ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

লাদাখেও দাবদাহ! উষ্ণতার পারদে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা

Daily Inqilab ইনকিলাব ডেস্ক :

০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম | আপডেট: ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৯ এএম

কাশ্মীরের পর এবার লাদাখে দাবদাহ! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও বাস্তব এটাই। চির তুষারাবৃত এই পাহাড়ি উপত্যকাতেও এবার চড়ছে উষ্ণতার পারদ। পরিস্থিতি এটতাই খারাপ যে বাতিল করা হচ্ছে বিমান পরিষেবা। ভূস্বর্গে রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধির পর এবার লাদাখেও এমন ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় স্বভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গরমের জন্য লাদাখের বিমান বাতিলের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে আবহাওয়াবিদ প্রফেসর চেতন সোলাঙ্কির এক সোশাল মিডিয়া বার্তায়। তিনি বলেন, এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় যেখানে তাপমাত্রা মাইনাস ২০ ডিগ্রি হওয়ার কথা সেখানে গরমের জন্য বিমান বাতিল করতে হচ্ছে! এই সমস্যার কথা তুলে ধরে সোলাঙ্কি বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় এটা নয় যে বিমান বাতিল হয়েছে। বরং উদ্বেগের বিষয় এটাই যে উঁচু পাহাড়ি অঞ্চলে অত্যধিক গরমের জেরে বিমান বাতিল করতে হচ্ছে। এটা জলবায়ু পরিবর্তনের অশনি সংকেত। আজ আমরা এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছি, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর আরও ভয়াবহ মাশুল গুনতে হবে। আমাদের উচিত অবিলম্বে এই বিষয়ে সচেতন হওয়া। জানা গিয়েছে গত সপ্তাহে সন অ্যান্ড আর্থ ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে লাদাখ যাচ্ছিলেন আইআইটি বম্বের অধ্যাপক তথা পরিবেশবিদ চেতন সোলাঙ্কি। দুপুর ১টা নাগাদ ইন্ডিগোর একটি বিমানে লাদাখ যাওয়ার কথা ছিল তার। যদিও বাতিল করা হয় সেই বিমান। কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, লাদাখে বাতাসের তাপমাত্রা বেশি থাকায় বাধ্য হয়েই বাতিল করতে হচ্ছে বিমানটি। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের দাবি, আসলে উচ্চতা বাড়লে বাতাসের ঘনত্ব কমতে শুরু করে। যার জেরে অধিক উচ্চতায় যাওয়া পর্বতারোহীদের অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে নিতে হয়। লেহ বিমানবন্দরের উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ৭০০ ফুট উঁচুতে। ফলে দিল্লি বিমান বন্দরের তুলনায় সেখানে বাতাসের ঘনত্ব অনেক কম। তার উপর সেখানকার তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাতাসের ঘনত্ব আরও কমে যায়। এই পরিস্থিতিতে সেখানে বিমান চালানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে খারাপ হতে পারে ইঞ্জিন। টিওআই।


বিভাগ : আন্তর্জাতিক


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত
শেষ তিন মাসে রেকর্ড বাজেট ঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ
এলোপাতাড়ি গোলাবর্ষণে ১২০ নিহত সুদানে
ভারতীয়দের ভিসা প্রদানে কড়াকড়ি আরোপ সউদীর
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত