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনীতিবিদদের সাথে সংলাপের জন্য প্রস্তুত। যাইহোক, পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ৮ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের আগে বা পরে পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে সমর্থন করার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা পিপিপির সাথে জোট করব না কারণ তারাও সিস্টেমের সুবিধাভোগী।’ ইমরান খান একটি সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন, যেখানে পিএমএল-এনকে শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক দল হিসাবে দেখানো হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, এ ধরনের জরিপগুলি জনসাধারণের হতাশা প্রতিফলিত করে। সূত্র : ডন।