ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

গাজার শাসনভার নিয়ে নতুন পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল-আমিরাতের

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম

গাজার নিয়ন্ত্রণ ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের হাতে থাকলেও আন্তর্জাতিকভাবে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃত। ৮৮ বছর বয়সী আব্বাস ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা গাজা থেকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের নির্মূলের পর সেখানে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে, গাজা শাসনভার অন্য কারও হাতে তুলে দিতে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এই কমিটি উপত্যকার শাসনভার গ্রহণ করবে। এই কমিটিতে ফিলিস্তিনের সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকার কথা থাকলেও, বাস্তবে এর সদস্যরা হবেন ফাত্তাহর সাবেক নির্বাসিত নেতা মোহাম্মদ দাহলানের বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা। মোহাম্মদ দাহলান বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছিলেন। তবে দুর্নীতি ও অভ্যুত্থানের অভিযোগে ২০১১ সালে তাকে ফিলিস্তিন ছাড়তে বাধ্য করা হয়। আব্বাসের ঘনিষ্ঠ নেতাদের চাপে তিনি নির্বাসিত হলেও, দাহলান সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জাতীয় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে দাহলান ও আমিরাতের কর্মকর্তারা সম্ভাব্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করেছেন। এই প্রতিনিধিদের অধিকাংশেরই মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দাহলান আবুধাবি থেকে কায়রো যাতায়াত করছেন এবং জাতীয় কমিটির প্রথম কাজ হবে গাজায় আরব ও আন্তর্জাতিক সেনাদের প্রবেশ নিশ্চিত করা। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো আব্বাসকে এই পরিকল্পনা মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে, যার মধ্যে মিশর ও জর্ডানের নাম উল্লেখযোগ্য। মিডল ইস্ট আই।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত