আসল মালিকদের কাছে ফিলিস্তিনকে ফিরিয়ে দিতে হবে : খামেনেয়ী

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম | আপডেট: ০৩ মে ২০২৪, ১২:২১ এএম

ইরানের সর্ব্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেয়ী বুধবার শিক্ষক দিবসে (শহীদ মোতাহারির শাহাদাত বার্ষিকী) সারা ইরানের হাজার হাজার শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। ওই সমাবেশে তিনি আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশে ফিলিস্তিনি জাতির সমর্থনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে বিশ্বজনমতের মধ্যে গাজা ইস্যুটি অগ্রাধিকার পাবার প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন: ইহুদিবাদী ইসরাইলের অপরাধ এবং তাদের সাথে আমেরিকার জড়িত থাকার ঘটনা দখলদার ইসরাইল ও আমেরিকার বিরুদ্ধে ইরানের সরকার ও জাতির অবস্থানের বৈধতা প্রমাণ করেছে। ওই বৈঠকে ইসলামী বিপ্লবের নেতা দখলদার ইসরাইলের ওপর জনমতের ক্রমবর্ধমান চাপকে প্রয়োজনীয় বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন: ইহুদিবাদী উন্মত্ত কুকুরগুলোর নৃশংস ও নিষ্ঠুর আচরণ ইসলামি প্রজাতন্ত্র ও ইরানি জাতির অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। ত্রিশ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে তারা যাদের অর্ধেকই নারী ও শিশু। এই নৃশংসতা ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর ঘৃণ্য প্রকৃতির চেহারাই ফুটিয়ে তুলেছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে ইরানের স্থায়ী অবস্থানের যথার্থতা প্রমাণ করেছে। ইমাম খামেনেয়ী ইসরাইলি অপরাধের প্রতিবাদকারী ছাত্রদের ‘অহিংস ও ধ্বংসবিহীন বিক্ষোভের ঘটনায় আমেরিকা এবং তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আচরণকে মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের অবস্থানের আরেকটি প্রমাণ বলে উল্লেখ করেন। এই বিষয়টি সবাইকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে গাজার জনগণকে হত্যা করার মতো ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের সহযোগী। তাদের আপাতদৃষ্টিতে সহানুভূতিশীল কিছু কথাও পুরোপুরি মিথ্যা। ইরনা।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

মুখোমুখি বিতর্কে রাজি বাইডেন ও ট্রাম্প, কবে হবে জোড়া বাকযুদ্ধ?

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

তিন দশকের মধ্যে গড় আয়ু পাঁচ বছর বাড়বে

জার্মানিতে বিস্ফোরণের পরে বাড়িতে আগুন, নিহত তিন

জার্মানিতে বিস্ফোরণের পরে বাড়িতে আগুন, নিহত তিন

ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু

ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার শুনানি শুরু

শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন

শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন

শিগগিরই বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক অ্যাজিভিট

শিগগিরই বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক অ্যাজিভিট

বাইডেনকে তিরস্কার করে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাতে বিল পাস

বাইডেনকে তিরস্কার করে ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠাতে বিল পাস

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা : যুক্তরাষ্ট্র

৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো

৬ তারিখে বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো

মেরুকরণই হাতিয়ার মোদির! ভারতে ধর্মের কার্ড খেলার ট্র্যাডিশন চলছেই

মেরুকরণই হাতিয়ার মোদির! ভারতে ধর্মের কার্ড খেলার ট্র্যাডিশন চলছেই

অত্যাধুনিক রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান

অত্যাধুনিক রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান

কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত হলেন মেজর জেনারেল তারেক

কুয়েতে নতুন রাষ্ট্রদূত হলেন মেজর জেনারেল তারেক

স্বামীর উপহারের টাকায় লটারি কিনে কোটিপতি স্ত্রী

স্বামীর উপহারের টাকায় লটারি কিনে কোটিপতি স্ত্রী

হাজীগঞ্জে খালে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর লাশ

হাজীগঞ্জে খালে ভাসছিল অজ্ঞাত নারীর লাশ

রাজধানীর বাসাবোয় ১০ তলা বিল্ডিংয় থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত

রাজধানীর বাসাবোয় ১০ তলা বিল্ডিংয় থেকে পড়ে ২ শ্রমিক নিহত

সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা

অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

অধ্যক্ষের কক্ষে শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

বিজিবি'র পৃথক অভিযানে ৪ কেজি আইস উদ্ধার, আটক-১

বিজিবি'র পৃথক অভিযানে ৪ কেজি আইস উদ্ধার, আটক-১

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

সব বিষয়ে পাস, বাস্তব প্রশিক্ষণে নম্বর না দেয়ায় ফেল ১৩ শিক্ষার্থী

হজ পালনে সউদী গেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি

হজ পালনে সউদী গেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন বাংলাদেশি