গৃহিণীদের অবদান অপরিহার্য, ত্যাগের স্বীকৃতি দিতে হবে

ভারতের সর্বোচ্চ আদালত

গৃহিণীদের অবদান অপরিহার্য, ত্যাগের স্বীকৃতি দিতে হবে

ইনকিলাব ডেস্ক

১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম

ভারতীয় পুরুষদের এখন সময় এসেছে পরিবারের জন্য গৃহিণীদের অপরিহার্য ভূমিকা এবং তাদের ত্যাগের স্বীকৃতি দেওয়ার। বুধবার এমন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। একটি তালাক মামলার রায়ে আদালত বলেছে, ভরণপোষণ কোনো দান নয়, বরং বিবাহিত নারীদের একটি মৌলিক অধিকার। ধর্ম নির্বিশেষে সকল বিবাহিত নারীর এই অধিকার প্রাপ্য। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি বিভি নাগার্জুনা এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহের একটি বেঞ্চ রায় দিয়েছে যে, একজন তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম নারী ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারার অধীনে তার স্বামীর কাছ থেকে ভরণপোষণ দাবি করতে পারেন। পরিবারে গৃহিণীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরে আদালত বলেছে, স্ত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা স্বামীদের জন্য জরুরি। ‘আমরা স্ত্রীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে স্বামীদের দায়িত্বের ওপর জোর দিচ্ছি ... পরিবারের মধ্যে নারীদের আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বাস্তব পদক্ষেপ, যেমন যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং এটিএম ব্যবহারের সুবিধা ভাগ করে নেওয়া, গ্রহণ করা উচিত,’ রায়ে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মো. আব্দুল সামাদের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় প্রদান করা হয়েছে। একটি পারিবারিক আদালত সামাদকে তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে মাসিক ২০,০০০ টাকা ভাতা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল। সামাদ রায়ের বিরুদ্ধে তেলঙ্গানা হাইকোর্ট ও পরে সর্বোচ্চ আদালতে যান। তার আইনজীবী বলেন যে, তালাকপ্রাপ্ত মুসলিম নারীরা ১৯৮৬ সালের মুসলিম নারী (তালাকের ক্ষেত্রে অধিকার সংরক্ষণ) আইনের আশ্রয় নিতে পারেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই আইনের মাধ্যমে ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারার তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। সূত্র : এনডিটিভি।

বিভাগ : আন্তর্জাতিক