ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মুখে একের পর এক ঘুষিসহ নির্মম মারধরে বাবার মৃত্যু

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম

বৃদ্ধ বাবার মুখে একের পর এক ঘুষিসহ নির্মম মারধরেই জ্ঞান হারান বৃদ্ধ বাবা। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুতে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম । ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মর্মান্তিক এই ঘটনাটি তামিলনাড়ুর পেরম্বলুরের। ছেলের মারধরে নিহত ওই বৃদ্ধের নাম কুলানধাইভেলু (৬৫)। গত ১৮ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ, বৃদ্ধের ছেলে সন্তোষ তাকে মারধর করেছিলেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বৃদ্ধকে। মারধরের কয়েক দিন পর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বেঞ্চের ওপর বসে আছেন বৃদ্ধ। একপর্যায়ে হেঁটে তার সামনে এসে বৃদ্ধের মুখে এলোপাথাড়ি ঘুষি মারতে শুরু করেন এক যুবক। মার খেয়ে পড়ে গেলেও বাবাকে রেহাই দিচ্ছেন না অভিযুক্ত ওই ছেলে। একসময় তাকে থামতে দেখা যায়। মারের চোটে বৃদ্ধের নাক-মুখ থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। তিনি বেঞ্চের ওপরে এক দিকে হেলে পড়ে যান। তার পরেও আবার ফিরে এসে তাকে লাথি-ঘুষি মারতে শুরু করেন ওই যুবক। এদিকে বৃদ্ধকে মারতে দেখে পরিবারের সদস্যেরা ছুটে আসেন। যুবককে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর অসুস্থ, আহত বৃদ্ধকে বসিয়ে ডাকাডাকি করতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বৃদ্ধ তাতে কোনও সাড়া দেননি। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে প্রথমে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্যুর পর আবার যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের সদস্যরা। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরই সৃষ্টি হয়েছে আলোড়ন। বৃদ্ধ বাবার ওপর যুবকের নৃশংসতায় শিউরে উঠেছেন অনেকে। তার এই আচরণের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ইন্ডিয়া টুডে।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত