ঢাকা   শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ | ১০ কার্তিক ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার প্রকৃত অবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৪, ১২:১৬ এএম

 ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘বাকস্বাধীনতা’র প্রকৃত অবস্থাৎ নিয়ে প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্র কেমন বাক স্বাধীনতাকে ‘বাকস্বাধীনতা’ হিসাবে উল্লেখ করে- তা জানানোর জন্য প্রতিবেদনে প্রচুর তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে; যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বিশ্বে ‘বাকস্বাধীনতার’ দাবি করে, কিন্তু দেশটি আসলে কী করে এবং তার আসল উদ্দেশ্য কি? এসব তথ্য তুলে ধরেছে মন্ত্রণালয়।
প্রতিবেদনে কিছু উদাহরণ দেয়া হয়। প্রথমত, মার্কিন বাকস্বাধীনতা তার নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ২০২২ সালে, নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের যৌথভাবে পরিচালিত এক জাতীয় জরিপে দেখা যায় যে, জরিপকৃতদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ বিশ্বাস করেন না যে, আমেরিকানরা বাক স্বাধীনতা উপভোগ করে এবং তাদের মধ্যে ৮ শতাংশ বিশ্বাস করে যে আমেরিকানদের কোন বাকস্বাধীনতা নেই। দ্বিতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্রে নিজ দেশে বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন করে। মার্কিন সরকার মহামারীর সময় সত্য কথা বলা কণ্ঠস্বর দমন করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, হেলেন চু নামের এক চীনা নারী ডাক্তার- যিনি যুক্তরাষ্ট্রকে মহামারী সম্পর্কে সতর্ক করেছিলেন এবং তার পরীক্ষার ফলাফলের কথা জানিয়েছিলেন, কর্তৃপক্ষ তাকে মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। তৃতীয়ত, যুক্তরাষ্ট্র বিদেশের বাকস্বাধীনতাও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশ্ব বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশাদার র‌্যাঙ্কিং থেকে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রত্যাহারকে মার্কিন মিডিয়া উচ্চশিক্ষা দমনকারী অত্যাচারী আচরণ বলে উল্লেখ করে। অন্যদিকে, কিছু চীনা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের র‌্যাঙ্কিং থেকে প্রত্যাহার করাকে চীনের ্রবন্ধ দরজাগ্ধ হিসাবে ব্যাখ্যা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতা দেশীয় রাজনীতিবিদ এবং স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য এক ধরনের বিষয়; কিন্তু, সাধারণ মানুষের জন্য ভিন্ন বিষয়। যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রতিবেদন জারি করেছে, যা ভিত্তিহীনভাবে অন্য দেশগুলোকে ‘মিথ্যা তথ্য’ ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে। যাই হোক, যুক্তরাষ্ট্র হল মিথ্যা তথ্যের উৎস দেশ। সূত্র : সিআরআই।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

তুরাগ থানা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি দেলোয়ার গ্রেফতার

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

স্যান্টনারের তোপে এবার ১৫৬ রানে গুটিয়ে গেল ভারত

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

কালিয়াকৈরে শশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেপ্তার বিজয়নগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান'সহ আ:লীগ নেতা

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

এবার সউদী আরবে ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

ট্রাম্পকে জেতাতে ১৫ হাজার কোটি টাকা দিলেন ইলন মাস্ক

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

খুবি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উপস্থিতি ৭১ দশমিক ৮১ শতাংশ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ৫ প্রসিকিউটর নিয়োগ

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

সাভারে আন্দোলনে নিহতদের কবর জিয়ারত ও আহতদের খোঁজ নিলেন জাবির প্রো-ভিসি

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

দ.কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবনে উ.কোরিয়ার বেলুন থেকে আবর্জনা নিক্ষেপ

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

গুলিস্তানে দুই বাসের চাপায় ট্রাভেল এজেন্সির মালিক নিহত

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

বর্তমান সংবিধানে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ সম্ভব না: মাহমুদুর রহমান

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রেলপথে চুনতি অভয়ারণ্য এলাকায় হাতি মৃত্যুর ঘটনায় লোকোমাস্টার বরখাস্ত

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

রাজনৈতিক সমস্যার রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে : গয়েশ্বর

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

হলে মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে, বাইরে অপেক্ষারত মায়ের মৃত্যু

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

মাদক সেবনরত অবস্থায় ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ৭ নেতাকে সাজা

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

ট্রামির প্রভাবে আকস্মিক বন্যায় ফিলিপাইনে নিহত ৪০, বাস্তুচ্যুত ১০ হাজার মানুষ

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট সচল রাখতে ড্রেজিং শুরু

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার-৪

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান

রামগড়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ টাস্কফোর্সের অভিযান