অদ্ভুত পাখি বেইজিং সুইফ্ট
২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:০২ এএম
বেইজিং সুইফ্ট হল বেইজিং-এর প্রাচীনতম আদিবাসীদের মধ্যে একটি। এই পাখি প্রধানত বেইজিং শহরের কেন্দ্রস্থলে বসবাস করে। এমন জায়গায় সবসময় এই ছোট অদ্ভুত পাখিটি দেখা যায়। কেন একে অদ্ভুত বলা হয়? প্রথমত, এই পাখিটি খুব ছোট, ওজন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম, কিন্তু তারা অত্যন্ত দ্রুত উড়তে পারে। অভিবাসনের সময় প্রতি ঘণ্টায় ১৯০ কিলোমিটার উড়তে পারে পাখিটি, যা হাইওয়েতে আমাদের প্রতিদিনের ড্রাইভিং গতির চেয়েও অনেক বেশি।
দ্বিতীয়ত, তাদের অভিবাসন পথটিও অনেক দীর্ঘ, তারা প্রতি বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে বেইজিং থেকে উত্তর-পশ্চিমে মঙ্গোলিয়ায় যায় এবং তারপর চীনের সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হয়ে পশ্চিম দিকে যায়, জুংগার অববাহিকা থেকে মধ্য এশিয়ায় প্রবেশ করে এবং একদম দক্ষিণে গিয়ে নভেম্বরের শুরুতে তারা শীতকালে দক্ষিণ আফ্রিকার মালভূমিতে উড়ে যায়, যাতে শীতের ঠান্ডা থেকে দূরে থাকতে পারে। পরের বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে বেইজিং-এর দিকে যাত্রা শুরু করে।
রাউন্ড ট্রিপটি প্রায় ৩০ হাজার কিলোমিটার, যা এশিয়া এবং আফ্রিকার ৩৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যায়, যার মধ্যে অনেক দেশ ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের অন্তর্ভুক্ত দেশ। তাই বেইজিং সুইফ্ট পাখিকে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রাকৃতিক দূত’ নামেও উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া বেইজিং পরিষেবা বাণিজ্য মেলার মাসকট হল ‘ফুয়ান’ প্রোটোটাইপটিও বেইজিং সুইফ্ট। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল যে ৩০ হাজার কিলোমিটারের এই দীর্ঘ যাত্রার সময়, সুইফ্ট পাখিটি দিনরাত উড়তে থাকে, কখনও বিশ্রামের জন্য মাটিতে অবতরণ করে না। তারা মূলত উড়ন্ত অবস্থায় খায়, পান করে এমনকি উড়ন্ত অবস্থায় ঘুমায়। এভাবে বেইজিংয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত তারা উড়তে থাকে।
বেইজিং-এ ফিরে আসার পর তারা একটি নিরাপদ বাসস্থান বেছে নেয় এবং পরবর্তী প্রজন্মের বংশবৃদ্ধি করে। সুইফটের বিশেষ শারীরবৃত্তীয় কাঠামোর কারণে এর পায়ের চারটি আঙ্গুলই সামনের দিকে প্রসারিত। তাই তাদের পায়ের আঙুলগুলো একে অপরকে ধরে রাখতে পারে না এবং তারা চড়ুইয়ের মতো ডালে বা তারের উপর বিশ্রাম নিতে পারে না।
তাদের বেশিরভাগই বেইজিংয়ের লম্বা প্রাচীন ভবনগুলোতে নিম্নমুখী করে বাসা বানাতে পছন্দ করে; যাতে তারা তাদের ডানা ছড়িয়ে রাখতে পারে এবং ওড়ার জন্য উঁচু জায়গা থেকে লাফ দিয়ে উড়তে পারে। এসব পাখিকে বেইজিং জুড়ে আধুনিক ভবনগুলোতে পাওয়া যায়, যা জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্য চীনের প্রচেষ্টা প্রতিফলিত করে। সূত্র : সিনহুয়া।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিরলে সীঁমান্ত এলাকায় বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমান ফেন্সিডিল উদ্ধার
বিএসএফের হাতে আটক যুবক ফেরত আনলো বিজিবি
নিজেকে আ.লীগের চক্রান্তের শিকার দাবি এনবিআরের সেই মতিউরের
হিলিতে দিনব্যাপী ৪৬ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন ও পুরস্কার বিতরণ
মহিলাদের জন্য সংসদে কোন সংরক্ষিত আসন চাই না : মুফতি ফয়জুল করীম
কারামুক্ত ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীন
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী তারুণ্য উৎসব উদযাপন
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
আটঘরিয়ায় মসজিদের মাইক চুরি
রাজনৈতিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বে কমিশন গঠন
শায়খ ফুলতলী আমাদের বেহেশতের পথ দেখিয়েছেন: দামেস্কের শায়খ সাইয়্যিদ ফাদি জু’বা
সৈয়দপুরে নববধূ মুক্তার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
ইভটিজিংয়ের জেরে ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ খ্যাত কিশোরীর আত্মহত্যা
গাজীপুরে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ: ওসি ক্লোজ, বদলি ৩ এসআই