ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

উত্তেজনা বাড়াতে হানিয়াকে হত্যা করা হয়েছে : রাশিয়া

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইরানের রাজধানী তেহরানে তার বাসস্থানে জায়নবাদী গুপ্ত হামলায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে তারা। এ ঘটনায় বুধবার রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ সংস্থাকে একজন উপ-রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘হামাস নেতার হত্যাকাণ্ড একটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যা।’ আরআইএ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটি একেবারেই অগ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং এটি উত্তেজনাকে আরো বৃদ্ধি করবে।’ ৫৮ বছর বয়সী ইসমাইল হানিয়াহ হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি সংসদ নির্বাচনে হামাসের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হানিয়া। ওই নির্বাচনে তারা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ পার্টিকে পরাজিত করে। মৃত্যুর আগের দিন মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হানিয়া তেহরানে গিয়েছিলেন। তিনি ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গেও দেখা করেন। চলতি বছর পুনঃনির্বাচিত হওয়া হানিয়াহ হামাসের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের আন্দোলনের প্রতি অটল সমর্থন প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ শেষ পর্যন্ত ‘চূড়ান্ত বিজয়’ আনবে বলে তার বিশ্বাস। পেজেশকিয়ান ফিলিস্তিনের মুক্তি আন্দোলনের প্রতি ইরানি জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে বলেন, এটা ইসলামী বিপ্লবের আগের সময় থেকে চলে আসছে। তিনি বলেন, ‘যে কোনও ধর্ম ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে, ইহুদিদের নিষ্ঠুর অপরাধগুলো সব মুক্তিকামী মানুষের মধ্যে ঘৃণা উদ্রেক করে।’ ইরানের প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ এবং যোদ্ধাদের সাহসী প্রতিরোধে আমরা গর্বিত এবং এটা সম্মানের উৎস। তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এই সংগ্রাম শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের মুক্তি এবং ইসরাইলি শাসনের পতন ঘটাবে। ইরান ইন্টারন্যাশনাল।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত