বছরের প্রথমার্ধে ভারতে কমছে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন হিস্যা
০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৩ এএম
জীবাশ্ম জ্বালানির বদলে বিদ্যুৎ খাতে সৌরশক্তির ব্যবহার বর্তমানে অন্যতম বৈশ্বিক এজেন্ডা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ খাতে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে শুরু করলেও ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবার বিপরীত চিত্র দেখা গেল। চলতি বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) দেশটিতে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লেও তা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের তুলনায় পিছিয়ে গেছে। খবর রয়টার্স। দেশটির সঞ্চালন ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রকদের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, অর্ধ যুগের মধ্যে চলতি বছরের প্রথমার্ধে সবচেয়ে ধীরগতিতে বেড়েছে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন। মূলত ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মোকাবেলায় কয়লার ওপর নির্ভরতা বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে ভারতের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে। গ্রিড-ইন্ডিয়ার দৈনিক উৎপাদন তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৩০ জুন পর্যন্ত ছয় মাসে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। এ হার সামগ্রিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির চেয়ে বেশি। ২০২৩ সালের প্রথমার্ধের তুলনায় এ সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। বিশ্বে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ ভারত। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে দেশটির সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ৬ কোটি ৩৬ লাখ কিলোওয়াট-ঘণ্টায় পৌঁছেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এছাড়া বার্ষিক হিসাবে উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনসাপেক্ষে ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে কিছু বিষয়ে একমত হয় অংশীদার দেশগুলো। এর মধ্যে রয়েছে নবায়নযোগ্য ও টেকসই জ্বালানি খাতের সম্প্রসারণ। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরে দেখা যাচ্ছে বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতি ভারত বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা পূরণে কয়লাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্যারিস চুক্তির পর গত বছর প্রথমবারের মতো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদনের হার নবায়নযোগ্য শক্তির উৎপাদনকে ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া জলবিদ্যুতের ব্যবহারও দেশটিতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। দক্ষিণ এশীয় দেশের জ্বালানি ব্যবহারের ধরনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আঞ্চলিক প্রবণতায় ভারতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। এ অঞ্চলের ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোও সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লার ব্যবহার বাড়িয়েছে বলে জানানো হয় রয়টার্সের প্রতিবেদনে। ভারতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির হিস্যা ২০২৪ সালের প্রথমার্ধে ৭৭ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে গত বছরের একই সময়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার ছিল ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ। রয়টার্স।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
আগামী মৌসুমে নেইমারের গন্তব্য কোথায়?
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন কোচ আমোরি
কন্যার নাম প্রকাশ করলেন রণবীর-দীপিকা দম্পতি,দিয়েছেন মিষ্টি ছবি
তুরস্কে বিজয়ী বাংলাদেশের হাফেজ মুয়াজকে অভিনন্দন জানালেন পীর সাহেব চরমোনাই
সিলেট মহানগর ‘বৈষম্য বিরোধী হকার ঐক্য পরিষদ’র ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন
শেরপুরে তারে জড়িয়ে বন্য হাতির মৃত্যু
কাঁচা সড়কে জনদুর্ভোগ
দেরি করে ভাত দেওয়ায় হত্যা
গ্রামে প্রবেশের সড়ক নেই
বন্য হাতি হামলা
পলো বাওয়া উৎসব
গোদাগাড়ীর মহিশালবাড়ী হাটে ময়লার স্তূপ
কুয়াকাটায় ব্যবসা বাণিজ্যে গতি ফিরছে
গারো পাহাড়ে কলার আবাদ
সেতুর পনেরো শতাংশ কাজ করতেই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ
ডেঙ্গুতে ১০ মাসে মৃত্যু ৩০০
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন এবং বাস্তবতা
স্বেচ্ছায় রক্ত ও চক্ষু দানকে উৎসাহিত করতে হবে
অনন্য চিন্তক-দার্শনিক দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে