আইসিজেতে ফিলিস্তিনের পক্ষে যোগ দিচ্ছে তুরস্ক
১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৬ মে ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা আইসিজে’র দ্বারস্থ হবে তুরস্ক। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজা উপত্যকায় যে গণহত্যা চালিয়েছে তার বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলার পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আংকারা। চলতি মাসের প্রথম দিকেও ফিদান বলেছিলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের মামলার পক্ষে তার দেশ যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। রাজধানী আঙ্কারায় অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ৭ অক্টোবর বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকা-ের নিন্দা জানাই কিন্তু ইসরাইল পরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার নিরপরাধ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। একটি সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে দেয়া মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, গণহত্যার চেষ্টা এবং গণহত্যার বহিঃপ্রকাশ।” আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার পক্ষে তুরস্কের এই অবস্থান ঘোষণার আগে মিশর, লিবিয়া এবং কলম্বিয়া একই ঘোষণা দিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের এক হাজারের বেশি যোদ্ধা তার দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামাসের কর্মকা-কে একটি ‘প্রতিরোধ আন্দোলন’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কায়রিয়াকোস মিতসোতাকিসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন এরদোগান। ওই সময় এরদোগান আরও বলেন, গ্রিস হামাসকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে— যা তাকে পীড়া দেয়। তবে পরবর্তীতে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক তার্কিস কর্মকর্তা জানান, তুরস্কে মূলত ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদেরকে প্রেসিডেন্ট এরদোগান হামাসের যোদ্ধা হিসেবে ভুল ভেবেছেন। এই কর্মকর্তা বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট এরদোগান ভুল বলেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন গাজার ১ হাজার মানুষ আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, হামাসের সদস্য নয়।” এরদোগানের পাশে দাঁড়ানো গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গাজার যুদ্ধের সব বিষয়ের সঙ্গে গ্রিস ও তুরস্ক একমত হতে পারবে না। তবে গাজায় একটি দীর্ঘকালীন যুদ্ধবিরতির প্রয়োজন এ বিষয়ে গ্রিস একমত। তুরস্ক ও গ্রিস উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে একই জোটের সদস্য হলেও দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায়ই উত্তেজনা তৈরি হয়। এসব উত্তেজনা নিরসনের জন্য আলোচনা করতে তুরস্কে গেছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী। আলোচনা শেষে তার্কিস প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো ‘সমাধান অযোগ্য সমস্যা’ নয়। আল-আরাবিয়া, আল-জাজিরা।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসার শর্ত শিথিল করল বাংলাদেশ
মুসলিম রাষ্ট্রপ্রধানদের ঐক্যবদ্ধ কার্যকরী ভূমিকা সময়ের অপরিহার্য দাবি
রাজনীতি হওয়া উচিত জনমানুষের কল্যাণে -বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী
বিএনপির সাথে জামায়াতের দূরত্ব নয় বরং সুসম্পর্ক রয়েছে -চাঁদপুরে ডা. তাহের
আদমদীঘিতে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া
ছাত্রাবাস থেকে রুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
দেশীয় চোলাই মদের ট্রানজিট বোয়ালখালী
সোনারগাঁওয়ে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির
রূপগঞ্জ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভা, সংবর্ধনা ও বার্ষিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মীরাও ফ্যাসিস্ট সরকারের নিপীড়নের শিকার : অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
সাম্প্রদায়িক হামলার অভিযোগে ১১৫টি মামলা, ১০০ জন গ্রেফতার
উন্মুক্ত মঞ্চে তরুণদের উচ্ছ্বাস
শুল্ক-কর বাড়ানোর অধ্যাদেশ প্রত্যাহার দাবি নাগরিক কমিটির
আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত দাবিতে টঙ্গীতে বিক্ষোভ মিছিল
বন্দরে সাবেক কাউন্সিলর আ. লীগ নেতা সিরাজকে সমাজচ্যুত ঘোষণা
ফ্যাসিবাদের দরজা বন্ধ ছাড়া কোনো নির্বাচন নয় -ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
‘নির্দোষ প্রমাণে ব্যর্থ হলে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে নেবো’
ড. ইউনূসের পাঁচ মামলা বাতিলে কোনো আইনি দুর্বলতা নেই
কেরানীগঞ্জে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই ঘাতক বন্ধু গ্রেফতার
৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ কর্মকর্তার পদায়ন