ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

জোর করে মেয়ে বিয়ে দেয়ায় মায়ের জেল

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক

৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫ এএম

আফগান শরণার্থী এই মা ২০১৩ সালে তালেবানের হাত থেকে পালিয়ে সন্তানদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ভিক্টোরিয়ায় বাস করতে শুরু করেন। মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অপরাধে অস্ট্রেলিয়ায় জেল হয়েছে এক মায়ের। দেশটিতে জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ আইনে কোনও মায়ের এমন সাজা পাওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিলেন এবং এমন একজনের সঙ্গে তার ২১ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন, যে লোক বিয়ের পর মেয়েটিকে হত্যা করে। বিবিসি জানায়, ৪০ বছর বয়সী ওই মায়ের নাম সকিনা মোহম্মদ জান। ২০১৯ সালে সামান্য অর্থের বিনিময়ে তিনি তার মেয়ে রুকিয়া হায়দারিকে ২৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ আলি হালিমিকে বিয়ে করতে বাধ্য করেন। কিন্তু বিয়ের ছয় সপ্তাহ পরই হালিমি তার নববধূকে হত্যা করেন। হত্যার অপরাধে হালিমি এখন যাবজ্জীবন কারাদ- ভোগ করছেন। ওদিকে, রুকিয়ার মা সকিনা মোহম্মদ জানকেও সোমবার অন্তত এক বছরের কারাদ- দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ায় জোরপূর্বক বিবাহ প্রতিরোধ আইন চালু হয় এবং এর সর্বোচ্চ শাস্তি সাত বছরের কারাদ-। অস্ট্রেলিয়ায় এই আইন লংঘন করার বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তবে সকিনাই এ আইনে প্রথম সাজা পেলেন। সকিনা মোহম্মদ জান একজন আফগান হাজারা শরণার্থী। তিনি তালেবানের হাত থেকে পালিয়ে ২০১৩ সালে তার পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় চলে এসেছিলেন। বিবিসি।

 


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত