সিএএ আইনের ফায়দা নিতে পারছে না বিজেপি
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৬ এএম
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র আওতায় কতজন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেন, সেই তথ্য সে দেশের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে নেই বলে তারা জানিয়েছে। তথ্য জানার অধিকার আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে একাধিক সমাজকর্মী এই একই উত্তর পেয়েছেন। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, এমন সমাজকর্মীরা তাই বলছেন কেউ কি আদৌ নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন? তারা জানাচ্ছেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ-সহ যেসব অবকাঠামো গড়ে তোলার কথা বলা আছে আইনে, সেগুলি যে চালু হয়নি, তা সরকার নিজেই স্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্টে। শুধুমাত্র আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন যে বরাক উপত্যকা থেকে একজন নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু সেই ব্যক্তি কে, তার পরিচয় প্রকাশ করেননি তিনি। আবার বরাক উপত্যকার সাংবাদিকরাও কেউ খুঁজে পাননি যে কে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পরিস্থিতি দেখে বিজেপির একাংশ মনে করছে ভোটের আগে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করে যে রাজনৈতিক লাভ তারা পাবে মনে করেছিল, তা সম্ভবত পাওয়া যাবে না। পূর্ব পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন যে উদ্বাস্তু এবং মতুয়ারা, তাদেরও কেউ নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে এখনও জানা যাচ্ছে না। তথ্য জানার অধিকার আইন বা আরটিআই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ফরেনার্স ডিভিশন’-এর অধীন নাগরিকত্ব বিভাগের কাছে একাধিক চিঠি বা মেইল পাঠানো হয়েছিল। জানতে চাওয়া হয়েছিল যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু হওয়ার পর থেকে কতজন অনলাইনে সেই আবেদন করেছেন। তবে বাংলা পক্ষ নামের একটি সংগঠনের তরফে মুহম্মদ শাহিন যেমন আরটিআই অনুযায়ী চিঠি পাঠিয়েছিলেন, তেমনই ওই একই দফতরে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সমাজ ও আইন গবেষক এবং আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামীও। দুজনকেই একই উত্তর দেয়া হয়েছে নাগরিকত্ব বিভাগের তরফ থেকে। ওই বিভাগের ডিরেক্টর হিসাবে আর ডি মিনা জানিয়েছেন তার দফতর এ তথ্য রাখে না। শাহিনকে পাঠানো জবাবে তথ্য না রাখার কারণ হিসাবে বলা হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের যে রুল জারি করা হয়েছে, সেটি অনুযায়ী কতজন নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলেন, সেই তথ্য রাখার কোনও ব্যবস্থাই নেই। দুজন সমাজকর্মীকেই বলা হয়েছে যে যদি তারা প্রধান তথ্য অফিসারের দেয়া এই উত্তরে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ‘বিদেশি’ বিভাগের যুগ্ম সচিবের কাছে আবেদন করতে পারেন। সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাসের কথায়, “আমরা বারবার মতুয়াদের আর উদ্বাস্তুদের বুঝিয়েছি যে এই আইনে নাগরিকত্ব পাওয়া সম্ভবই নয়। আবেদন করতে গেলে যেসব নথি দরকার, সেগুলো জোগাড় করা কারও পক্ষে সম্ভব নয়।” “আর তার থেকেও বড় বিষয় হল নাগরিকত্বের আবেদন করছেন মানে প্রথমেই আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন যে আপনি ভারতীয় নাগরিক নন, বাংলাদেশ থেকে এসেছেন।” “কিন্তু এখানে এদের প্রায় সবার আধার কার্ড, ভোটার কার্ড আছে, অনেকে সরকারি চাকরি করেন,” বলছিলেন বিশ্বাস। বিবিসি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত