যেনতেন প্রকারে অর্থ আদায়ই হচ্ছে তাদের প্রধান ধ্যানজ্ঞান
০৬ মে ২০২৪, ১২:০৭ এএম | আপডেট: ০৬ মে ২০২৪, ১২:০৭ এএম
মুসলিম বিশ্বের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতেও যখন ফিলিস্তিনিদের অধিকার আদায়ে আন্দোলন চলছে, সে সময় তাদের প্রতি চরম অমানবিকতার পরিচয় দিয়ে চলছে প্রতিবেশী মিসরে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। অসহায় ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে যেনতেন প্রকারে অর্থ আদায়ই হয়ে উঠেছে তাদের প্রধান ধ্যানজ্ঞান। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যুদ্ধ শুরু হলে আক্রান্ত দেশের লোকজন আশ্রয় নেয় প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সাম্প্রতিক ইউক্রেন তার বড় উদাহরণ। কিন্তু ফিলিস্তিন বিশেষ করে গাজাবাসীদের জন্য বিষয়টি অনেকটাই ভিন্ন। অবরুদ্ধ গাজাবাসীদের জন্য ফিলিস্তিন থেকে বের হতে একমাত্র ভরসা রাফা সীমান্ত। গাজা থেকে বের হতে হলে তাদেরকে রাফা ও মিশরের সিনাই মরুভূমির মধ্যবর্তী অংশ দিয়ে পার হতে হয়, যা সরাসরি মিসর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইসরাইলি নজরদারি থাকায় এ সীমান্ত দিয়ে খুব বেশি ফিলিস্তিনির পক্ষে পার হওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও যারা বের হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তাদের কাছ থেকে আকাশচুম্বি ফি আদায় করছে মিসর তথা দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসির ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী টাইকুন ইব্রাহিম আল-অরগানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘হালা কনসাল্টিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সার্ভিসেস’। তারা মিশরে ঢুকতে চাওয়া প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক ফিলিস্তিনিদের থেকে কমপক্ষে পাঁচ হাজার এবং ১৬ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে আড়াই হাজার ডলার ফি আদায় করছে। অথচ যুদ্ধের আগে রাফা সীমান্ত দিয়ে গাজা থেকে বের হতে ফি লাগত জনপ্রতি ৩৫০ ডলার। খবরে বলা হয়, গত তিন মাসে প্রতিষ্ঠানটি গাজা ছেড়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে ১১৮ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে। রাফার শরণার্থী শিবিরে হামলার আশঙ্কায় এপ্রিল মাসে ফিলিস্তিনিরা দেশত্যাগ করতে আরও মরিয়া হয়ে ওঠে। এতে পোয়াবারো হয় হালা কনসাল্টিং অ্যান্ড ট্যুরিজম সার্ভিসেস। এক মাসেই তাদের আয় দ্বিগুণ হয়েছে। তারা ১০ হাজার ১৩৬ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং দুই হাজার ৯১০ শিশুর কাছ থেকে কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন ডলার ফি আদায় করেছে। দৈনিক গড়ে দুই মিলিয়ন ডলার আদায় করেছে, যা ছিল মার্চ মাসের দ্বিগুণ। মিসর সরকার অবশ্য এত ফি আদায়ের অভিযোগ বরাবরের মতেই অস্বীকার করে আসছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শউকরি গত ফেব্রুয়ারিতে বলেছিলেন, সরকার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কেউ এ ধরনের কার্যকলাপে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বাস্তবতা হলো হালা কনসাল্টিং ফিলিস্তিনিদের থেকে অর্থ আদায় অব্যাহত রেখেছে। এদিকে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়ে ফিলিস্তিনিরা মিশরে ঢোকার পরও ন্যূনতম কোনো উপকার পাচ্ছে না। চিকিৎসা, শিক্ষাসহ কোনো সুবিধাই তাদের দেওয়া হচ্ছে না। ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা তাদের সন্তানদের মিশরের স্কুলে ভর্তি করাতে পারছেন না। আহত বা অসুস্থ অবস্থায় মিশরের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মিডল ইস্ট মনিটর অবলম্বনে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সিলেটে কোরআন খতম ও দোয়া
অধ্যক্ষ হয়ে ভাগ্য বদলে যায় অনুতোষ কুমারের
দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা না করলে আন্দোলনে নামা হবে : কর্নেল অলি
ভুল এমনি এমনি হয় না, এর পেছনে কারো না কারো হাত থাকে : ইসি
সিলেটকে উড়িয়ে জয়ের ধারায় চট্টগ্রাম
ঈশ্বরগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সচিবালয়ের পথে জবির অনশনকারী শিক্ষার্থীরা
হাজীগঞ্জে ছেলের ঘুষিতে বাবার মৃত্যুর অভিযোগ
ফরিদপুরে যুবককে কুপিয়ে ও চোখ উপড়ে হত্যা: চেয়ারম্যানকে আসামি করে মামলা
নরকিয়া ও এনগিডিকে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ. আফ্রিকা দল
বান্দরবানে দূর্বৃত্তের গুলিতে মার্মা নারী আহত
‘বিতর্ক ওঠায়’ পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
পুলিশকে নিষ্ঠা, পেশাদারিত্ব ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে : পুলিশ সুপার
কুয়াকাটায় জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩
বাংলাদেশে থেকে ওরা পালিয়েছে- আল্লামা তারেক মনোয়ার
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ সমস্যা সমাধানে কঠোর পদক্ষেপ চাই
"স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ: আপামর জনতার ত্যাগের ফসল"
পূর্ব ইউক্রেনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া
কিশোরগঞ্জ হাওর অঞ্চলে সারের বাফার গুদাম করা প্রয়োজন মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
তাইম ও হৃদয় হত্যাকাণ্ডে দুই পুলিশ সদস্যকে ২০ জানুয়ারি ট্রাইবুনালে হাজিরের নির্দেশ