গ্রাফিনের চাহিদা পূরণে শীর্ষে চীন
১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ এএম | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০৬ এএম
বিজ্ঞানের জগতে সুপারম্যাটেরিয়াল তথা বিস্ময় বস্তু গ্রাফিন। মূলত কার্বনের এক অণু সমান পুরু একটি স্তরকেই বলা হয় গ্রাফিন। এর গঠন এমন যে, নমনীয় হলেও এটি দুর্দান্ত মজবুত, টেকসই ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। ২০০৪ সালে আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে এর নানামুখী ব্যবহার ও চাহিদা বেড়েই চলেছে। আর সেই চাহিদা পূরণে এখন নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। চীনের নতুন উৎপাদনশীল শক্তি বিকাশেও ভূমিকা রাখছে গ্রাফিন। গ্রাফিন উৎপাদনে বড় অগ্রগতি অর্জনকারী একটি প্রতিষ্ঠান হলো পূর্ব চীনের চেচিয়াং প্রদেশের নিংবো শহরের ন্যাশনাল গ্রাফিন ইনোভেশন সেন্টার বা এনজিআইসি। কেন্দ্রটিতে গবেষণা ও উন্নয়নের মূল ফোকাস হলো চিপ তৈরিতে গ্রাফিনের অতি উচ্চতাপ পরিবাহিতার বৈশিষ্ট্যটাকে কাজে লাগানো। এনজিআইসি এখন গ্রাফিন থার্মাল ফিল্ম পণ্য তৈরি করছে যা ব্যাপকভাবে নানা ধরনের প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এনজিআইসি’র গ্রাফিন তাপ পরিবাহী ফিল্ম প্রকল্পের পরিচালক কুয়ো ইউফেন জানালেন, ‘আমরা গ্রাফিনকে তাপ পরিবাহী ফিল্মে রূপান্তর করি। যা প্রধানত থ্রিসি পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত হয়। ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স ক্ষেত্রের পাশাপাশি, মহাকাশ গবেষণাতেও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এখনকার স্যাটেলাইটগুলোয় এখন তাপ প্রতিফলন করতে গ্রাফিন ব্যবহার করা হচ্ছে।’ তাপ প্রতিরোধী বস্তু তৈরিতে বহুল ব্যবহৃত আরেকটি প্রযুক্তি হলো অ্যারোজেল। এটি এমন এক ধরনের জেল, যা স্প্রে করা যায় এবং বাতাসের চেয়ে হালকা হলেও তা জেলের মতো আচরণ করে। এখন চীনের তৈরি অ্যারোজেলেও ব্যবহৃত হচ্ছে গ্রাফিন। এনজিআইসি’র গ্রাফিন অ্যারোজেল প্রকল্প পরিচালক চেং সিয়াওথিয়ান বললেন, ‘আমরা গ্রাফিন যুক্ত করে অ্যারোজেলের তাপ নিরোধক কর্মক্ষমতা অর্জন করতে পেরেছি। আমরা যে গ্রাফিন অ্যারোজেল লেয়ার তৈরি করছি তা পেট্রোকেমিক্যাল পাইপলাইন, থার্মাল পাইপলাইন এবং নতুন শক্তির ব্যাটারির জন্য তাপ সুরক্ষা উপকরণ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।’ অর্থাৎ গবেষকদের মতে, গ্রাফিন প্রযুক্তির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য প্রযুক্তির জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। চীনা বিজ্ঞানীরা এরইমধ্যে গ্রাফিন ব্যবহার করে তৈরি করেছেন সুপার কপার। এই কপারটি সাধারণ কপারের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি বিদ্যুৎ পরিবাহী। তাই এটি দিয়ে তৈরি যেকোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের জ্বালানি সক্ষমতাও দ্বিগুণ হবে। বিশেষ করে হাইস্পিড ট্রেন ও নতুন জ্বালানির গাড়ি তৈরিতে দারুণ কাজে আসবে এই সুপার কপার। আর সব স্তরে এ প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হলে বছরে এক হাজার ৮৫০ কোটি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ বাঁচানো সম্ভব। ইতোমধ্যে কম খরচে বড় আকারে গ্রাফিন সামগ্রী তৈরির প্রযুক্তি অর্জন করেছে এনজিআইসি। তারা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন গ্রাফিন কপারের একটি মোটরও তৈরি করেছে। আবার হাই এনার্জি ডেনসিটি ব্যাটারি তৈরির জন্য একটি গ্রাফিন ইলেক্ট্রোডের উৎপাদনও শুরু করেছে। সিসিটিভি।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
হিরণ ও তার ড্রাইভারের লাশ ৫ মাস পর উত্তোলন
সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা
শুধু এইচএমপিভি নয়, সানজিদার মাল্টিঅর্গান ফেইল করেছিল
ফরিদপুরের আলোচিত ওবায়দুর হত্যা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্থায়ী শান্তির আশা তুরস্কের: এরদোগান
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার
সকলে মিলেমিশে স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই: ডা. শফিকুর রহমান
মুগ্ধ হত্যা: ট্রাইব্যুনালে স্নিগ্ধের অভিযোগ
জাবেদ পাটোয়ারী ও বনজ কুমারের পাসপোর্ট বাতিল
কেন এসেছেন, কি করার আছে আপনাদের
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে ভারত কোনোভাবেই স্থির হতে পারছে না: রিজভী
লক্ষ্মীপুরে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলায় ঘটনায় ৯০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১১
‘আল্লাহ সম্পদ দিয়েছে মানুষের মাঝে বন্টনের জন্য, লুটপাটের জন্য নয়’
আমার মতো চুটিয়ে প্রেম বোধহয় কেউ করেনি—পরীমণি
কলাপাড়ায় ছয় ব্যবসায়ীর জরিমানা
বাগমারায় প্রাথমিকের অবসরপ্রাপ্ত ২৬ প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় জামায়াতে ইসলামীর কোনো বিকল্প নেই : জামায়াত আমির
৩০ যুদ্ধবন্দির বিনিময়ে ২৪৬৬ সেনা ফেরত পেল রাশিয়া
'নেইমারকে ছাড়া বিশ্বকাপ জিততে পারবে না ব্রাজিল'
শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন