ইউরোপের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় শলৎস ও ম্যাখোঁ
২৯ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৯ মে ২০২৪, ১২:০২ এএম
ইউরোপের চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত দুই দেশ জার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে সম্পর্ক সাম্প্রতিক কালে অনেক ঝড়ঝাপটার মধ্য দিয়ে গেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর ব্যক্তিগত সমীকরণের ক্ষেত্রেও সমস্যা দেখা গেছে। ফলে কঠিন সংকটের সময়ে ইউরোপের দিশা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। কিন্তু জার্মানিতে ম্যাখোঁর রাষ্ট্রীয় সফরে দুই নেতা আবার একই সুরে কথা বলে কিছুটা স্বস্তি আনলেন।
ফিনান্সিয়াল টাইমস সংবাদপত্রের জন্য এক যৌথ লেখায় শলৎস ও ম্যাখোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে এই রাষ্ট্রজোটকে নাটকীয় মাত্রায় উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ করে কার্বনের উপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমানো বড় চ্যালেঞ্জ বলে দুই নেতা মনে করেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণের বদলে প্রত্যেক সদস্য দেশকে নিজস্ব পথ বেছে নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। ফলে ফ্রান্সের ক্ষেত্রে পরমাণু শিল্পখাত বাড়তি সুবিধা পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। শলৎস ও ম্যাখোঁ ইইউ পর্যায়ে একক আর্থিক বাজার সৃষ্টির উদ্যোগ চূড়ান্ত করতে দেউলিয়া আইন, কর বিনিয়োগ কাঠামো চালু করার আহ্বান জানান। তাদের মতে, ‘আমাদের ইউরোপ আসলে নশ্বর। তাই আমাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস সংসদে সেই ঘটনাকে জার্মানির প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে ‘সাইটেনভেন্ডে’ বা যুগান্তকারী পরিবর্তন হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। ম্যাখোঁ সেই শব্দটিকে বৃহত্তর অর্থে প্রয়োগ করে লেখেন, গত পাঁচ বছরে করোনা মহামারি, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার চলমান হামলা বা একাধিক ভূ-রাজনৈতিক রদবদল সেই পরিবর্তন তুলে ধরছে। আসন্ন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে শলৎস ও ম্যাখোঁ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক সাধারণ বাজার আরো মজবুত করার আহ্বান জানান। গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের জোগানের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বের উপর নির্ভরতা কমিয়ে ইউরোপে বিনিয়োগ আরো বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছেন দুই শীর্ষ নেতা। মঙ্গলবার বার্লিনের কাছে মেসেব্যার্গে শলৎস ও ম্যাখোঁর নেতৃত্বে দুই দেশের মন্ত্রিসভার যৌথ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরো অগ্রগতির আশা করা হচ্ছে। জার্মানিতে ২৪ বছর পর কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সফরকে ঘিরে বিশেষ আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আনিসুল, সাধন ও মামুনসহ ৮ জন ফের রিমান্ডে
এবার অমিত শাহের বিরুদ্ধে কানাডার গুরুতর অভিযোগ
'ব্যাচেলর পয়েন্ট সিজন ৫' নিয়ে পর্দায় ফিরতে চান অমি
ঢাবির দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি পরিদর্শন করলেন ফলকার টুর্ক
ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
২০২৫ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণা আজ
জাবিতে শিবিরের আত্মপ্রকাশ : প্রতিবাদে ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ
ডি জর্জিকে থামানো যায়নি, বিশাল সংগ্রহের পথে দ. আফ্রিকা
নোবিপ্রবির নতুন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক
পাটকেলঘাটায় সড়ক দূর্ঘটনায় মৌচাষী নিহত
মিরপুরের সাবেক ডিসি জসীম গ্রেফতার
মেক্সিকোতে রহস্যময় মায়া সভ্যতার শহরের খোঁজ !
স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ না হলে অস্ত্রবিরতিতে রাজি নয় হামাস
বিচারকের আসনে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া
পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
উওরায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ঠোঁটকাটা আলতাফ ও তার দুই সহযোগী গ্রেপ্তার
যশোর চৌগাছা এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা
‘আয়রন ডোমের’ আদলে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ তুরস্কের
ইরান যদি পুনরায় হামলা করতে উদ্যত হয় ইসরাইল জবাব দিবে : হার্জি হালেভি
মানিকগঞ্জ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৬ যানবাহন আটক, ৪০ টি মামলা