গাজায় আরও দেড়শ ফিলিস্তিনি নিহত
১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় আরও প্রায় দেড়শ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার ৯০০ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৯২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চলমান হামলায় কমপক্ষে আরও ১৪২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হাজার ৮৯৭ জনে পৌঁছেছে বলে সোমবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৯২ হাজার ১৫২ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত আগ্রাসনে ১৪২ জন নিহত এবং আরও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরাইল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। মূলত ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরাইল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
হামলা করতে পারে ইরান, আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের : চলতি সপ্তাহে ইসরাইলের উপর বড় হামলা করতে পারে ইরান, দাবি যুক্তরাষ্ট্রের। ইসরাইল বলেছে, তারা সতর্ক আছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘এই সপ্তাহেই ইরান ইসরাইলের উপর বড় ধরনের আক্রমণ করতে পারে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ, ওই হামলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইটালির নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানো নিয়ে কথা বলেছেন। কিরবি বলেন, ‘সব নেতাই আবার বলেছেন, ইসরাইলের নিজেকে রক্ষা করার অধিকার আছে। আর মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ুক, সেটা তারা চান না। নেতারা বলেছেন, তারা এটাও চান না যে, ইরান বা তার সহযোগীরা কোনোরকম আক্রমণ করুক।’ সোমবার প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ইউরোপের চার দেশের নেতাদের একটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আমরা ইরানের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন ইসরাইলকে আক্রমণ না করে। এই ধরনের আক্রমণ হলে আঞ্চলিক সুরক্ষার বিভিন্ন দিকগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’ তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক নেতা হানিয়ার মৃত্যুর পরই ইরান জানিয়েছিল, এর যোগ্য জবাব দেয়া হবে। হানিয়ার মৃত্যুর দায় ইসরাইল স্বীকার করেনি, আবার খারিজও করেনি। তবে ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর ইসরাইল জানিয়েছিল, হামাসের শীর্ষ নেতাদের তারা মারতে চায়।
ইরান আক্রমণ করতে পারে মনে করে মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উপস্থিতি অনেকটাই বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোববার পেন্টাগন জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান-সহ মার্কিন এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ইউএসএস আব্রাহাম লিংকনকে দ্রুত পারস্যের খাঁড়িতে পাঠাতে বলেছেন। মার্কিন সাবমেরিন ইউএসএস জর্জিয়াও সেখানে যাচ্ছে। এই সাবমেরিনের সঙ্গে গাইডেড মিসাইল যুক্ত করা যায়। সোমবার জার্মানির চ্যান্সেলর শলৎস ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। শলৎস গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের মুক্তির উপর জোর দিয়েছেন। জার্মান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, শলৎস ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, এই দুই পদক্ষেপ নেয়া হলে তা আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে। সূত্র : আল-জাজিরা, ডয়চে ভেলে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
১৯ জানুয়ারি ইসলামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন সফলের আহ্বান
ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যেন ফাটল সৃষ্টি না হয় : সালাহউদ্দিন
জুলাই-আগস্ট নৃশংসতা: জাতিসংঘে পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাঠিয়েছে সরকার
ইসলামি আদর্শের প্রতি বিদ্বেষ রেখে কোন দল ক্ষমতার চিন্তা করতে পারবে না: এএমএম বাহাউদ্দীন
দুদকের মহাপরিচালক ও পরিচালক পদে পদোন্নতি
বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে সৈয়দপুরে রেস্তোরাঁ মালিকদের মানববন্ধন
ব্যর্থ ও দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় চায় না: ইসলামী আন্দোলন
কুষ্টিয়ায় প্লাইউড বোর্ড কারখানায় আগুন
চাঁদাবাজির তকমা থেকে পরিবহন সেক্টরকে বের হতে হবে : শিমুল বিশ্বাস
ফরিদপুরের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক হলেন জাফর ইকবাল
প্রথম ম্যাচের অর্থ পুরস্কার দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের দিলেন ফ্রিটজ
শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি চায় ১২ দলীয় জোট
‘আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ হতে হবে সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি - খেলাফত মজলিস
পাহাড় কাটা মনিটরিংয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার : রিজওয়ানা হাসান
মেট্রোরেলের শুক্রবারের সময়সূচি পরিবর্তন
লৌহজংয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
নবাব সলিমুল্লাহ অসংখ্য নেতা তৈরির মৌলিকক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন : বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা
নালিতাবাড়ীতে মোবাইল কোর্টে ৭ ব্যক্তির কারাদন্ড
জমির শ্রেণি পরিবর্তন করলে সে জমি খাস হিসেবে রূপান্তর করা হবে : ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসন