ফের প্রকাশ্যে ইসরাইলের রাজনৈতিক বিভাজন
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০৫ এএম
ফের প্রকাশ্যে এসেছে ইসরাইলের গভীর রাজনৈতিক বিভাজন। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর এই বিভাজন কিছুটা আড়ালে গেলেও এবার হাজার হাজার মানুষ ইসরাইলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। চলমান যুদ্ধ ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের সংকল্পকে আরও শক্তি দিয়েছে। জেরুজালেমে শহরের একটি মহাসড়ক বেগিন বুলেভার্ড অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করেছে। এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে সেøাগান উঠেছে। একইসঙ্গে গাজায় এখনও বন্দী ১৩৪ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্দীদের অনেকেই মারা গেছেন। এই বন্দীদের স্বজনদের পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের বড় ভয় হলো এভাবে আরও অনেককেই প্রাণ দিতে হবে। বিক্ষোভকারীরা এবং নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন যে, গণতন্ত্রের শত্রুরা ইতিমধ্যেই তার সরকারে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি অন্যতম। বেনজামিন নেতানিয়াহু এক সময় বলেছেন তিনিই একমাত্র তার দেশকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনেক ইসরাইলি তাকে বিশ্বাসও করেছিলেন। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস সীমান্তের তার দিয়ে ঝড়ের পর সব বদলে যায়। অপর এক খবরে বলা হয়, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন ইসরাইলিরা। এতে অংশ নিচ্ছেন লাখো মানুষ। নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। শনিবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ ছড়িয়েছে তেল আবিব, জেরুজালেম, হাইফা, বেয়ার শেভা, সিজারিয়াসহ অন্যান্য শহরে। জেরুজালেমে এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে সেøাগান উঠেছে। একইসঙ্গে গাজায় এখনও বন্দি ১৩৪ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্দিদের অনেকেই মারা গেছেন। রোববার সংসদের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয় এবং পরে জেরুজালেমের একটি প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা। যদিও পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিতে গেলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। সে সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও জলকামান ব্যবহার করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুকে যেতে হবে বলে সেøাগান দিচ্ছিলেন। নেতানিয়াহুর দাবি, তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি কিনা ইসরাইলকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অসংখ্য ইসরাইলিরা তা বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু ৭ অক্টোবর ইসরাইলি সীমান্তে হামাসের আক্রমণ সব চিত্র পাল্টে দিয়েছে। নিরাপত্তা প্রধানরা প্রতিবার বিবৃতি জারি করে ব্যর্থতা স্বীকার করলেও নেতানিয়াহু কখনো দায় স্বীকার করেননি। মূলত গাজায় বন্দি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে না পারাসহ নেতানিয়াহুর একের পর এক ব্যর্থতাই অসংখ্য মানুষকে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করতে বাধ্য করেছে। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন ট্রাম্প
ভোটের অধিকার রক্ষায় জনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : সিইসি
অস্ত্র মামলায় মামুন খালাস
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা
ইনু-মেনন-সালমান-আনিসদের রিমান্ড, নতুন করে গ্রেপ্তার মন্ত্রী-এমপিসহ ১৬ জন
দলীয় নেতাদের একযোগে কাজ করার আহ্বান এবি পার্টির
হত্যা মামলায় মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ডে
হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা
আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
বকেয়া পরিশোধে জুন পর্যন্ত সময় বাড়লো আদানি
অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রত্যাহার ব্রিটিশ এমপিদের
দিল্লি ফ্যাসিবাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে : রিজভী
বেক্সিমকোর ১৬টি কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকদের চাকরি ফিরে পাওয়ার সিদ্ধান্ত ২৭ জানুয়ারি
যুদ্ধবিরতির কয়েক মিনিট আগেও ইসরায়েলের হামলা গাজায় বিলম্বিত সময়ের মধ্যে নিহত ১৯
আমেরিকার স্বর্ণযুগ শুরু হচ্ছে
প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মাঝে ছাত্রদল নেতার শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
এবার মেডিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উত্তীর্ণদের ফল স্থগিত
চীনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে এলডিপি মহাসচিবের বৈঠক
সরিষাবাড়ী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে কম্বল বিতরণ